November 2020

প্রণব রায়ের স্মরণসভা

গত ১৩ই অক্টোবর সন্ধ্যায় পরলোকগত প্রণব রায়ের স্মরণে ‘নোতুন পৃথিবী’ কার্যালয়ে একটি স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ গত ২রা অক্টোবর ,২০২০ প্রণব রায় পরলোক গমন করেন৷ দীর্ঘ ৪০ বছরের বেশি সময় তিনি নোতুন পৃথিবী পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ পত্রিকার প্রুফ দেখা ছাড়া নানা দপ্তরী কাজও করেছেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে৷ 

এইদিন সন্ধ্যায় সাপ্তাহিক ধর্মচক্রের পর স্মরণ সভা শুরু হয়৷

স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন মার্গের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত,নোতুন পৃথিবী পত্রিকার সহসম্পাদক আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত, জেনারেল ম্যানেজার আচার্য বিশ্বদ্যোতনানন্দ অবধূত ও নোতুনপৃথিবীর সকল কর্মীবৃন্দ৷

করোনা সংক্রমণের বিদায় দ্রুত হবে না - আর্থিক সংকট ভয়াল রূপ নেবে

ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের পূর্বাভাষ মোটেই সুখকর নয়৷ সম্প্রীতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও বিশ্ব ব্যাঙ্ক যে আশঙ্কার পূর্বভাষ দিয়েছিল, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের পূর্বাভাষ সেই আশঙ্কা কয়েকগুন বাড়িয়ে দিল৷ আন্তর্জাতিক  অর্থভাণ্ডারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে--- এই অর্থবর্ষে ভারতে আর্থিক সঙ্কোচন ১০.৩ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা, যদিও বিশ্বব্যাঙ্কের  পূর্বাভাষ ছিল ৯.৬৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাষও বিশ্বব্যাঙ্কের কাছাকাছি ---৯.৫৷ ভারত সরকারের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কে.ভি. সুরহ্মনণ্যের মতও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতই৷ দেশের অর্থনীতিবিদদের ধারণা---সঙ্কোচনের হার কমবেশী যাই হোক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে৷

২০শে অক্টোবর ‘আমরা বাঙালী’র অসম মেঘালয় সীমান্তে বিক্ষোভ অভিযান

দীর্ঘদিন ধরে মেঘালয়ে বাঙালীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চলছে৷ শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি বাঙালীদের ব্যবসা বাণিজ্য ও জীবিকা নির্বাহের সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে৷ মেঘালয়ের বিজেপি জোট সরকার ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এখনও পর্যন্ত নির্যাতন বন্ধ করতে কোন ব্যবস্থা নেয়নি৷

মেঘালয়ে বাঙালী নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ৭ই অক্টোবর শিলচর শহরে শহীদ ক্ষুদিরামের মূর্ত্তির পাদদেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন  করে ‘আমরা  বাঙালী’র অসম রাজ্য কমিটি৷

 দলের রাজ্যসচিব শ্রী সাধন পুরকায়স্থ মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীকে এক পত্রে অবিলম্বে বাঙালী নির্যাতন বন্ধ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন৷

কলকাতায় কীর্ত্তন দিবস পালন

গত ৮ই অক্টোবর কলকাতায় আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে ‘কীর্ত্তন দিবস’ পালিত হয়৷ এখানে উল্লেখ, ১৯৭০ সালের ৮ই অক্টোবর, রাঁচির সন্নিকটে আমঝরিয়ায় মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী  বাবা নাম কেবলম্’ এই মহামন্ত্র প্রদান করেছিলেন৷

শামুক তলায় স্বাস্থ্য শিবির

গত ১২ই অক্টোবর আলিপুর দুয়ার জেলার শামুকতলা চা বাগানে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যে একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেছিল আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টিমের আলিপুর দুয়ার শাখা৷ পাঁচশত শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে৷ অনেকে ঔষধ দেওয়া হয়৷ এছাড়া শতাধিক পরিবারকে সাবান ও বিসুকট দেওয়া হয়৷

 

বিদ্বেষ-বিষ নয় সৌভ্রাতৃত্ব  সুদৃঢ় করার বার্র্ত দিন

মনোজ দেব

শিখদের বীরত্বের কাহিনী নিয়ে বাঙালী কবি রবীন্দ্রনাথ কবিতা রচনা করলেন ‘বন্দী বীর’---

‘‘পঞ্চনদীর তীরে

বেনী পাকাইয়া শিরে

দেখিতে দেখিতে গুরুর মন্ত্রে জাগিয়া উঠেছে শিখ---

নির্মম নির্ভীক৷’’

