April 2018

ঝালদায় অখণ্ডকীর্ত্তন

গত ১২ই এপ্রিল ঝালদার কুশিগ্রামে আনন্দমার্গ স্কুলে৩ঘন্টাব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ অখন্ডকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অনুষ্ঠানে আনন্দনগরের আশেপাশের গ্রামে থেকে প্রায় ১০০ জন মার্গীভাইবোন উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠানে কীর্ত্তন সাধনা গুরুপূজার শেষে কীর্ত্তন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ অতীশা আচার্যা ও ব্রহ্মচারিনী মন্দ্রিতা৷ আলোচনা শেষে ১২জন আধ্যাত্মিক সাধনার দীক্ষা নেন৷অনুষ্ঠান শেষে প্রায় ১০০ জনকে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়িত করা হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সর্বশ্রী হরেকৃষ্ণ মাহাত ও ধনঞ্জয় মাহাত৷

 

ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট

অরুণাভ সরকার

আজ সর্বত্র বিশেষ করে সামাজিক–অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাজ করছে এক চরম অনিশ্চততা ও নৈরাশ্য৷ অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান ও শিক্ষা–এ সব মানুষেরন্যুনতম চাহিদা৷ কিন্তু কী করে এই ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করে মানুষ বেঁচে থাকবে–এইটাই অধিকাংশ দরিদ্র মানুষের কাছে সব চেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে৷ যদিও শুধু বেঁচে থাকাটাই মানুষের কাছে বড় কথা নয়, তার মানসিক ও আত্মিক উৎকর্ষ সাধনের মধ্য দিয়েই মানুষ তার জীবনের সার্থকতা খুঁজে পায়, কিন্তু সবচেয়ে গোড়ার কথা যে ন্যূনতম চাহিদা পূরণ তারই যখন ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না, তখন মানুষ অন্য চিন্তা আর কী করে করবে৷

‘আমরা বাঙালী’র বিক্ষোভ মিছিল

গত ১২ই এপ্রিল ব্যারাকপুরে‘আমরা বাঙালী’র উদ্যোগে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ও দোকানেরর সাইনবোর্ড সহ সব কাজে বাংলা ব্যবহারের দাবীতে এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়৷ এই বিক্ষোভ মিছিলটি বিকেল ৪-৫টা পর্যন্ত ব্যারাকপুর ষ্টেশন সংলগ্ণ এলাকায় পরিক্রমা করে,এরপর ব্যারাকপুর ষ্টেশনে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়৷ এই পথসভায় বক্তব্য রাখেনসর্বশ্রী অরূপ মজুমদার, শুভজিৎ পাল, দীনেশ বিশ্বাস, উজ্বল ঘোষ, জ্যোতিবিকাশ সিন্হা, জয়ন্ত দাসপ্রমুখ৷

 

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন জেলায় আমরা বাঙালী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র পেশ

আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন জেলায় ‘আমরা বাঙালী’র প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন৷ আমরা বাঙালী সচিব শ্রী বকুল চন্দ্র রায় এই খবর জানিয়ে বলেছেন---আমরা বাঙালী চায় দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, কোনরকম জাত-পাত-সম্প্রদায়ের বিভেদ না মেনে সমস্ত মানুষের সার্বিক উন্নয়ন কৃষিক্ষেত্রে কর্ষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য প্রদান, বৈজ্ঞানিক প্রথায় কৃষি, সমবায় ভিত্তিক কৃষি, সামবায়িক পদ্ধতিতে ব্যাপকভাবে কৃষিভিত্তিক ও কৃষি সহায়ক শিল্প গড়ে বেকার সমস্যার পুরোপুরি সমাধান, ঋণভারে জর্জরিত চাষীদের সমস্ত কৃষিঋণ মুকুবের ব্যবস্থা, ব্লকে ব্লকে হিমঘর তৈরী করে সমবায়ের মাধ্যমে পরিচালনার ব্যবস্থা, পঞ্চায়েতের কাজের সুবি

নববর্ষ উপলক্ষ্যে কোচবিহার ‘আমরা বাঙালী’র শোভাযাত্রা

গত ১৫ই এপ্রিল বাংলার নববর্ষ উপলক্ষ্যে ‘আমরা বাঙালী’ কোচবিহার জেলার উদ্যোগে এক গণশুভেচ্ছার কর্মসূচী পালন করা হয়৷ খাগড়াবাড়ি থেকে শুরু করেবাণেশ্বর, থানেশ্বর, গোপালপুর, ঢাংঢিংগুড়ি, রাজারহাট, পুন্ডিবাড়ি, ঘোকসাডাঙ্গা, প্রেমের ডাঙ্গা, ঘুঘুমাড়ী, বাবুরহাট, চকচকা হয়ে পুনরায় খাগড়াবাড়িতে এসে এই শোভাযাত্রাটি সমাপ্ত করা হয়৷

