December 2017

ইয়ানা নভোৎনা চলে গেলেন

বহু টেনিস অনুরাগীর প্রিয় তারকা ইয়ান নভোৎনা দীর্ঘদিন মারণরোগ ক্যাসারে ভোগার পর পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরলোকে পারি দিলেন৷ ১৯৯৩ সালে স্টেফি গ্রাফের কাছে উইম্বলডন ফাইনালে হারের পর কোর্টেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন নভোৎনা৷ কোচ তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন---কাদিস না একদিন তুইও চ্যাম্পিয়ন হবি৷ তাই-ই হয়েছিল৷ ১৯৯৮ সালে তিনি চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতেছিলেন৷ এরপর অনেক দিন টেনিস কোর্টে অবাধ বিচরণ করে অনেকের প্রশংসা কুড়িয়ে টেনিস অনুরাগীদের মোহিত করেছেন৷ শেষে ক্যানসারের বিরদ্ধে আর জেতা হ’লনা ইয়ানের৷ তাঁর প্রয়াণে টেনিস দুনিয়ার অনেকেই শোকাহত৷

দগ্ধৰীজ

‘‘যাবন্নক্ষীয়তে কর্ম শুভঞ্চাশুভমেবচ,

তাবন্নজায়তে মোক্ষো ণৃণাং কল্পশতৈরপি৷

যথা লৌহময়ৈঃ পাশৈঃ পাশৈঃ স্বর্ণময়ৈরপি,

তথা ৰদ্ধো ভবেজ্জীবো কর্মাভিশ্চ শুভাশুভৈঃ৷৷’’

(তন্ত্র)

বাঙলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন (দুই)

আজকাল অনেক জায়গাতেই গভীর নলকূপের সাহায্যে জল তুলে চাষ করা হয়, এটা বিজ্ঞান সম্মত নয়, কারণ যত পরিমাণ জল তোলা হয়, তত পরিমাণ জল ওই গভীরতায় ফিরে যেতে পারে না৷ রোদের তাপে অনেকটা বাষ্প হয়ে যায়, আর কিছুটা গাছপালারা টেনে নেয়৷ এর ফলে জল–তল হু হু করে নেবে যায়৷ মালদা, নদীয়া ও অন্যান্য জেলায় যেভাবে গভীর নলকূপ ব্যবহার করা হচ্ছে তা যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে জল–তল এত নেবে যাবে যে ভবিষ্যতে সেচের জলের অভাবে সমস্ত ফসল ও গাছপালা মরে যাবে৷ চাষীদের এই সমস্যা সম্বন্ধে সচেতন হতে হবে৷ নদীর জলকে সেচের কাজে লাগানোটাই সর্বোত্তম উপায়৷৪৭

বকফুল

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বকফুল (গাছের) অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ তবে মুখ্যতঃ দু’টি প্রজাতি নজরে পড়ে৷ একটিকে বলতে পারি কিছুটা হ্রস্ব, অপরটি হচ্ছে দীর্ঘ৷ হ্রস্ব প্রজাতির বকফুল (মোটামুটি) উঁচু হয় আর দীর্ঘ প্রজাতিটি আট মানুষের চেয়েও বেশী উঁচু হয়৷ হ্রস্ব–দীর্ঘ নির্বিশেষে বকফুল গাছ ৰাড়ে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে৷ ফুলের আকার ও আকৃতির বিচারে বকফুল শাদা, গোলাপী, লাল ও পঞ্চমুখী জাতের হয়ে থাকে৷

ডুমুর

ডুমুর একটি পুষ্পশাক৷ অন্য পুষ্প বাইরের দিকে প্রস্ফুটিত থাকে.....এরা (ডুমুরের ফুল) থাকে অন্তর্মুখী৷ লিবারের পক্ষে, অগ্ণ্যাশয়ের পক্ষে খুবই ভাল৷ যে দীর্ঘকাল ধরে উদরাময়ে ভোগে বা যার উদরাময়ের প্রবণতা রয়েছে, তার পক্ষে ডুমুরের হলুদ ঝোল বিশেষ কল্যাণকর৷ কাঁচকলার মত ডুমুরে লোহার ভাগ বেশী৷ তাই কষ বেশী৷ কাঁচকলা বা ডুমুরের কষ অগ্ণ্যাশয়ের পক্ষে আদৌ ক্ষতিকর নয়৷ ডুমুর অর্শ ও ৰহুমূত্র রোগে বিশেষ উপকারী৷ ঙ্ম ডুমুরের ছোট প্রজাতিটিই সাধারণতঃ তরকারীতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ ৰড় ডুমুর পাকলে তা ফল হিসেবে লিবারের পক্ষে ভাল৷ ৰড় পাকা ডুমুর শুকিয়ে মেওয়া ফল হিসেবেও ব্যবহার করা হয়৷ তারও গুণ একই রকমের ৷

