December 2017

গুজরাট বিধানসভা নির্র্বচন ঃবিজেপি ক্রমশ: জমি হারাচ্ছে

গুজরাট বিধানসভা নির্র্বচন  শুরু হচ্ছে আগামী ৯ই ডিসেম্বর৷ নির্বাচনের  তারিখ যতই এগিয়ে আসছে, বিজেপি ততই  জমি হারাচ্ছে৷ সবার মনে প্রশ্ণ,  এবার কী হবে?

যোগ–তন্ত্র ও ভক্তি

একটা গল্প আছে যে এক জ্ঞানী আর এক ভক্ত আমবাগানে গেল৷ জ্ঞানী পর্যবেক্ষণ করা শুরু করল–এগুলি ল্যাংড়া আম, না হিমসাগর, না অন্য কোনো প্রজাতির আম৷ পৃথিবীতে প্রায় পনেরশো প্রজাতির আম আছে৷ জ্ঞানী দেখতে শুরু করল যে বাগানে আরও কত রকমের আম গাছ আছে৷ এই বিশ্লেষণ অনেকক্ষণ পর্যন্ত চলতে চলতে শেষ পর্যন্ত সূর্যাস্ত হ’ল আর আমের বাগানে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো৷ তখন জ্ঞানী তাড়াতাড়ি আবার কোন্ গাছে কত পাতা আছে, কত শাখা–প্রশাখা আছে, তা গুনতে শুরু করল৷ রাত বাড়তে থাকল৷ কিন্তু এর মধ্যে ভক্ত কী করল?

প্রাউটের অর্থনীতি–ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য

বিকেন্দ্রিত সামাজিক–অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অতি সহজেই কৃষি ও শিল্পের আধুনিকীকরণ করা যায় ও তার উৎপাদিত দ্রব্যের বাজারও সহজে পাওয়া যায়৷ এইভাবে যদি সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলি আপন আপন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিকাশ ঘটায় তাহলে বিভিন্ন অঞ্চলের মাথা পিছু আয়–বৈষম্য হ্রাস পাবে ও অনুন্নত অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে তাকে উন্নত অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমপর্যায়ে আনা যাবে৷ প্রত্যেকেই অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ ভোগ করবে৷ যখন প্রত্যেকটি অঞ্চলের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা আসবে তখন সমস্ত দেশই অতি দ্রুত অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করবে৷

নব্য মানবতাবাদই এই মানব সমাজকে রক্ষা করবে

প্রবীর সরকার

এই পৃথিবীর বয়স কয়েক কোটি বছর৷ আর এই পৃথিবীতে মানুষেরও আবির্র্ভব প্রায় দশ লক্ষ বছর আগে৷ পৃথিবী একটি গ্রহ, এই বিশ্বে এমন কত যে গ্রহ আছে তার হিসেব নেই৷  আমরা আমাদের নিকটতম নক্ষত্র সূর্যের জন্যে অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছি৷ এই সূর্যের জন্যে দিন ও রাত্রি হয়, ঋতু পরিবর্ত্তন হয়৷ এটাই করুণাময় শ্রষ্ঠার অসীম কৃপা৷

বিদ্যা-লয় আতঙ্ক

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

সম্প্রতি কলকাতার তথাকথিত অভিজাত স্কুল নামে পরিচিত জি.ডি.বিড়লা স্কুলে সাড়ে চার বছরের এক শিশুর ওপর যৌন নির্র্যতন ঘটার পর একদিকে যেমন শিশুটির-স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারে ভয়ঙ্কর আতঙ্ক দেখা দিয়েছে তেমনি সারা দেশে ছেলেমেয়েদের পিতা-মাতা বা অভিভাবকরা ও তাদের ছেলে মেয়েদের সুশিক্ষা ও  নিরাপত্তার ব্যাপারে শঙ্কিত৷

সম্প্রতি আবার অন্য এক স্কুল এম. পি. বিড়লা স্কুলেও সাড়ে তিন বছরের মেয়ের ওপর স্কুলের দুই শিক্ষাকর্মীর অনুরূপ যৌন নির্যাতনের খবর সামনে এসেছে৷ এই ঘটনাটি  সেপ্ঢেম্বরে ঘটেছিল৷ থানায় যথারীতি ডায়রী করা হয়েছিল৷ অভিযুক্তদের ছবিও মেয়েটি চিহ্ণিত করেছে৷ কিন্তু তাদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি৷

