সম্প্রতি কলকাতায় হয়ে গেল রাজ্য স্তরের শ্যুটিং প্রতিযোগিতা৷ সেখানে দলগতভাবে ১০৮ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন উত্তর কলকাতা রাইফেল ক্লাব৷ দ্বিতীয় শ্রীরামপুরের ক্লাব, তাদের ঝুলিতে ৬৪ পয়েন্ট৷ ব্যক্তিগত ইভেন্টে সর্বাধিক তিনটি করে সোণা জেতেন শ্রীরামপুরের সৌম্যদীপ, চুঁচুড়ার অর্জুন দাস ও সল্টলেকের অর্নিশা চৌধুরী৷ তিনজনেই শ্রীরামপুর রাইফেলস্ শুটিং ক্লাবের সদস্য৷ অবশ্য গত বছর রাজ্য শ্যুটিয়ে শ্রীরামপুর রাইফেল ক্লাব প্রথম স্থান অর্জন করেছিল৷ এবারে এই ক্লাবের তিন যুবক ভাল ফল করে রাজ্যস্তরে যে সাফল্য পেয়েছেন তাতে এই ক্লাব কর্তৃপক্ষ এদের নিয়ে স্বপ্ণ দেখছেন৷ সৌম্যদীপের বাড়ি শ্রীরামপুরের বটতলায়৷ এবার রাজ্য প্রতিযোগিতায় একটি রেকর্ডও করেছেন তিনি৷ শ্যামনগরের সূর্য বিশ্বাস ও চন্দননগরের অর্ণব দেবনাথ শ্রীরামপুর রাইফেল ক্লাবের হয়ে জুনিয়র বিভাগে দলগত সোণা জিতেছেন৷ চঁুচুড়ার ধরমপুরের বাসিন্দা অর্জুন শ্রীরামপুর রাইফেল ক্লাবে অনেকদিন ধরেই অনুশীলন চালাচ্ছেন৷ তাঁর বাবা শ্যামলবাবু প্রাক্তন শ্যুটার৷ তিনিই ছেলের দ্রোণাচার্য৷ বছর দেড়েক ধরে শ্যামলবাবু ধরমপুরে ক্লাব খুলেছেন৷ এখানে অনুশীলনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণও দেন অর্জুন৷ ২০১৫ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দু’টি ইভেন্টে চতুর্থ হয়েছিলেন অর্জুন৷ এবারের রাজ্য প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত ইভেন্টে তিনটি ও দলগতভাবে দু’টি সোণা জিতেছেন৷ হুগলি মহসিন কলেজ থেকে ইংরেজি অনাার্স নিয়ে স্নাতক হয়েছেন৷ এখন তিনি রেলে চাকুরীরত৷ তাঁর কথায় শ্যুটিং অনুশীলন করা খুবই খরচসাপেক্ষ৷ স্পনসর বা সরকারী সাহায্য না পেলে শ্যুটিং চালিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য৷
সংবাদদাতা
ক্রীড়া প্রতিনিধি
সময়