ঘি–করলা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ আমাদের পরিচিত শাক–সব্জীর মধ্যে ঘি–করলা অন্যতম৷ নির্দোষ সব্জী বলতে অনেকে যেমন পটোলকে বোঝেন আর সে কথাটা যেমন সত্যি, ঠিক তেমনি আর একটি নির্দোষ সব্জী হচ্ছে ঘি–করলা৷ ঘি–করলার খাদ্যমূল্য পটোলের চেয়ে অল্প একটু বেশী৷ স্বাদও অল্প একটু বেশী৷ ঘি–করলার দু’টি প্রজাতি রয়েছে–বৃহৎ ও ক্ষুদ্র৷ ঘি–করলার লতা দীর্ঘ হয়৷ ঘি–করলা রােে মুখ্যতঃ ঘি–করলা নামে পরিচিত৷ বাগড়ীতে (সমতটে) কাকরোল বলা হয়ে থাকে৷ কোলকাতার বাজারে ঘি–করলা ও কাকরোল দু’টি নামই প্রচলিত৷

লিবার, অর্শ, কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনীর রোগে ঃ লিবারের অসুখে, কিডনীর অসুখে, অর্শে ও কোষ্ঠকাঠিন্যে ঘি–করলা (সব্জী হিসেবে খেলে) ভাল কাজ করে৷

নটে শাক

নটে বা ‘তন্ডুলেরক’ (বিহারে শাকটিকে ‘গেণ্হারী’ ক্ষলে) রুচিৰর্দ্ধক ও মলক্ষৃদ্ধিকারক৷ শাকটিতে লোহা যথেষ্ট আছে৷ নটের নানান প্রজাতি৷ যে নটেতে লোহার শতাংশ বেশী তা কিছুটা মিষ্ট স্বাদী হয়৷ চাল ধোয়া জল পচে গেলে সেই স্থানে নটে শাক নিজে থেকেই জন্মায়৷ নটে শাক বিষ্টম্ভিনী, অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে৷ যাদের পেট পরিষ্কার হয় না, তারা নিয়মিত না হোক, মধ্যে মধ্যে নটে শাক খেলে পেট পরিষ্কার হবেই৷ পেট পরিষ্কার থাকা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ৷ পেট পরিষ্কার থাকলে চর্মরোগ হয় না৷ শাক কেটে ধোয়া উচিত নয়৷ ভাল করে ধুয়ে কাটতে হয়, কারণ কেটে ধুলে জলের সঙ্গে শাকের মূল্যবান রস বেরিয়ে যাবে৷ কাঁটা নটের কাঁটা [অন্য একটি প্রজাতি Amara

ঘুর্ণী, মালদহ, শিয়ালদহ ও সল্টলেক–নামগুলি কেমন করে হ’ল?

ৰাঙলার একটি ক্ষৃহৎ অংশ জলের দেশ৷ এই দেশের যে সমস্ত অঞ্চলে বড় বড় নদী বয়ে গেছে সে সমস্ত অঞ্চলে কোথাও কোথাও নদী বাঁক নিয়েছে (কিষাণগঞ্জ মহকুমায় এ ধরণের একটি স্থানের নামই হচ্ছে দীঘলবাঁক৷ নামেতেই স্থানটির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে৷ অনেক শিক্ষিত ভদ্রলোককেও স্থানটির নাম উচ্চারণ করতে শুণেছি ‘ডিগাল ব্যাঙ্ক’) ও এরই ফলে বাঁকের কাছে জলের তলায় ঘুর্ণীর সৃষ্টি হয়েছে৷ এইসব জায়গা নৌকা বা জাহাজের পক্ষে বিপজ্জনক৷ যাইহোক, কৃষ্ণনগরের কাছে জলঙ্গী নদী যেখানে বাঁক (সংস্কৃত, বক্র>বংক>বাঁকা) নিয়েছে সেখানেও নদীতে এইরূপ একটি ঘুর্ণী ছিল৷ সেকালে কলকাতা থেকে জলঙ্গী নদীর পথে পদ্মায় পৌঁছে সেখান থেকে ঢাকা যাওয়া হ’ত জলপথে৷ ওই

মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করতে নিম পাতা চিবিয়ে খান

নিম পাতা আমাদের বিশেষ উপকারী সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তবে মানসিক দুশ্চিন্তা দূরে রাখতে নিম পাতা যে সাহায্য করে তা হয়ত অনেকেই জানেন না৷ দুশ্চিন্তা দূর করতে প্রতিদিন কয়েকটি তাজা নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন৷ তাজা নিমপাতা চিবিয়ে খেলে চর্মরোগ দূরে পালিয়ে যায়, দাঁতের অসুখ সেরে যায়, রক্তে শর্করা ও উচ্চচাপ দূরে পালিয়ে যায়৷ এছাড়া নিদ্রাহীনতার রোগও পালিয়ে যায়৷ অম্বল হলে নিম গাছের ছাল এক কাপ গরম জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়৷ রোজ সকালে খালি পেটে নিমছাল ও নিমপাতা বেটে তার বড়ি করে খেলে কৃমি রোগ সেরে যায়৷

হৃদরোগীদের জন্যে গাজর

প্রতিদিন গাজর খেলে হৃদরোগের ভয় কমে যায়৷ দীর্ঘ গবেষণার পর জানা গেছে যে গাজরের খাদ্য মূল্য অত্যন্ত অধিক৷ গাজরে আছে বিটা–ক্যারোটিন যা হৃদরোগের আক্রমণ থেকে অনেকাংশে বাঁচায়৷ একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যাঁরা নিয়মিত গাজর তরকারি করে খান তাঁদের হৃদরোগের সম্ভাবনা ৬৮ শতাংশ কমে যায়৷ সুতরাং প্রতিদিন একটি করে গাজর খেলে হৃদরোগে ভয় অনেকটাই কমে যায়৷