May 2018

প্রিসাইডিং  অফিসার  অপহরণ ও খুন

Rajkumar Royউত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের সোনারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রিসাইডিং  অফিসার হিসাবে বোট (ভোট) পারিচালনা  করছিলেন রামকুমার রায়৷ এইদিন দুপুরে, একদল  মানুষ তাকে অপহরণ  করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ৷ পরদিন রাতে রাইগঞ্জের সোনাডাহিতে রেললাইনের ধারে তার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়ে থাকতে  দেখা যায়৷

দলীয় রাজনীতির বলি কলেজ-ছাত্র

কলেজ ইয়ুনিয়নে দলীয় রাজনীতির অনুপ্রবেশের সবচেয়ে বড় কুফল হ’ল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুগত ইয়ুনিয়নদের মধ্যে সংঘর্ষ৷ এখন প্রায় সর্বত্র  তৃণমূল কংগ্রেসের  অনুগত টি.এম.সিপি’র ইয়ুনিয়ন৷ অধিকাংশ কলেজে অন্যান্য ইয়ুনিয়ন প্রায় নিশ্চিহ্ণ৷ এ  অবস্থায় আবার  নূতন সমস্যা  দেখা  দিয়েছে, একই  তৃণমূল কংগ্রেসের  বিভিন্ন গোষ্ঠীর অনুগত ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দিচ্ছে৷ যেমন, কলকাতার দীনবন্ধু এন্ড্রুজ কলেজে  টি.এম .সি.পি’রই দু-গোষ্ঠীর মধ্যে ১৬ই মে ছাত্র সংঘর্ষে  প্রায় ১৪ জন আহত হয়েছে৷ এদের মধ্যে ৫ জন ছাত্রা৷ এদের অনেককে এস আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ দুইগোষ্ঠীর তরফ থেকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হামলাবাজির অভ

এক বিধায়ক= ১০০ কোটি টাকা, কর্ণাটকে সরকার গড়ার শপথ নিল বিজেপি

কর্ণাটকে  সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের  ফলাফল ঘোষিত  হল ১৫ই মে৷  মোট ২২৪ টি আসনের মধ্যে  নির্বাচন হয়েছে ২২২ টি আসনে৷ ২টি আসনে নির্বাচন স্থগিত  আছে৷ নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা পেল বিজেপি পেয়েছে ১০৪, কংগ্রেস ৭৮,  জেডি (এস) ৩৭, বি এস পি ১, অন্যান্য ২৷

রবীন্দ্রনাথ, ঊনিশে মে ও বাংলাভাষা

সুকুমার সরকার

বঙ্গভঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভীষণভাবে পীড়া দিয়েছিল৷ তাই বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সকল বাঙালীকে একত্রিত করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রচলন করেছিলেন ‘রাখি বন্ধন’ উৎসবের৷ যা আজও পালিত হয়ে থাকে৷ তবে কালক্রমে বঙ্গভঙ্গ কিন্তু হয়েই গেছে৷ সেই ভাঙ্গা বাংলার গানও লিখে গেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

                ‘‘মমতাবিহীন কালস্রোতে

                বাংলার রাষ্ট্রসীমা হতে

                নির্বাসিতা তুমি

                সুন্দরী শ্রীভূমি–’’

বিশ্বৈকতাবাদ দ্বারা ধর্মের প্রতিষ্ঠা

পরমসত্তা যখন প্রকৃতির বন্ধন থেকে মুক্ত, সেই অবস্থা হচ্ছে নির্গুণ আর বন্ধনযুক্ত পরমসত্তা সগুণ৷ সগুণেও আছে দু’টি বিভাগ–একটা তার রূপময় অস্তিত্ব আর অন্যটি অরূপ৷

মানুষের মধ্যে যে বুদ্ধি, বোধি, আমি–বোধ (I-feeling) ইত্যাদি আছে এরা সব অরূপ৷ সেই রকম সগুণ ব্রহ্মেরও বুদ্ধি, বোধি ও আমি–বোধ অরূপ৷ সেইজন্যে সেগুলির কোনটাই আমরা দেখতে পাই না৷

গণতন্ত্র ও সদ্বিপ্রতন্ত্র

নানারকম শাসন পদ্ধতি রয়েছে, আর তাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশী প্রশংসিত৷

