March 2019

এস.এস.সি চাকরী প্রার্থীদের প্রায় চার সপ্তাহ ধরে অনশন

কলকাতা, ২৬ মার্চ ঃ কলকাতার মেয়োরোডে  গত ২৮শে ফেব্রুয়ারী থেকে ৪৫০ জন এসএসসি চাকুরীপ্রার্থী  এ পর্যন্ত  অনশন  করে চলেছেন৷ অনশনকারীদের দাবী সম্পূর্ণ ন্যায্য হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি প্রদর্শন করছেন না৷ তাদের দাবী, প্রায় ৫/৬ হাজার  এসএসসি চাকুরীপ্রার্থী  প্যানেলভুক্ত হয়ে আছেন৷  তাঁদের  পরীক্ষা দেওয়ার জন্যে মামলা করতে হয়েছিল, পরীক্ষা দেওয়ার পর ফল প্রকাশিত  না হওয়ায়ও মামলা  করতে হয়েছিল,আবার ফল প্রকাশের পর প্যানেল হয়েও চাকরীর নিয়োগপত্র  পেতে মামলা  করতে হয়েছে বার বার৷ যদিও শিক্ষামন্ত্রী তাদের  দাবী পুরোপুরি মানতে রাজী নন, তাঁরা আদৌ কৃতকার্য কিনা  এ বিষয়েও তিনি সন্দেহ  প্রকাশ

রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের ন্যক্কারজনক লড়াই

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭১ বছর হলো আমরা নাকি স্বাধীন হয়েছি৷ ছেলেবেলায় কবিতায় পড়েছি ‘‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা!’’ সত্যই কি আমাদের দেশে দরিদ্র জনসাধারণ বর্তমানে সবাই দুবেলা দু’মুঠো অন্ন পায়? সমীক্ষায় বলা হয় আজও এদেশে জনগণের জীবন জীবিকার মান অন্য দেশের চেয়ে অনেক নীচে পড়ে আছে! কিন্তু বেশ কিছু ধনী ও রাজনীতির ব্যবসাদারগণ অর্থাৎ দলীয় রাজনীতিকে যারা একধরণের কারবার হিসাবে গ্রহণ করেছে তারা এ দল সে দল করে, দল ভাঙ্গাভাঙ্গি করে নিজেদের ব্যষ্টিজীবনে ও দলীয় ভাবে ক্যাডাররা আখের গুছিয়ে নিচ্ছে৷ হতভাগ্য সাধারণ মানুষ যে তিমিরে সেই তিমিরে পড়ে আছে !

নব্যমানবতাবাদ

মানুষ চলতে শুরু করেছে যখন, নিজের কথাটা যতটা ভেবেছে, অন্যের কথাটা ততটা ভাবেনি৷ অন্য মানুষের কথাও ভাবেনি, আর মনুষ্যেতর জীব–জন্তুর কথাও ভাবেনি, গাছ–পালার কথাও ভাবেনি৷ অথচ একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবলে দেখা যাবে যে, নিজের কাছে নিজের অস্তিত্ব যতটা প্রিয়, প্রত্যেকের কাছে তাদের নিজের নিজের অস্তিত্ব ততটাই প্রিয়৷ আর সব জীবের এই নিজ অস্তিত্বপ্রিয়তাকে যথাযোগ্য মূল্য না দিলে সামগ্রিক ভাবে মানবিকতার বিকাশ অসম্ভব৷ মানুষ যদি ব্যষ্টি বা পরিবার,জাত বা গোষ্ঠীর কথা ভাবলো, সামগ্রিক ভাবে মানুষের কথা না ভাবলো–সেটা অবশ্যই ক্ষতিকর৷ কিন্তু মানুষ যদি সামগ্রিকভাবে জীবজগৎ, উদ্ভিদ জগতের কথা না ভাবলো সেটা কি ক্ষতিকর নয় মানবিক

পূর্বাদ্র তত্ত্ব

পশ্চিমবঙ্গ, বাঙলাদেশ, ত্রিপুরা ও অসম সমন্বিত ভারতের পূর্বাঞ্চলের এই বিশাল ভূভাগটি জলবায়ুর দিক থেকেও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ৷ সমগ্র অঞ্চলের জলবায়ুই উষ্ণ ও আর্দ্র৷ সমুদ্র কাছাকাছি বলে শীত–গ্রীষ্মও ততটা প্রখর নয়৷ তথাপি এর পশ্চিম অংশের সঙ্গে পূর্বাংশের জলবায়ু–গত কিছুটা পার্থক্য আছে৷ পশ্চিমাংশের সমভূমিতে গ্রীষ্মে ১২০০ ফারেনহাইট পর্যন্ত উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় আবার শীতকালে উষ্ণতা ৫৫০ ফারেনহাইটে নেমে আসে৷ কিন্তু পূর্বাংশে অর্থাৎ ত্রিপুরা–সমে জলবায়ু অপেক্ষাকৃত সিক্ত ও আর্দ্র৷ পশ্চিমের রাঢ় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যেখানে গড়ে ৫০ –৫৫  সেখানে পূর্বাঞ্চলের অসম–মেঘালয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের গড় পরিমাণ ৫০৮ ৷ উত্তরে দার্জিলি

