টাটানগর ঃ ১৯৮৪ সালের ৫ই এপ্রিল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পূর্বসিংভূম জেলারপটমদা থানারভুলা গ্রামেরশ্মশানের নিকটে একজৈন মন্দিরের ধবংসাবশেষ দেখতে গিয়েছিলেন৷ সেখানে তিনি প্রাচীন বাংলা লিপি আবিষ্কার করেন, যা শ্রীহর্ষলিপিরও পুরোনো৷ এই লিপিরতিনি নাম দিয়েছেন ‘দালমা লিপি’, যেহেতু এই একই ধরণেরলিপি পাওয়া গেছে পশ্চিম রাঢ়েরদালমা পাহাড় ঘেরাবিভিন্ন নদী-উপত্যকায়৷ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর সুস্পষ্ট অভিমত, প্রাচীনবাংলা ভাষা লিখিত হয়েছিল ঠিক শ্রীহর্ষ লিপিতে নয়, শ্রীহর্ষেরই স্বগোত্রীয় কিন্তু প্রাচীনতর দালমা লিপিতে৷
ভুলা গ্রামে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী এই শুভ পদার্পণকে স্মরণ করে প্রতি বছর এই ৫ই এপ্রিল তারিখে এখানে ‘‘বাবা নাম কেবলম্’’ মহামন্ত্রের অখন্ড নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷এই অখণ্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন মোহনলাল রজক, নারায়ণ সেন, সুশীল মাহাত, সুনীল মাহাত প্রমুখ৷অখন্ড কীর্ত্তনও মিলিত সাধনান্তে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ স্মরণে বক্তব্য রাখেন আচার্য মোহনকৃষ্ণানন্দ অবধূত৷ এই গ্রামেরই জনৈক ভক্ত যাঁকে সেদিন ‘বাবা’ মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেছিলেন সেই কানাই মুখার্জীও সেদিনকার স্মৃতিচারণা করেন৷কীর্ত্তন শেষে সমবেত ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷
বাঙুরদা ঃ গত ৭ই এপ্রিল সিংভূম জেলার বাঙুরদাতেও শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ দিবস উপলক্ষ্যে ১২ ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য মহীদেবানন্দ অবধূত৷ অখন্ডকীর্ত্তনের পর তিনি কীর্ত্তন ও ভক্তি মাহাত্ম্যের ওপর বক্তব্যও রাখেন৷ কীর্ত্তনান্তে গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়ও গ্রামের ছাত্র-ছাত্রাদের মধ্যে বিনামূল্যে খাতা পেনসিল প্রভৃতি বিতরণ করা হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশ্বনাথ গরাঞ, বঙ্কু বিহারী মাহাত গ্রামের প্রায় সমস্ত মানুষই এই অনুষ্ঠানেঅংশগ্রহণ করেন৷