সিরিজের বাকী দুটি টেস্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত
ইংল্যাণ্ডের মাটিতে টেণ্টব্রিজ টেস্টের চতুর্থ দিনের ‘লাঞ্চ থেকে টি’---এই রোদ ঝলমলে সময়টাতে ভারতকে বেগ দিয়েছিল ইংল্যাণ্ডের দুই ব্যাটসম্যান জস বাটলার ও স্টোকস্৷ বাটলার শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরী করেন৷ কিন্তু ওই পর্যন্তই৷ এই টেস্টে আর যা কিছু লেখার তা টীম ইণ্ডিয়ার জন্যে৷ বিরাট দুই ইনিংসে ভাল ব্যাট তো করেছেনই তাছাড়া এমন একটি ক্যাচ ধরেছেন যা গোটা দলকে চাঙ্গা করার পক্ষে যথেষ্ট৷ ব্যাটসম্যান পোপের সজোরে ড্রাইভ করা একটি বল দ্বিতীয় স্লিপের মাথার ওপর দিয়ে যাবার সময় এক হাতে ঝাঁপিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে ক্যাচ ধরেন বিরাট৷ এরপরও বেশ কয়েকটি অসাধারণ ক্যাচ তালুবন্দী হয় ভারতীয়দের স্লিপে ওত পেতে থাকা ফিল্ডারদের হাতে৷ আসলে এই টেস্টে কিছু একটা না করলে যে সিরিজ সরাসরি রুটদের পকেটে চলে যেত৷ তাই সময়মত জ্বলে উঠতে ব্যাট-বল-ফিল্ডিং সব বিভাগেই টেক্কা দিয়েছে ভারত৷ প্রারম্ভিক ব্যাটসম্যান শিখর, অজিষ্কেরা রান পাওয়ায় বুমরাদের কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়৷ তবে ভারতীয় বোলারদের এই টেস্টে কৃতিত্বও কম নয়৷ বিশেষ করে যশপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ডিয়া অসাধারণ বল করেছেন৷ বুমরার ইনস্যুইংগুলো ইংল্যাণ্ডের সেট ব্যাটসম্যানদের স্টাম্প উড়িয়ে দিয়েছে৷ নতুন বলে বুমরা যে অপ্রতিরোধ্য তা আবার প্রমাণঢ় করলেন তিনি৷ আর পরবর্তী টেস্টে জো রুটদের কপালে চিন্তার ভাঁজ এঁকে দিয়েছে বুম-বুমরার পেস অ্যাটাক৷
সুব্রত কাপে চ্যাম্পিয়ন হাওড়ার মাকড়দহ বামাসুন্দরী ইনস্টিটিউশন
ক্রীড়া প্রতিনিধি ঃ সুব্রত কাপের অনূধর্ব ১৭ পর্যায়ে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হল হাওড়ার মাকড়দহ বামাসুন্দরী ইনস্টিটিউশন৷ হাওড়া জেলার বুদে এই ফুটবলাররা প্রতিটি ম্যাচেই ভাল ফুটবল উপহার দিয়েছে৷ যোগ্য দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়নশীপের মুকুট তাদেরমাথায়৷ ফাইনালে এই জেলারই পাঁচলা গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরকে পরাস্ত করে বামাসুন্দরীর ছেলেরা৷ হাওড়া জেলার ক্রীড়া সংসদের কর্র্তরা জানিয়েছেন এর আগে হাওড়া জেলার কোন স্কুল সুব্রত কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়নি৷
সংসদের সম্পাদক প্রদীপ কোলে মহাশয় জানিয়েছেন, কলকাতা ময়দানে দীর্ঘদিন দাঁপিয়ে বেড়িয়েছে এই জেলার ছেলেরা৷ মাকড়দহের স্কুলটি গত বছর মহকুমা স্তর থেকে চ্যাম্পিয়ন হতে হতে রাজ্য পর্যায়ে রানার্স হয়ে ফিরেছিল৷ সেই সুবাদে তারা এবারে সরাসরি রাজ্য পর্যায়ে খেলার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল৷ এবার এই খেলাটি হয় নদীয়ার বেথুয়াডথরিতে৷ প্রথম খেলায় মালদহের হাতিমারি হাইস্কুলকে ৮-০ গোলে হারায় বামাসুন্দরী৷ হাটট্রিক করে দলের অধিনায়ক একাদশ শ্রেণীর ছাত্র সৌভিক শাসমল৷ সেমিফাইনালে দক্ষিণ কলকাতার চৌবাগা হাইস্কুলকে ট্রাইব্রেকারে হারায়৷ গোলরক্ষক একাদশ শ্রেণীর অনুপম দাস ট্রাইবেকারে দুটি গোল বাঁচায়৷ গত শনিবার ছিল ফাইনাল৷ প্রথমার্ধের ১৫ মিনিটে সৌভিকের গোলে এগিয়ে যায় বামাসুন্দরী বিদ্যালয়৷ প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল শোধ করে পাঁচলা৷ খেলার গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে৷ বামাসুন্দরীর জয়সূচক গোল করে নবম শ্রেণীর গণেশ বেশড়া৷
দলের সঙ্গে ছিলেন শিক্ষক সুদীপ বিশ্বাস ও উৎপল বোধক৷ সুদীপ বাবু এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র৷ তিনিও সুব্রত কাপ খেলেছেন৷ তিনি বলেন ‘‘স্কুলের যে সব ছাত্ররা ফুটবল প্রশিক্ষণ নেয়, তাদের মধ্যে বাছাই করে নিয়মিত অনুশীলন হয়৷’’
তাঁদের এই সাফল্যে গোটা স্কুল আনন্দে আপ্লুত৷ স্কুল কতৃপক্ষ স্কুলের বিজয়ী দলের জন্য একটি সংবর্ধনা সভার আয়োজনও করেছিলেন৷