April 2018

শ্রেষ্ঠ যাঁরা সৃষ্টি মাঝে

সুরঞ্জন সরকার

দেশ বরেণ্য মহামান্য গুণে গরীয়ান

দেশের জন্য নানাদিকে আছে যাঁদের দান৷

বীর বাঙালী বঙ্গসেনা বালক ক্ষুদিরাম,

ভারতবাসী কেউ কখনো ভুলবেনা তাঁর নাম৷

বিনয়–বাদল–দীনেশ সবাই অগ্রগণ্য,

দেশের জন্য জীবন দিয়ে এঁরাই হলেন ধন্য৷

মাষ্টারদা সূর্যসেন আর তীতু–মাতঙ্গিনী,

আজও এঁদের ত্যাগের কথা ভুলতে পারিনি৷

গান্ধী–সুভাষ–অরবিন্দ্,

স্বাধীনতার জন্য এঁরা সব ছিলেন তৎপর৷

রফিক–শফিক–সালাম মিলে,

ভাষার জন্য জীবন দিয়ে স্বর্গে গেলেন চলে৷

বঙ্গবন্ধু–বীরেন্দ্র আর রাজীব–ভারতমাতা,

সন্ত্রাসীদের শিকার হলেন এসব মহান নেতা৷

আমি তো রোজ স্বপ্ণ দেখি

শ্রী রবীন্দ্রনাথ সেন

আমি তো রোজ স্বপ্ণ দেখি নতুন ভোরের

আমি তো রোজ স্বপ্ণ দেখি নতুন দিনের

অমানিশার অবসানে এসেছে নতুন ঊষা

দেখেছি তিমির বিনাশী নতুন দিশা

উদার আকাশে বিহঙ্গরা মেলে পাখা

মুক্ত বাতাসে দোলে সবুজের শাখা৷

দেখি পৃথিবীর সাজিখানি ভরা নানা ফুলে

কাঞ্চন কেয়া কুন্দ কুমুদ কমলে

সুষ্ঠু সবল সুন্দর সতেজ প্রতি দল

সুরভিত সুশোভিত হাসে অনুপল

শ্যামল সুন্দর মধুর ধরাতল৷

মানুষে মানুষে নেই বিভেদ ঘৃণা–বিদ্বেষ

জ্ঞানের আলোয় ভরা মুক্ত বুদ্ধির এক দেশ৷

শোষণ বঞ্চনা নেই,

নেই নিদারুণ যন্ত্রণা অনাহার

তোমায় আমি ভালবাসি

রামদাস বিশ্বাস

আমার গানের সুরে নীল–নীলিমায় দূরে

তোমার গীতির ধারা বয়ে যায়৷

তোমার প্রেমের স্রোতে অনন্ত এই পথে

আমার জীবন যায় ভেসে যায়৷৷

গান শোণাতে বাজাও বাঁশী

মধুর চেয়েও মিষ্টি হাসি

হাসো তুমি কাছে–দূরে বিশ্বভূবন ঘুরে ঘুরে

দোলাও হৃদয় মধুর দ্যোতনায়৷৷

তোমায় আমি ভালবাসি

ভালবাসি ভালবাসি

আমার মুখে তোমার ভাষা আমার বুকে তোমার আশা

আমার আশা যাচি গো তোমায়৷৷

 

ব্রহ্ম

নিউটন বিশ্বাস

মায়ার বাঁধন কাঁদে, মৃত্যু নদী খেয়া পারাপারে

জীবনের ভেলাখানি ভাসে দুঃখ বেদনার তীরে

সাধন সঞ্চয় কেবা ধরে রাখে কামনার ভীড়ে,

নিত্যব্রত শুদ্ধ সাধনার বেদী থাকে একধারে৷

নিয়তির দাসখত লিখে রাখে সব ইতিহাস

কোন পাপ-পুণ্যে জন্ম-মৃত্যু গঙ্গাপুত্র কুন্তী-কর্ণ

অবিনশ্বর আত্মার মূর্ত্তি নিয়ত বিভক্ত বর্ণ

যুক্তিহীন মুক্তির মহিমা জীবনে ক্রীতদাস৷

কলঙ্কের কালিঘাটে ঊলুধবনি পিতৃহীন রাধা

পরাশর বীর্য্যে বেদব্যাস অন্ধ সাধনে গান্ধারী

কুরুক্ষেত্রে শরশয্যা মায়াজাল রেখেছে বিস্তারি.....