সর্বশ্রেষ্ট উপায়

‘‘মোক্ষকারণসমগ্র্যাং ভক্তিরেব গরিয়সী৷’’ মোক্ষ কাকে লে? মোক্ষ হচ্ছে, প্রথমে নিজের দেহবোধকে স্থূল মনে এক করা, স্থূল মনকে সূক্ষ্ম মনে মিলিয়ে দেওয়া, সূক্ষ্ম মনকে বিশুদ্ধ ‘‘আমি’’-বোধে মিলিয়ে দেওয়া---আর শেষ পর্যন্ত ‘‘আমি’’-বোধকে আত্মায় সমাহিত করে দেওয়া৷ যখন ‘‘আমি’’-বোধ বিশুদ্ধ চৈতন্যের আওতার মধ্যে আসে, সেই অবস্থাকে লে মোক্ষ৷ মোক্ষপ্রাপ্তির জন্যে সাধককে নির্দিষ্ট উপায় অবলম্বন করতে হবে৷ সাধক লছে, বিভিন্ন উপায় বা পদ্ধতির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে ভক্তি, অর্থাৎ স্থূলতর সত্তাকে একমাত্র ভক্তির মাধ্যমে সূক্ষ্মতর সত্তায় এক করে দেওয়া সম্ভব৷ তাই ভক্তি হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়৷ শ্রুতিতে লা হয়েছে,

যুক্তির রাজত্ব

এই সৌরজগৎ সম্পদ-প্রাচুর্যে ভরপুর৷ শুধুমাত্র মানুষই নয়, জীব জগতের খাওয়া-পরা তথা সর্বাত্মক বিকাশের জন্যে পর্যাপ্ত সম্পদ এখানে রয়েছে৷ কিন্তু আমাদের ত্রুটিপূর্ণ চিন্তা বা দুুদ্ধির জন্যেই আমরা বহু সমস্যার যথার্থ সমাধান খুঁজে পাইনি৷ আমাদের এ পৃথিবী যেন গুপ্তধন-ভাণ্ডার৷ বিশ্বের সমস্ত প্রাণীর রক্ষণাবেক্ষণ তথা তাদের পরিবর্ধনের জন্যে আমাদের এই লুকোনো সম্পদকে ভালভাবে কাজে লাগাতে হবে৷

হাথরস কাণ্ড সভ্যতার  কলঙ্ক ঃ সমস্যার সমাধান কোন্ পথে?

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

বিশ্বসৃষ্টির দুটি ধারা৷ প্রথম ধারা হ’ল ভূমাচৈতন্য থেকে জড়জগৎ সৃষ্টি---সূক্ষ্মতম সত্তা থেকে স্থূলতম জড় সৃষ্টি৷ এটাকে বলে সঞ্চরধারা৷ আর এর পরবর্তী ধারা হ’ল প্রতিসঞ্চর ধারা৷ এককোষী জীব থেকে চেতনার বিকাশ হতে হতে বিভিন্ন জীবজন্তু সৃষ্টির পর মানুষের যে সৃষ্টি ও পরে মানুষের বিকাশ--- এটাকেই বলা হয় প্রতিসঞ্চর ধারা৷ প্রতিসঞ্চর ধারায় বুদ্ধি-চিন্তা চেতনা তথা বিবেকের বিকাশ হয়৷ সৃষ্টির এটাকেই স্বাভাবিক বিকাশ বলা হয়৷ কিন্তু বর্তমানে কি ‘ঋণাত্মক অর্র্থৎ নেগেটিব প্রতিসঞ্চর ধারা বেয়ে মানবসভ্যতা এগিয়ে চলেছে৷ মানে---প্রগতির  উল্টো দিকে --- অধঃপতনের দিকে চলেছে? মানুষ থেকে পশু-জন্তু-জানোয়ারদের দিকে চলছে?

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

ভারতের নির্বাচন কমিশন লোকসভা, বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা প্রভৃতি নির্বাচনগুলি পরিচালনা করে থাকে৷ এটি সংবিধান স্বীকৃত স্বশাসিত সংস্থা৷ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করে থাকেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়৷ নির্বাচন কমিশনের হাতে অনেক ক্ষমতা দেওয়া আছে৷ যদিও সে ব্যাপারে দেশবাসী প্রথম ভালোভাবে তাদের ক্ষমতা বুঝতে পারে যখন টি, এন,শেসন (১৯৯০-১৯৯৬) মুখ্য নির্বাচন  কমিশনার ছিলেন৷ ভোটারদের সচিত্র পরিচয় পত্রের ব্যবহার প্রথম তাঁর আমলেই শুরু হয়েছিল৷ এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল৷ বুথ জ্যাম, রিগিং, নির্বাচনী সন্ত্রাস ইত্যাদি প্রশমনের জন্য কমিশনের ভূমিকা কখনও প্রশংসিত হয়েছে, আবার কখনও তাদের সিদ্ধান্ত দেশে ন