২০০৮ সালে এশিয়ান গেমসে তীরন্দাজ বিভাগে সোণা জয় করে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের অশোক সোরেন৷ কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে চরম দারিদ্র্যের শিকার হয়ে তাঁকে শেষ পর্যন্ত রাস্তার শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়৷ তাঁর সাহায্যে এতদিন কেউই এগিয়ে আসেনি৷ খুব কষ্টের মধ্যেই দিন কাটছিল৷
শেষ পর্যন্ত তাঁর কিছু শুভানুধ্যায়ীর চেষ্টায় তাঁর দুঃখের অবসান হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোর অশোক সোরেনের দূরবস্থার সংবাদ পেয়ে নড়েচড়ে বসেন ও তাঁরই বিশেষ চেষ্টায় দীনদয়াল উপাধ্যায় ন্যাশনাল ওয়েলফেয়ার ফাণ্ড থেকে তাঁর জন্যে পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন৷ এই অর্থ অশোক ও তাঁর পরিবারের জীবিকা নির্বাহে বিশেষ সহায়ক হবে৷
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় আমাদের দেশে এমন অনেক প্রতিভা শুধুমাত্র দারিদ্র্যের কারণে নিজ প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারছে না৷ শুধু খেলোয়াড় নয়৷ শিল্প, সাহিত্য ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক প্রতিভাধর ব্যষ্টি হারিয়ে যান, আমরা তাঁদের খোঁজও পাই না৷ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয় বহু সম্ভাবনা৷
সেই কারণে সরকারের উচিত বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্ভাবনাময় প্রতিভাধরদের প্রতিভার বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া ও যাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন তাঁদের মুখে যাতে হাসি বজায় থাকে সে জন্যে সচেষ্ট হওয়া৷