জন্মান্তরের বেদনা কোন অচেনা শিকলে বাঁধা

নাছোড়বান্দা চাটুকার

পৃথিবীর সব দেশেই, এমনকি সব শহরেই কিছু সংখ্যক খুশামুদে ও উন্নত মানের অনারারী মুসাহিব আছে৷ মাইনে পাওয়া মুসাহিবদের চেয়েও অনারারী মুসাহিবেরা আরও বেশী মুসাহিক্ষী করে থাকে৷ একটা গল্প বলি শোনো–

স্বপ্ণপূরণের লক্ষ্যে ভারতের সবথেকে দ্রুত সাঁতারু বীরধবল খাঁড়ে

এ এক Kharenঅধরা স্বপ্ণ যা কিছু পারিবারিক চাপের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়ে অধরায়ই থেকে যেত৷ কিন্তু না মনের জোর ও চেষ্টা সব প্রতিকূলতাকেই জয় করে আবার প্রতিষ্ঠিত হবার সাহস জোগায়, তা প্রমাণ করে দিলেন ভারতের সবথেকে দ্রুত সাঁতারু বীরধবল৷ তিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সে ক্রীড়াজগতে বিশাল খ্যাতি অর্জন করেছিলেন৷ ১৬ বছর বয়সে অলিপিক্সে সবচেয়ে অল্পবয়সি ভারতীয় সাঁতারু হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন৷ ২০১০ সালে এশিয়ান গেমসে

জনপ্রিয়তার শিখরে ইণ্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা, তারপরই শুরু হবে ইণ্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের মহারণ৷ আগামী ৭ই এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে ইণ্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আই.পি.এল)৷ ক্রিক্রেট ও গ্ল্যামারের সব থেকে বড় নিদর্শন এই প্রিমিয়ার লিগ৷ কোটি কোটি টাকার দল, খরচের পর খরচ করে এই আই পি এলকে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

আনন্দমার্গের  ধর্মমহাসম্মেলন

গত মার্চ মাসে  আনন্দমার্গের  পক্ষ থেকে  ২টি  ধর্ম মহাসম্মেলনের  আয়োজন  করা হয়৷  একটি গোড্ডায় --- ১০ ও ১১ মার্চ, অপরটি  রাঁচীতে--১৭ ও ১৮ই  মার্চ ৷ দুই জায়গাতেই  আনন্দমার্গের  পুরোধা প্রমুখ  আচার্য কিংশুক রঞ্জন সরকার  আধ্যাত্মিক প্রবচন  দান করে সমবেত  আনন্দমার্গীদের  আধ্যাত্মিক সাধনা  ও  সমাজসেবায়  বিশেষভাবে  অনুপ্রাণিত করেন৷

বাঙলাদেশে সমাজসেবায় আনন্দমার্গ

গত ৩১শে মার্চ বাঙলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার রায়পুর গ্রামে প্রায় ৩০টি পরিবারের ঘরবাড়ী অগ্ণিদগ্দ হয়ে যায়৷

এই দুর্গত পরিবারগুলির  মধ্যে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টীমের পক্ষ থেকে খাদ্যদ্রব্য, দুধ, বিসুকট, চিড়া-মুড়ি, জামাকাপড় প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ করা হয়৷ এই ত্রাণকার্য পরিচালনা করেন বাঙলাদেশের রিজিওনাল সেক্রেটারী (মহিলা বিভাগ) অবধূতিকা আনন্দনিত্যনবীনা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ মধুকল্পা আচার্যা ও চাঁদপুর ভুক্তির ভুক্তিপ্রধান মুকুল চন্দ্র রায়৷

আনন্দনগরে বলাণ্টিয়ার্স সোস্যাল সার্বিসের পক্ষ থেকে নারায়ণ সেবা

 গত ২৫শে মার্চ বলাণ্টিয়ার্স সোস্যাল সার্বিসের (V.S.S.) পক্ষ থেকে আচার্য সংশুদ্ধানন্দ অবধূতের পরিচালনায় পুন্দাগ বস্তিতে দরিদ্র নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷ প্রথমে কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনা হয়৷ এরপরে সযত্নে ছয় শতাধিক গ্রামবাসীকে ভাত, ডাল, তরকারী পরিবেশন করা হয়৷ উল্লেখ্য ভি.এস.এস.-এর পক্ষ থেকে প্রতি মাসেই এমনিভাবে বিভিন্ন গ্রামে নারায়ণ সেবার ব্যবস্থা করা হয়৷