কালের কল

একর্ষি

কালের কল call) আসে সময়ের তালে তাল মিলিয়ে৷ গজ-বৃহস্পতিরা বলেন এটা বিজ্ঞানের যুগ৷ মানুষ গণতন্ত্র, সাম্য, ঐক্য, শান্তি, বাকস্বাধীনতার পূজারী, আমরা এগিয়ে চলেছি৷ অগ্রগতির নমুনা ছড়িয়ে আছে পথে ঘাটে ফুটপাতে, হোডিংএ , ব্যানারে, গাছের গুঁড়িতে, পাহাড়ের গায়ে, মাঠে-ময়দানে এমনকি আলাপচারিতায়৷ এককটি সময় ছিল যখন মানুষ ছিল শ্রুতিনির্ভর৷ শ্রুতিটাই ছিল প্রামাণ্য৷ বেদ তো মানুষ শুণে শুণেই মনে রাখত৷ তাই বেদের  আর এক নাম হয়ে গেল ‘শ্রুতি’৷  পাশাপাশি এও শোনা যায় যে শোনা কথার বা মুখের কথার মূল্য নেই৷ লিখিত নিদর্শন চাই৷  আদালতের শুনানিতে সাক্ষ্য প্রমাণ-এ লিখিত তথ্যাদির সঙ্গে বস্তুগত নমুনাই গ্রাহ্য হলেও  শ্রুতিকেও সঙ্গ

মহাসমারোহে কোচবিহারে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পদার্পণের  সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ পালন

 গত ৫ই ডিসেম্বর কোচবিহারে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ দিবস বিবিধ কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হ’ল৷

প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৷ কীর্ত্তন ,ধর্মচক্র,গুরুদেবের চরণে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের পর শুরু হয় স্মৃতি চারণা৷ ১৯৬৭ সালের পূর্বে যারা আনন্দমার্গ প্রচারক সংঙ্ঘের সাথে যুক্ত হয়ে যারা সেদিন গুরুদেবকে কোচবিহারে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাদের মধ্যে প্রথমেই স্মৃতি চারণ করেন শ্রী প্রদীপ কুমার সরকার৷ তিনি উল্লেখ করেন, পরমারাধ্য ৰাৰার দেওয়া সমাজসেবার কিছু শর্ত পূর্ণ করার পর তবেই তিনি কোচবিহার  আসতে রাজী হন ও ধর্মমহাচক্র অনুষ্ঠিত হয়৷

পরমপুরুষের বিশ্বরূপ

সৃষ্টির প্রারম্ভের আগের কথা৷ সে সময় দেশ–কাল–পাত্রের মত সাপেক্ষ সত্তা ছিল না৷ একমাত্র ছিল অখণ্ড অসীম, ক্ষৃহৎ, সর্বব্যাপী সত্তা, আর সেই  সত্তার সাক্ষিত্বরূপে ছিলেন পরমপুরুষ৷ সেই অখণ্ড সৃষ্টির রচয়িতা পরমপুরুষ নিজেকেই অনেক রূপে নানাপ্রকারে অভিব্যক্ত করলেন৷

‘‘ত্বং স্ত্রী ত্বং পুমানসি, ত্বং কুমার উত বা কুমারী৷

ত্বং জীর্নোদণ্ডেন বঞ্চয়সি ত্বং জাতো ভবসি বিশ্বতোমুখঃ৷’’

‘‘নীলঃ পতংগো হরিতো লোহিতাক্ষ

স্তত্তিদ্গর্ভ ঋতবঃ সমুদ্রাঃ৷

অনদিমত্বং বিভুত্বেণ বর্ত্তসে

 যতোজাতানি ভুবনানি বিশ্ব৷৷’’

মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সম্পর্কে  এক আনন্দমার্গী ভক্তের নিজস্ব অনুভূতি তুমি এসেছিলে কাউকে না বলে

আচার্য তপেশ্বরানন্দ অবধূত

১৯৭০ সালে উত্তর বিহারের একজন ভাল গৃহী আচার্যের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল৷ তিনি হলেন ডঃ বিদ্যার্থীজী (আয়ুর্বেদিক ডাক্তার)৷ উনি ‘বাবা’র (শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী) খুব ভক্ত৷ তিনি বাবার সম্পর্কে তাঁর এক বিস্ময়কর অনুভূতির কথা আমাকে বলেছিলেন৷ এই ঘটনাটা অনেক আগের৷ তখন তিনি নূতন মার্গী ছিলেন৷ তাঁর ধর্মপত্নী তখনও মার্গী হননি৷ তবে তিনি বিদ্যার্থীজীর সাধনাতে বাধা দিতেন না৷ উনি (ধর্মপত্নী) একবার এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হ’ন৷ প্রতিবেশীরা সবাই পরামর্শ দিলেন স্ত্রীকে বড় শহরে নিয়ে গিয়ে ভাল ডাক্তার দেখাতে৷ তা না হলে যে কোনো সময় তাঁর মৃত্যু হতে পারে৷ বিদ্যার্থীজীর টাকা পয়সা বেশী ছিল না৷ যাই হোক স্ত্রীর