শরীরের উপযোগী খাবার

লেখক
ডাক্তারবাবু

কয়েক বছর ধরে যে কোন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেই নারীদের একটি বিশেষ স্থান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়৷ এমনকি খাদ্য সচেতনতার ক্ষেত্রেও এটি লক্ষ্য করা যায়৷ তাই দেখা যায় তথ্য সরবরাহ করা হয় নারীর প্রয়োজনীয় খাদ্য কি হবে এ ব্যাপারে৷ এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আপনি হয়ত প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করছেন, গর্ভকালীন অবস্থায় ‘ফলিক এসিড সাপ্লিমেণ্ঢ’ নিচ্ছেন–ও ভাবছেন শরীরের জন্যে প্রয়োজনীয় সব খাবারই খাওয়া হয়েছে৷ কিন্তু জানেন কি, এমন কিছু খাবার আছে, যার কার্যগুণ সম্পর্কে হয়ত আপনার কোন ধারণা নেই৷ যেমন ঃ কেবোল পাস্তা/ নুডুলস আপনার ক্লান্তি দূর করে আবার বাঁধাকপি আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে৷

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ঃ ‘প্রতিদিন একটি আপেল চিকিৎসকদের দূরে রাখে’–এই প্রবাদটি খুবই সত্য৷ এর আঁশ শরীরে খারাপ ধরণের কোলেস্টেরলের লেভেল নামিয়ে আনে৷

জন্মকালীন ত্রুটি নিয়ন্ত্রণ  ঃ অ্যাসপারাগাস, গর্ভবতীদের জন্যে খুবই কার্যকর৷ এর ফলেই উপাদান জন্মকালীন সময়ে কাজ করে৷ আবার রক্তের লোহিত কণিকা বাঁচাতেও এটি সাহায্য করে৷ কমলাতেও ফলেট উপাদান থাকে৷ পাশাপাশি ভিটামিন ‘সি’–এর সঙ্গে এতে থায়ামিন আছে যা আপনার শক্তি বাড়াবে৷

বার্ধক্যরোধে খাবার ঃ বাঁধাকপিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ও একটি এণ্ঢি অক্সিডেণ্ঢ আছে৷ এর কোলজেন বুস্টিং–এর জন্যে এটি ত্বকের বেশ উপকারী৷ সিটরাস জাতীয় ফল (কমলা, জাম্বুরা ইত্যাদি) যে শুধু ভিটামিন ‘সি’–এরই যোগান দেয় তা নয় এটি ত্বকের শুষ্ক্তা ও রুক্ষতা রোধ করে৷ আবার জাম্বুরা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়৷

বিভিন্ন ধরণের মরিচে প্রচুর ‘ভিটামিন’ সি আছে৷ আর লাল মিষ্টি মরিচে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান আছে৷ আম ও পেঁপেতে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘এ’ আছে৷ এই দুটিই হচ্ছে এণ্ঢি অক্সিডেণ্ঢ উপাদান৷

ক্যান্সার প্রতিরোধে খাবার  ঃ এপ্রিবাট, পীচফলে প্রচুর বিটাক্যারোটিন আছে৷ যা অনেক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে৷ কুমরোতে এই বিটাক্যারোটি ছাড়াও ফাইবার ও পটাশিয়াম আছে৷ ফুলকপিতে সালফরাফেন নামক ক্যান্সার প্রতিরোধী কেমিক্যাল উপাদান আছে৷ এছাড়াও এতে ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও ফলেট উপাদান আছে৷

বেগুনেও ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান আছে ও এটি হৃদপিণ্ডের জন্যেও কার্যকর৷

শক্তি বাড়ানোর জন্যে খাবার ঃ ভুট্টা ও ভুট্টা জাতীয় খাবার আপনার শক্তি/এনার্জি বাড়াবে৷ এর ‘ভিটামিন বি’ আপনার নার্ভ–সিস্টেমকেও শক্তিশালী করবে৷ এছাড়া এটি হৃদরোগ ও পরিপাকের জন্যে কার্যকর৷ কিশমিশ, মোনাক্কাতেও প্রচুর আয়রণ আছে ও এটি হৃদয়ের ও পরিপাকের জন্যে উপযোগী৷ সব ধরণের বাদামেই প্রচুর উপকারী ফাইবার ও ভিটামিন ‘বি’ আছে৷

ক্লান্তি দূর করার জন্যে খাবার

‘কলা’ আপনার পেটের জন্যে বেশ উপকারী ও এর বিড আপনার ইমিউন সিষ্টেমের জন্যে উপকারী৷ এতে প্রচুর পটাশিয়াম ও ভিটামিন ‘বি’ আছে৷ মাশরুম আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে গতিশীল রাখে ও মানসিক অবস্থা শান্ত রাখে৷

আলুও আপনার মানসিক অবস্থা শান্ত রাখে৷ এতে বিটাক্যারোটিন আছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে পরিচিত৷ এমন আরও অনেক ধরণের উপকারী খাবার আমরা প্রকৃতি থেকেই পেয়ে থাকি৷ তাই ডাক্তারের কাছে যাবার আগে খাদ্যগুণ সম্পর্কে জেনে সচেতন হোন৷

অনিদ্রা থেকে বাঁচবার উপায়

মানসিক টেনশন থেকে অনিদ্রা রোগ জন্মায়৷ ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ ধ্যান করুন৷ উপকার পাবেন৷

* ব্রাহ্মী শাক ১০ গ্রাম ২ কাপ জলে সিদ্ধ করে ১ কাপ হ’লে নামিয়ে ছেঁকে নিয়মিত খেলে অনিদ্রা রোগ সেরে যাবে৷

*  শুষণি শাক ২৫ গ্রাম ৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে ২ কাপ হ’লে ওই জল ছেঁকে ১ কাপ দুধ দিয়ে নিয়মিত সন্ধ্যেবেলা খাওয়া উচিত৷ এটি অনিদ্রা রোগে বিশেষ ফলপ্রদ৷ * ঘুম কম হ’লে ভাত খাবার পর ১ গ্লাস দুধ খেলে ভাল ঘুম হয়৷

* মাথায় ভাল করে নারকেল তেল মেখে ঠাণ্ডা জলে স্নান করা উচিত৷