গত ৫ই ডিসেম্বর কোচবিহারে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ দিবস বিবিধ কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হ’ল৷
প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৷ কীর্ত্তন ,ধর্মচক্র,গুরুদেবের চরণে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের পর শুরু হয় স্মৃতি চারণা৷ ১৯৬৭ সালের পূর্বে যারা আনন্দমার্গ প্রচারক সংঙ্ঘের সাথে যুক্ত হয়ে যারা সেদিন গুরুদেবকে কোচবিহারে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাদের মধ্যে প্রথমেই স্মৃতি চারণ করেন শ্রী প্রদীপ কুমার সরকার৷ তিনি উল্লেখ করেন, পরমারাধ্য ৰাৰার দেওয়া সমাজসেবার কিছু শর্ত পূর্ণ করার পর তবেই তিনি কোচবিহার আসতে রাজী হন ও ধর্মমহাচক্র অনুষ্ঠিত হয়৷
এরপর স্মৃতি চারণ করেন শ্রী কালীপদ দেবনাথ মহাশয়৷ তিনি উল্লেখ করেন, ৰাৰা কীভাবে কোচবিহার বিমান বন্দরে অবতরণ করেন ও মার্গী দাদাদের ব্যবস্থাপনায় কোচবিহার বিবেকানন্দ ষ্ট্রীটে এক ভক্তের বাড়ীতে তিনি অবস্থান করেন৷ কোচবিহারে তৎকালীন সময়ে বড় হলঘর ছিল না৷ মহারাণী গায়ত্রী দেবী সঙ্গীত বিদ্যালয়ের হল ঘরেই ৰাৰা দু’বেলা জেনারেল দর্শন দেন ও এখানেই মূল ধর্মমহাচক্রে অনুষ্ঠিত হয়৷
এরপর স্মৃতি চারণ করেন শ্রী বিজেন্দ্রনাথ রায়৷ তিনি ধর্মমহাচক্র অনুষ্ঠানের উল্লেখ ছাড়াও কিভাবে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে ৰাৰার অলৌকিক শক্তির পরিচয় লাভ করেছিলেন---তার বর্ণনা দেন৷
স্মৃতি চারণের পর আলোকসজ্জা সহ একটি কীর্তন শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমণ করে৷ শেষে প্রসাদ বিতরণ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়৷