মেদিনীপুরে আয়োজিত তত্ত্বসভা

কেরানীটোলা ঃ গত ১৪ই এপ্রিল, শনিবার বাংলাবর্ষ বিদায় বেলায় সাড়ম্বরে আয়োজিত হল ‘প্রাউটিষ্ট ইউনিবার্র্সল’ PU) উদ্যোগে মেদিনীপুর আনন্দমার্গ স্কুলে একটি মনোজ্ঞ তত্ত্বসভা৷ উক্ত সভায় আলোচনার বিষয় ছিল ‘বর্তমান সমাজের সার্বিক অবক্ষয় ও তার থেকে পরিত্রাণের পথ’৷ প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট প্রাউট তাত্ত্বিক আচার্য রবীশানন্দ অবধূত৷ তিনি তাঁর বক্তব্যে খুব সুন্দর বিশ্লেষণের মাধ্যমে বলেন যে,সমগ্র বিশ্বজুড়ে মানুষ আজ দিশাহারা৷ এই সংকট থেকে পরিত্রাণের পথ পেতে গেলে চাই সমাজে কিছু আদর্শ মানুষ তবেই তৈরী হবে আদর্শ সমাজ৷ আধ্যাত্মিক অনুশীলন ব্যাতীত আদর্শ মানুষ গড়া অসম্ভব৷ আধ্যাত্মিক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজ গড়ার পূর্ণাঙ

মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ

কল্যাণী ১৮ই এপ্রিল ঃ গত ১৮ই এপ্রিল বুধবার নদীয়া জেলার কল্যাণীর সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ণ নবনির্মিত আবাসনে আনন্দমার্গীয় পদ্ধতিতে গৃহকর্তা নকুল চন্দ্র সাহার নতুন বাসভবনের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান হয়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাতসঙ্গীত পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দ চিতিসুধা আচার্যা ও অবধূতিকা আনন্দ রঞ্জনা আচার্যা৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ তাছাড়া সাহা পরিবারের অনেক আত্মীয়স্বজন ও মার্গী ভাইবোন উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠান শেষে আনন্দমার্গের সমাজ দর্শন নিয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷

আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে নারীর স্থান

সম্পতি আমাকে একটি দুরূহ সমস্যার সম্মুখীন হ’তে হয়েছিল৷ সমস্যাটা বা প্রশ্ণটা হয়তো কিছুটা দুরূহ কিন্তু উত্তরটা খুবই সরল৷ প্রশ্ণ ছিল, মহিলারা মুক্তি–মোক্ষের অধিকারী কি না৷

কিছুদিন আগে তোমাদের বলেছিলুম যে তন্ত্রে বলা হয়েছে, ‘‘দেহভৃৎ মুক্তো ভবতি নাত্র সংশয়ঃ’’৷ আত্মজ্ঞান লাভের ন্যূনতম যোগ্যতা হ’ল এই যে সাধককে মানুষের শরীর পেতে হবে৷ এটাই হ’ল তার ন্যূনতমযোগ্যতা৷ কৈ, এখানে তো উল্লেখ করা হয়নি যে সে সাধক নারী বা পুরুষ হবে৷ এর থেকে এটাই পরিষ্কার যে নারী–পুরুষ উভয়েই মুক্তি–মোক্ষ লাভের সমান অধিকারী৷   

ছাঁচি কুমড়ো বা চাল কুমড়ো

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ ছাঁচি কুমড়ো সাধারণতঃ মাটিতে হয় না৷ ঘরের চালাতে বা মাচাতে এই লতানে গাছটাকে তুলে দিতে হয়৷ এর জন্যে ছাঁচি কুমড়োকে গ্রাম–ক্ষাংলায় অনেকে চালকুমড়োও বলেন৷ এরও তিনটি ঋতুগত প্রজাতি রয়েছে৷ বর্ষাতী চালকুমড়োকে অবশ্যই মাচায় অথবা ঘরের চালে তুলে দিতে হয়৷ শীতের প্রজাতির ছাঁচি কুমড়োকে মাটিতেই ক্ষেড়ে যেতে দেওয়া হয়৷ তবে কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ গ্রীষ্মকালীন চালকুমড়ো মাটিতেই ক্ষেড়ে যেতে থাকে৷ (একেও) কেউ ইচ্ছে করলে মাচায় তুলে দিতে পারেন৷ তবে বর্ষাতী চালকুমড়োকে মাচায় তুলে দিতেই হবে, নইলে পোকার আক্রমণে ফলটি নষ্ট হবেই.....গাছও নষ্ট হবে৷

মিষ্টি কুমড়ো

মিষ্টি কুমড়ো বা লাল কুমড়ো বাইরে থেকে এসেছে (ভারতের সাবেকী জিনিস নয়গ্গ৷ তাই এর পুরাণোক্ত বা সংসৃক্ত কোন নাম নেই৷ এদেশে এসেছে আনুমানিক ৪০০ বছর আগে৷ এর ইংরেজী নাম ‘পাম্কিন’৷ ভারতের বিশেষ করে রাঢ়ের* মাটি লাল কুমড়োর পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় এর চাষ হু হু করে ক্ষেড়ে যাচ্ছে৷ যে ইয়ূরোপ থেকে একদিন লাল কুমড়ো এসেছিল, সেই ইয়ূরোপের চাষীরাই এখন শেওড়াফুলীর হাট থেকে লাল কুমড়োর বীজ কেনে৷ বিদেশ থেকে জলযানে অর্থাৎ ডিঙ্গি করে এসেছিল বলে রাঢ়ের কোন কোন অংশে একে ডিঙ্গি–লাউ বা ডিংলা বা ডিংলে বলে৷ এই লাউ কুমড়োকে কোথাও কোথাও মিষ্টি কুমড়ো, কোথাও বা সূয্যি কুমড়ো, আবার ময়মনসিং অঞ্চলে কোথাও কোথাও বিলাতী লাউও বলে৷