গণ + তন্ + ত্রৈ + ড = গণতন্ত্র৷ ‘তন্ত্র’ শব্দের অর্থ হ’ল নিয়ন্ত্রিতভাবে বা বিধিবদ্ধ পদ্ধতিতে কোন কিছুকে বাড়িয়ে দেওয়া৷ আবার তং  ত্রৈ  ড করেও ‘তন্ত্র’৷ এখানে ‘তন্ত্র’ শব্দের অর্থ হচ্ছে জড়তা থেকে মুক্ত করা৷ ‘ত’ মানে জড়তা৷ ‘গণতন্ত্র’ মানে গণতার সাহায্যে মানুষকে জড়তা থেকে মুক্ত করা, অথবা বিধিবদ্ধভাবে তাদের জন্যে ত্রাণের রাস্তা তৈরী করে’ দেওয়া৷ ‘গণতন্ত্র’ শব্দটি’–র যথার্থ প্রতিভু না হলেও মোটামুটি অর্থে চলতে পারে৷

১৯শে মে–বাঙ্লা ভাষা শহীদ দিবস প্রসঙ্গে

অাচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

১৯৬১ সালের ১৯শে মে শিলচরে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার দাবীতে বাঙালীদের আন্দোলন ও পুলিশের গুলিতে ১১ জনের প্রাণ দেওয়ার ঘটনাকে আজ ভারতের বাঙালীরা প্রায় ভুলেই গেছে বললে হয়৷ অসমের বরাক উপত্যকা চিরকালই বাঙলাভাষী এলাকা৷ কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের চক্রান্তে ও স্বাধীনতার পর হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের ফলে অবিভক্ত বাঙলার (অবশ্যই বাংলাভাষী) বিশাল এলাকা অসমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়৷ শুধু তাই নয়, বাঙালীদের মাতৃভাষা শিক্ষা ও সরকারী কাজে তাঁদের মাতৃভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে যায়৷ এর বিরুদ্ধেই ১৯৬১ সালে বাঙালীরা গর্জে উঠেছিলেন ও তাঁরা এর প্রতিবাদে প্রবল আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন৷ সেই আন্দোল

‘প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব’ নামকরণের তাৎপর্য

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার তাঁর নোতুন সামাজিক-অর্থনৈতিক তত্ত্বের নামকরণ করেছেন ‘Progressive Utilization Theory’’ ( এরই সংক্ষিপ্ত রূপ (PROUT) প্রাউট৷ এর  বাংলা হল প্রগতিশীল  উপযোগ তত্ত্ব৷ প্রশ্ণ জাগতে পারে প্রাক্তন প্রবক্তা তাঁর  তত্ত্বের  নাম এরূপ রাখলেন কেন?

‘ওই মহামানব আসে!’

জিজ্ঞাসু

আমরা সাধারণ মানুষেরা, ঋষি কবির ওই বাণীতে আস্থা  হারাচ্ছিলাম, কারণ আমরা এমন একটা যুগ  সন্ধিক্ষণের  সাক্ষী যেখানে ব্যবসার নামে সর্বনাশ বিক্রি হয়৷  ডাক্তারীর নামে ডাকাতি হয়৷  উকিল ও বিচারকেরা বিক্রি হয়ে যান৷ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তোতাপাখী তৈরী করে৷ খবরের মাধ্যমগুলি তিলকে তাল, বা তালকে তিল বানায় নিজেদের  স্বার্থ দেখে৷ বেশীর ভাগ কিশোর-যুবদল নেশাগ্রস্ত  হয়ে হতাশায় ভোগে৷ দারিদ্র্যের শিকার হয়৷ ব্যাংকগুলিকে ভরসা করা যায় না৷ মন ভারাক্রান্ত, অশান্ত, বিক্ষুব্ধ, সন্দেহপ্রবণ!

ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বাঙালী যুবকের মৃত্যু

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে  দেখা যাচ্ছে, গ্রামাঞ্চলের  অধিকাংশ যুবক কাজের উদ্দেশ্যে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে৷  অন্যরাজ্যে গিয়ে তারা যে খুব ভালভাবে  আছে, তা কিন্তু  নয়৷

হুগলির  ধনিয়াখালির এক যুবক গুজরাতের দিশা থানার পালংপুরে কাজ করতে যায়৷ হঠাৎ খবর  পাওয়া যাচ্ছে, ওই যুবক নাকি  গলায়  দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ ওই যুবকের  নাম শান্তনু সাঁতরা৷ সে সোণা-রূপার কারিগরের কাজ করত৷ শোণা যাচ্ছে,  তার সঙ্গে মালিকের  টাকা-পয়সা নিয়ে গোলমাল চলছিল৷ এখন  ওই মালিকই শান্তনুকে মেরে  ফেলেছে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে৷ শান্তিপুর বাড়ীর লোকের অন্ততঃ তাই ধারণা৷