April 2018

আনন্দ নগরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

গত ২০শে মার্চ আনন্দনগরে আনন্দমার্গ উচ্চবিদ্যালয়ের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরনী সভা অনুষ্ঠিত হল৷ সেই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আনন্দনগর নিজ পুরসভার চেয়ারম্যান আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত, প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন আনন্দমার্গ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান শ্রী তপন কুমার চট্টোপাধ্যায় ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংঘের জেনারেল সেক্রেটারী আচার্য বীতমোহনানন্দ অবধূত৷

পুরস্কার বিতরণের পর ছাত্রদের আবৃত্তি, ব্যায়াম প্রদর্শনী ও অভিনীত নাটক দর্শকদের মুগ্দ করে৷

পাঁশকুড়ায় অখন্ড কীর্ত্তন

গত ৪ ও ৫ই মার্চ পূর্বমেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের, রাজনারায়ণ চকে ইউনিটে ২৪ ঘন্টা ব্যাপী অখন্ড নাম সংকীর্ত্তন (বাবা নাম কেবলম্) অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাশ শ খানেক আনন্দমার্গী উপস্থিত ছিলেন৷ এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পশ্চিম মেদিনীপুর ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য নিত্যতীর্র্থনন্দ অবধূত, আচার্য নিত্যপ্রজ্ঞানন্দ অবধূত, আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত ও আরও অনেকেই৷ দুইদিন ব্যাপী এই নামসংকীর্ত্তণের শেষে আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর বক্তব্য রাখেন পূর্ব মেদিনীপুর ভুক্তির ভুক্তি প্রধান শ্রী সুভাষ প্রকাশ পাল, আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত ও আচার্য নিত্যতীর্র্থনন্দ অবধ

আনন্দনগরে অখণ্ড কীর্ত্তন

আনন্দনগরে বাবা মেমোরিয়ালে প্রতি মাসের মত এ মাসেও গত ২৫শে মার্চ অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷ আনন্দনগর এলাকার ছাত্র-শিক্ষক ও গ্রামবাসী, আনন্দনগর ও উমানিবাসের সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনীরা---সবাই এই অখণ্ড কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷

আনন্দনগরে অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান

গত ১১ই মার্চ রোপো গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী রাণাপ্রতাপ গরাঞ-এর প্রথম পুত্রের নামকরণ ও অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে জাঁকজমক সহকারে অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য শিবব্রতানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানে শিশুপুত্রের নাম রাখা হয় ‘মণিময়’৷ আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত আনন্দমার্গের সামাজিক অনুষ্ঠানে বৈশিষ্ট্যের ওপর বক্তব্য রাখেন৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সম্প্রতি কাঁথিতে এখানকার আনন্দমার্গের ইয়ূনিট সেক্রেটারী শ্রী শীর্ষেন্দু কুন্ডুর প্রয়াত কাকু শুভেন্দু কুমার কুন্ডুর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান মার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য সুশান্তানন্দ অবধূত৷

এছাড়াও জগদীশপুরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী প্রশান্ত কুমার মাইতির প্রয়াত ঠাকুরমা হেমাঙ্গিনী মাইতির শ্রাদ্ধানুষ্ঠানও আনন্দমার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ পৌরোহিত্য করেন আচার্য-সুশান্তানন্দ অবধূত৷

পুরুলিয়ার লালপুর কলেজে যোগসাধনা ও সার্বিক বিকাশ শীর্ষক বিষয়ে আলোচনা সভা

গত ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পুরুলিয়া জেলার হুড়া ব্লকের লালপুর ডিগ্রী কলেজ ও হায়ার সেকেন্ডারী ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষদের উদ্যোগে পরপর দুটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ আলোচনার বিষয়ে ছিল -‘‘যোগসাধনা ও সার্বিক বিকাশ’’৷ স্বাগত ভাষণ রাখেন স্থানীয় হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বিশিষ্ট মার্গী শ্রী লক্ষ্মীকান্ত মাহাতো৷ এই বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত৷ প্রথম সভাটি হয় ডিগ্রী কলেজের কমিউনিটি হলে দ্বিতীয় সভাটি হয় হায়ার সেকেন্ডারী ক্যাম্পাসে৷ তিনি বলেন পুঁজিবাদ আশ্রিত ভোগবাদ গ্রাস করেছে শিক্ষা, সংসৃকতি, অর্থনীতি, রাজনীতি, প্রভৃতি সমাজদেহের প

