উত্তর ২৪ পরগণা ঃ উত্তর ২৪ পরগণায় সোদপুরের ঘোলাতে শ্রী রঞ্জিত বসাক ও মিতা বসাকের উদ্যোগে তাঁর গৃহে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী রবিবার সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দেড় শতাধিক ভক্ত সহ আনন্দমার্গের অনুগামী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীর উপস্থিতিতে তিন ঘণ্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম্’ অখণ্ড সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷
প্রভাত সঙ্গীত ও ‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ মধুচেতনা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ মধুমালিকা আচার্যা, শ্রী হরলাল হাজারী, কালিপদ পোড়ে প্রমুখ৷
কীর্ত্তনের মধুমূর্চ্ছনায় একটি সুন্দর আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে উপস্থিত ভক্তবৃন্দ ভক্তি-আপ্লুত হৃদয়ে কীর্ত্তন শ্রবণ করেন ও কীর্ত্তনানন্দ অনুভব করেন৷
কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা ও গুরুপূজার পর শ্রীশ্রীআনন্দ- মূর্ত্তিজীর ‘কীর্ত্তন মহিমা’ সম্বন্ধিত প্রবচন পাঠ করে শোনানো হয়৷
এরপর কীর্ত্তন মাহাত্ম্য, সাধনার উপযোগিতা, মানুষের জীবনের লক্ষ্য---প্রভৃতি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আনন্দমার্গের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত, আচার্য অক্ষয়ানন্দ অবধূত, আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা প্রমুখ৷
তাঁরা বলেন---মানুষের জীবনের পরম লক্ষ্য হ’ল ঈশ্বর সম্প্রাপ্তি৷ ঈশ্বরকে জীবনের ধ্রুবতারা করে মানুষকে জগতের কর্ম করতে হয়৷ সাধনা প্রতিটি মানুষের করণীয়৷ সাধনার দ্বারা অন্তর শুদ্ধ হয় ও মন একাগ্র হয়৷ সাধনা মনের শক্তিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় ও মনকে সবসময় শুভপথে চালিত করে৷ আধ্যাত্মিক সাধনার অভাবের কারণে সমাজে আজ ব্যাপক দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা ও অবক্ষয় দেখা দিয়েছে৷ প্রকৃতপক্ষে সাধনা, সেবা ও ত্যাগের মাধ্যমে মানুষ মহান হয় ও তার জীবনকে সার্থক করে তুলতে পারে৷
কীর্ত্তন শেষে শ্রী রঞ্জিত বসাক, শ্রী মাধব চন্দ্র বসাক, শ্রীমতী মিনতি বসাক প্রমুখ দুই শতাধিক ভক্তকে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়িত করেন ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রী গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য৷