পরিচয় ও প্রজাতি ঃ আমাদের পরিচিত শাক–সব্জীর মধ্যে ঘি–করলা অন্যতম৷ নির্দোষ সব্জী বলতে অনেকে যেমন পটোলকে বোঝেন আর সে কথাটা যেমন সত্যি, ঠিক তেমনি আর একটি নির্দোষ সব্জী হচ্ছে ঘি–করলা৷ ঘি–করলার খাদ্যমূল্য পটোলের চেয়ে অল্প একটু বেশী৷ স্বাদও অল্প একটু বেশী৷ ঘি–করলার দু’টি প্রজাতি রয়েছে–বৃহৎ ও ক্ষুদ্র৷ ঘি–করলার লতা দীর্ঘ হয়৷ ঘি–করলা রােে মুখ্যতঃ ঘি–করলা নামে পরিচিত৷ বাগড়ীতে (সমতটে) কাকরোল বলা হয়ে থাকে৷ কোলকাতার বাজারে ঘি–করলা ও কাকরোল দু’টি নামই প্রচলিত৷
লিবার, অর্শ, কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনীর রোগে ঃ লিবারের অসুখে, কিডনীর অসুখে, অর্শে ও কোষ্ঠকাঠিন্যে ঘি–করলা (সব্জী হিসেবে খেলে) ভাল কাজ করে৷
মধুমেহ রোগে ঃ ঘি–করলা সব্জীর রস (কাঁচা রস) মধুমেহ রোগে উপকারী৷
অন্যান্য ব্যবহার ঃ ঈশের মূলের মত (ঈশ্বরী মূল) ঘি–করলার লতার গন্ধ সাপের অপছন্দ৷ তাই সাপ এর ত্রিসীমানায় ঘেঁসে না ঙ্মআগেই ৰলা হয়েছে ঘি–করলা সেদ্ধ ক্ষুদ্ধিবৃত্তির পক্ষে সহায়ক৷