‘‘বোটের লাগিয়া ভিখারি সাজিনু’’

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

এককালে জঙ্গীপুর (মুর্শিদাবাদ) এর দাদাঠাকুর প্রচলিত নির্বাচন ব্যবস্থায় ধনিক শ্রেণীর ভোট ভিক্ষাকে ব্যঙ্গ করে গান বেঁধেছিলেন ও নিজেই জমিদারের বিরুদ্ধে একজন দরিদ্র অশিক্ষিত মানুষকে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তার পক্ষে দলবল নিয়ে ওই গান গেয়ে প্রচারেও নেমেছিলেন৷ সেই দাদাঠাকুরের বাঁধা গানে ছিল---

‘‘আমি ভোটের লাগিয়া

ভিখারি সাজিনু,

ফিরিনু গো দ্বারে দ্বারে’’

বা---

‘‘ভোট দিয়ে যা ও ভোটাররা

মাছ কুটলে মুড়ো দেব---

ধান ভানলে কুঁড়ো দেব

কালো গোরুর দুধ দেব

দুধ খাওয়ার বাটি দেব

ভোট দিয়ে যা ও ভোটাররা৷’’

লোকপাল নিয়োগে প্রশাসন প্রকৃতই দুর্নীতিমুক্ত হবে কি?

অরুণাভ সরকার

আন্না হাজারের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হিসেবে ভারতের লোকপাল নিয়োগ হ’ল৷ ভারতের প্রথম লোকপাল চেয়ারম্যান হলেন সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বাঙালী বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষ৷

লোকপাল আইনে কী আছে? লোকপাল নিয়োগে কি সত্যই কেন্দ্রীয় প্রশাসন দুর্নীতিমুক্ত হবে? প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সমস্ত মন্ত্রী ও আমলাদের পুরোপুরি দুর্নীতি বন্ধ হবে?

বাংলা বানান সংস্কার - ‘ভোট’ নয়, ‘বোট’

শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার

আমরা এই পত্রিকায় Vote কে বোট  লিখছি এই  কারণে  যে ইংরেজী V’ শব্দটির  যথার্থ উচ্চারণ বাংলার  অন্তস্থ-‘ব’৷ কিন্তু  বর্তমান  বাংলা বর্ণমালায়  বর্গীয় - ৰ ও অন্তঃস্থ ‘ব’ একইভাবে  লেখা হয়--- যা  যুক্তিসঙ্গত  নয়৷  কারণ  বর্গীয় ‘ৰ’ --- অর্থাৎ (প, ফ -এর  পর যে ব’  তার উচ্চারণ  ইংরেজী B’ -এর  মতো৷ তাই  মহান দার্শনিক  শ্রী প্রভাতরঞ্জন  সরকারের  অভিমত, বর্গীয় ‘ৰ’--- কে  ‘’ -এইভাবে  লেখা উচিত, আর  অন্তঃস্থ  ‘ব’  কে ‘ব’ যেমন  লেখা হয়  সেভাবেই  লেখা উচিত৷ 

তাই  ইংরেজী  শব্দ Bat , Ball , Ban -কে বাংলায়  লিখতে হবে যথাক্রমে ব্যাট, ৰল, ৰান

অমানবিকতার নিদর্শন ও অধিকার আদায়ের লড়াই

বীরেশ্বর মাইতি

সর্বভারতীয় একটি সমীক্ষায় প্রকাশিত --- ৪৫ বছরের মধ্যে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা সর্বাধিক৷ আগুনের মতো হু হু করে বাড়ছে দেশে বেকার উচ্চশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা৷ কেন্দ্র রাজ্য কোন সরকারই বেকারত্ব সমাধানের জন্য এগিয়ে আসছে না৷ আমাদের রাজ্যে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে কখনো কখনো কিছু কিছু সমাধান বাতলে দেন৷ যেমন ধরুন চপ শিল্প বা তেলে ভাজা শিল্প৷ আমরা এমন একটা দেশে বাস করি যেখানে বেকার যুবকদের চাকরি দাবীতে আন্দোলন করতে হয়৷ যে আন্দোলন পুলিশের লাঠির আঘাতে শেষ হয়ে যায়, শুরু হয় অবদমন৷ যে দেশ চাকরীর নিয়োগ এর পরীক্ষায় সীমাহীন দুর্নীতি স্বজন পোষণ বেআইনি অর্থ আদান-প্রদান এসব অনায়াসে ঘটতে পারে৷

পত্নী/জায়া/ভার্যা/কলত্র

(মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর শব্দ চয়নিকা–২৬ খণ্ড গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে ‘নারীর মর্যাদা’ বিষয়ক অনেক কিছুই বলেছেন৷ ওই গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ সংকলিত করে প্রকাশ করা হচ্ছে৷                 –সম্পাদক)