পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বকফুল (গাছের) অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ তবে মুখ্যতঃ দু’টি প্রজাতি নজরে পড়ে৷ একটিকে বলতে পারি কিছুটা হ্রস্ব, অপরটি হচ্ছে দীর্ঘ৷ হ্রস্ব প্রজাতির বকফুল (মোটামুটি) উঁচু হয় আর দীর্ঘ প্রজাতিটি আট মানুষের চেয়েও বেশী উঁচু হয়৷ হ্রস্ব–দীর্ঘ নির্বিশেষে বকফুল গাছ ৰাড়ে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে৷ ফুলের আকার ও আকৃতির বিচারে বকফুল শাদা, গোলাপী, লাল ও পঞ্চমুখী জাতের হয়ে থাকে৷
লিবার, কিডনী, অগ্ণ্যাশয়ের রোগে ঃ বক ফুল সহজপাচ্য৷ লিবার, অগ্ণ্যাশয় ও কিডনীর পক্ষে বেশ ভাল৷ ডালের বেশন, অল্প ছোলা বাটা, মুগডাল বাটার সঙ্গে বক ফুলের ৰড়া মুখরোচক ও শক্তিৰর্ধক৷ এর ফুলের পাপড়ি ঝোলে–ঝালে–চচ্চড়িতে দেওয়া হয়–ফলে তা সহজেই শরীরের অঙ্গীভূত হয়ে যায়৷
অন্যান্য ব্যবহার ঃ ফুল ঝরে যাবার পরে গাছে লম্বা ডাঁটা বের হয়৷ দূর থেকে দেখতে এগুলো কতকটা শোজনে ডাঁটার মত৷ বকফুলের ডাঁটা মানুষ খায় না, তবে ডাঁটার মধ্যেকার ৰীজ থেকে তেল তৈরী হয়৷ ঠিক ভাবে পরিশোধন করলে ওই তেল ভোজ্য তেল রূপে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ বকফুলের কচি ডগা, পাতা ও ডাঁটা খেলে গোরুর দুধ ৰাড়ে৷ গোরুর মৃতবৎসা রোগ থাকলে বক ফুলের পাপড়ি ও বকফুলের ডাঁটা ভাল ওষুধের কাজ করে৷ গর্ভিণী গাইকেও বকফুলের ডাঁটা খাওয়ালে তার সুপ্রসব হয়, শিশু শক্তিশালী হয় ও বক্না বাছুর উত্তরকালে বেশী দুধ দেয়৷