নদীয়া জেলার শিমুরালী আনন্দমার্গ স্কুলে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শিমুরালী নদীয়া ঃ শিমুরালী (নদীয়া) আনন্দমার্গ স্কুলেরSimurali অবধূতিকা আনন্দবিভুকণা আচার্যার উদ্যোগে ও বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাবৃন্দের অকুন্ঠ সহযোগিতায় গত ২৬শে মার্চ সোমবার স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংঘের ক্রীড়াঙ্গনে শিমুরালী আনন্দমার্গ স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়৷ বক্তব্য রাখতে গিয়ে আচার্য রবীশানন্দ অবধূত বলেন আনন্দমার্গের শিক্ষাব্যবস্থায় নীতিশিক্ষাক

অর্শ ও কোষ্ঠকাঠিন্য

দধি ও ঘোলপান

যে ক্রমি (ব্যাকটিরিয়া) দুধকে দইয়ে রূপান্তরিত করে দধ্যম্লের (দম্বল বা জোড়ন) সাহায্যে সে ক্রমি স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষের শত্রু নয়৷ তবে (দইয়ে) সেই ক্রমির মৃতদেহের প্রাচুর্য ঘটলে তখন তা মানুষের পক্ষে শত্রু হলেও হতে পারে৷ পচা দইয়ে সাধারণতঃ এই ধরনের ব্যাপার ঘটে৷ তাই দইয়ে দুর্গন্ধ দেখা দিলে তা কিছুতেই ভক্ষণ করা উচিত নয়৷ দই তাজা অবস্থায় থাকলে এই ধরণের ক্রমির মৃতদেহ কম থাকে৷ দধিতে (তো মিষ্ট দধিই হোক আর অম্ল দধিই হোক) লবণ সংযোগ করলে মৃত ক্রমির বিরুদ্ধাচারণ কিছুটা প্রতিহত হয়৷ তাই ‘‘দধি লবণেন সহ ভক্ষয়েৎ৷’’

সর্দি–জ্বরে বাসক পাতার রস

বাসক পাতার বা বাসক রসের গুণ কফ মুক্তিতে ও জ্বর প্রতিরোধে৷ সর্দির বাড়াবাড়িতে ও পালাজ্বরের আক্রমণে বাসকের জুড়ি মেলা ভার৷

     ‘‘বাসি মুখে বাসকের রস খেও মধু সাথে

     বলতে পারি পালাজ্বরটি পালিয়ে যাবে এতে৷৷’’

বাসক পাতা ছেঁচে নিয়ে পাতার রস বের করে ব্যবহার করা ছাড়াও আর এক রকম ভাবে এর ব্যবহার হয়৷ বিশেষ করে সর্দির বাড়াবাড়িতে ও কফমুক্তিতে–এক মুঠো বাসক পাতা দ্বিগুণ পরিমাণ জলে সিদ্ধ করে যে ক্কাথ তৈরী হয়, তা মধুসহ দু’চামচ দিনে কয়েকবার খেতে হয়৷

কেরল প্রসঙ্গে কিছু কথা

সে আজ অনেকদিন আগেকার কথা৷ সেটা সম্ভবতঃ খ্রীষ্টপূর্ব ৫৩৪ সাল৷ রােের রাজকুমার বিজয় সিংহ জলপথে সিংহলে আসেন–সঙ্গে নিয়ে আসেন সাত শত–র মত অনুচর৷ তখন রােের রাজধানী ছিল সিংহপুর (বর্তমানে হুগলী জেলার সিঙ্গুর)৷ আর বন্দর ছিল সিংহপুরেরই নিকটবর্তী একটি স্থানে৷ পরবর্তীকালে সেই স্থানটির নাম হয়ে যায় সিংহলপাটন (স্থানটি সিঙ্গুরেরই কাছে)৷ বিজয় সিংহ লঙ্কা জয় করেন৷ তিনি ও তাঁর অনুচরেরা স্থায়ীভাবে লঙ্কায় বসবাস করেন৷ এঁরাই হলেন বর্তমান সিংহলী জনগোষ্ঠীর পূর্ব–পুরুষ৷ এই সিংহলীরা চালচলনে রীতিনীতিতে, আচারে ব্যবহারে বাঙালীদের খুবই নিকট৷ মুখাবয়ব বাঙালীদের মতই৷ কথা না বললে কে বাঙালী কে সিংহলী চেনা দায়৷ সিংহলী ভাষা বাংলা