September 2018

প্রগতিশীল উপযোগতত্ত্বের পঞ্চমূল নীতি

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

সর্বাধিক উপযোগের সঙ্গে বলা হয়েছে ‘যুক্তিসঙ্গত বণ্টনে’র কথা৷ সমাজের আজ যে প্রচণ্ড রকমের অর্থনৈতিক বৈষম্য, এর অবসান হওয়া উচিত৷ এজন্যে মূলনীতি হবে ঃ

কৌষিকী দিবসে কৌষিকী ও তাণ্ডব নৃত্য প্রতিযোগিতা

৬ই সেপ্টেম্বর কৌষিকী দিবস৷ ১৯৭১ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর মেয়েদের দৈহিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক উন্নতি বিধানের জন্যে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী কৌষিকী নৃত্যের প্রবর্তন করেছিলেন৷

ইতোপূর্বে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পুরুষদের শারীরিক, মানসিক বিকাশের জন্যে ও তাদের সাহস ও পৌরুষভাব বাড়িয়ে তোলার জন্যে সদাশিব প্রবর্ত্তিত তাণ্ডব নৃত্য, যা প্রায় লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, সেটিকে জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রচার করেন৷ এটির নিয়মিত অভ্যাসে পুরুষদের সাহস ও পৌরুষ বৃদ্ধি পাবে ও এটি মস্তিষ্কের সর্বোত্তম ব্যায়াম৷

আনন্দমার্গ স্কুলের  ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের  বিশেষ  সম্মেলন

আনন্দমার্গের ‘এডুকেশন রিলিফ এ্যান্ড ওয়েলফেয়ার  সেক্সনে’র সেকটরিয়্যাল  এরজ সেক্রেটারী আচার্য তথাগতানন্দ অবধূত জানিয়েছেন, আগামী ৬ই ও ৭ই অক্টোবর কলকাতায় আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় আশ্রমে দিল্লি সেক্টারের সমস্ত আনন্দমার্গ স্কুলের  ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের (টিচার্জ-ইন-চার্জ) জন্যে এক বিশেষ সম্মেলনর  আয়োজন করা হয়েছে৷ এই সম্মেলনে আত্মোন্নতি ও আদর্শ সমাজ  নির্র্মণের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  নিয়ে আলোচনা করা হবে৷

প্রাচীনকালে নারীর স্থান

সুপ্রাচীনকালে যখন পৃথিবীর সর্বত্র মাতৃগত কুল–ব্যবস্থা ছিল, ছিল মাতৃগত দায়াধিকার ব্যবস্থাও, সেই সময় মানুষ মাতার পরিচয়ে নিজের পরিচয় দিত৷ পিতৃপরিচয় অনেকেরই থাকত না৷ যাদের থাকত, সেটাও খুব গৌণ জিনিস বলে গণ্য করা হ’ত৷ সেই সময়কার মানুষ স্বাভাবিক নিয়মে মাতা–মাতামহীর নামে নিজের পরিচয় দিত৷ কারও মাতা বা মাতামহী সদ্বংশজাতা, শিক্ষিতা ও প্রশংসনীয় স্বভাবের হলে লোকে তাঁর কথা বলতে গৌরব বোধ করত৷ 

(‘‘কৌঞ্জ’’, শব্দচয়নিকা’, ‘৯ম পর্ব)

খাদ্যরস

খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, বড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কামরা

ছাত্র–ছাত্রাদের স্মরণ শক্তি বাড়ানোর উপায়

(১)Repetition প্রয়োগ অর্থাৎ মুখস্থ করা বিষয় লেখা বা অন্যকে শোণানো (২) পাঠ্য বিষয় এমন ভাবে পড়া যাতে কানও শুণতে পায় (৩) অধীত (পাঠ্য বিষয় যা আয়ত্ত করা হয়েছে) বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ catch-word একটা ছন্দের মধ্যে সাজিয়ে নিয়ে মনে রাখা (৪) প্রাক্–প্রত্যুষে যখন বাহ্যিক পরিবেশ শান্ত থাকে তখন অবশ্যই পড়ার অভ্যাস তৈরী করা (৫) কয়েকটি আসন যেমন মৎস্যমুদ্রা, জ্ঞানাসন, শশঙ্গাসন অভ্যাস করা আচার্য শেখাবেন (৬) মাঝে মাঝে ব্রাহ্মী শাক, স্বল্প পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া  (৭) শাঁখালুর রস প্রত্যহ পান করা (৮) গুরুধ্যান৷      

(দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য থেকে)

প্রভাতী

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

ও–ই ঘুচেছে অন্ধকার–

ও–ই খুলেছে বদ্ধদ্বার

ভোরের আলোর আলতো চুম

কাঁপালো শরীর ভাঙলো ঘুম৷

কালো রাতের বক্ষ চিরে

আলোর ধারা ঝরুক শিরে৷

বিহঙ্গরা ছেড়েছে নীড়,

ঢেউ ভেঙেছে নদীর তীর৷

সবুজ ক্ষেতের অবুঝ হাসি,

রাখাল বাজায় খুশীর বাঁশি

পাপড়ি মেলে ফুল দুললো

মউমাছিরা উৎফুল্ল৷

পাখীর শিসে ধানের শীষে

আনন্দ আজ কার যে কিসে৷

ভোরের আলো গায়ে মেখে

ঘর থেকে সব আনছে ডেকে৷

দুষ্টু যত ছেলেমেয়ে

বন বাদাড়ে ছুটছে ধেয়ে৷

ও–ই ঘুচেছে অন্ধকার

লাগলো প্রাণে ছন্দ কার?

নয়নতারা

রাধাগোবিন্দ মন্ডল

নয়নের দুয়ারে তুমি আলোক প্রদীপ

না তুমিই নয়নতারা

এ কথার স্বরূপ বুঝতে

হই আমি দিশাহারা৷

 

দুর্ভাগ্যময় জীবনের তুমি প্রেমদাতা

না সাজতে প্রেমগুরু তুমি

জন্ম নিয়েছ পৃথিবীতে

ঘুচাতে চোখের ছানি৷

 

মোদের রাজত্বে আজ সন্ত্রাস ঢুকেছে

না সন্ত্রাসের জন্ম এখানেই

সর্বনাশা তুফান আসুক

কাণ্ডারী আছে ভয় নাই৷

নোতুন দিনের স্বপ্ণ

সুখরঞ্জন সরকার

নোতুন যুগ এসে গেছে, এলো নতুন দিন,

নোতুন দিনের স্বপ্ণে আমার  মন হ’ল রঙিন৷

নোতুন দিনে মনটাকে তাই নোতুন করে নিয়ে,

মিশে যাব সবার মনে ভালোবাসা দিয়ে৷

মনের মাঝে উঠছে বেজে, নোতুন নোতুন সুর,

এই সুরেতে মনের বিষাদ করব আমি দূর৷

সবার সাথে মিলে মিশে বাঁধব সুখের ঘর,

সবাই আমার হবে আপন থাকবে না কেউ পর৷

হাসিমুখে সবার সাথে করব আলাপন,

করব নাকো কারো সাথে অসদ্ আচরণ৷

সুখ–দুঃখের সমভাগী হব সবার সনে,

হিংসা দ্বেষের ঘৃণ্য বাসা বাঁধবো নাকো মনে৷

ধর্ম বর্ণের বিঘ্ণ বিভেদ ভুলে যাবে মন,