March 2022

‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় মাতৃভাষা দিবস পালন

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী৷ মাতৃভাষা বাংলাকে দাবীয়ে রেখে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান সরকার উর্দুকে সরকারী ভাষা হিসেবে চালু করার প্রতিবাদে ডাকা (ঢাকা) বিশ্ব বিদ্যালয়ে প্রবল ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়৷ এই বিক্ষোভ আন্দোলন দমন করতে পাকিস্তান পুলিশ গুলি চালায়৷ ফলে ৫টি তরুণ তাজা প্রাণ অকালে ঝড়ে পরে৷  পরবর্তী কালে ১৯৬১ সালে ভারতের অসম প্রদেশেও বাঙালীদের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়ে অসমীয়া ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে অসম সরকার৷ এর প্রতিবাদে  অসমের বাংলা ভাষী এলাকায় প্রবল প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়৷ অসমের শিলচর রেল ষ্টেশনে এক বিক্ষোভ আন্দোলন দমন করতে অসম সরকারের পুলিশ গুলি চালালে ১১ জন তর

কেন্দ্রীত অর্থনীতিতে আর্থিক শোষণের অবসান সম্ভব নয়

বিশিষ্ট প্রাউট তাত্ত্বিক শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন---একের পর এক রাষ্ট্রীয় সংস্থা পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছে এই সরকার৷ সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন নির্দিষ্ট সময়ই এল.আই.সি কে বেসরকারী হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ এই সরকারই ফলাও করে আত্মনির্ভরতার কথা প্রচার করে, সব কা সাথ সব কা বিকাশের কথা বলে৷ অথচ কাজের বেলায়  সম্পূর্ণ বিপরীত পথে চলে৷ পুঁজিপতিদের তোষণ করে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি তাদের হাতে তুলে দিয়ে  সকল মানুষের আর্থিক বিকাশ কিভাবে সম্ভব?

শিলচরে ভাষা দিবস পালন: অসমে ভাষিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক

গত ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার শপথ নিয়ে গোটা বিশ্বের সাথে শিলচরেও দিনটি গভীর শ্রদ্ধার সাথে পালন করে ভাষা আইন সুরক্ষা সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটি৷ এ উপলক্ষ্যে শিলচরের রাঙ্গিরখাড়িস্থিত ভাষা শহীদ বেদীর পাদদেশ থেকে একটি পদযাত্রা বিকেল চারটে নাগাদ শুরু করে হাসপাতাল রোড, অম্বিকাপট্টি, প্রেমতলা, শিলংপট্টি হয়ে গান্ধীবাগের ভাষা শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পৌঁছায়৷ পদযাত্রার সূচনা করেন অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও সমিতির সভাপতি ড.

বিশল্যকরণী  গণর্থনীতি  প্রাউটের  বাস্তবায়ন জরুরী

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমানে সারা পৃথিবীর জীবজন্তু গাছপালার সঙ্গে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষ সবাই অত্যন্ত চরম সংকটের মধ্যে বাস করছে৷  প্রত্যেকটি সৃষ্ট সম্পদই দিশেহারা ও কেমন করে নিজ নিজ অস্তিত্বকে বাঁচিয়ে রাখবে তারই জন্যে৷ তার উপর প্রায় দু’বছর হলো সংক্রামক ব্যাধী করোনা নানারূপে আবির্ভূত হয়ে মানুষের সমাজগুলিকে আক্রমণ করে ধবংস করে চলেছে৷ এদিকে কয়েকটি শক্তিশালী রাষ্ট্র তাঁদের আগ্রাসী নীতিকে ফলপ্রসু করতে নোতুন নোতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত৷ সীমান্ত সীমান্তে সংঘর্ষ হয়েই চলছে৷ এই যুগকে যারা অত্যাধুনিক সভ্যযুগ বলে অহংকার করে তারাও আজ যেন আত্মবিশ্বাস হারিয়ে বসেছে!

কীর্ত্তন মহিমা

মানুষের অস্তিত্ব স্থূল, সূক্ষ্ম ও কারণ এই তিন জগতেই৷ মানুষ কেবলমাত্র পাঞ্চভৌতিক জীব নয়, কেবল মানসিক জীবও নয়, আবার শুধুমাত্র আত্মিক সত্তাও নয়৷ তিনে মিলে মানুষের অস্তিত্ব৷ মানুষের অভিব্যক্তিগুলো, অভিস্ফূর্ত্তিগুলো তিনটি তত্ত্বেই, তিনটি স্তরেই হয়ে থাকে৷

সামাজিক সুবিচার ঃ নারী

অধিকাংশ জীবের মত মানুষের সমাজেও নারীরা শারীরিক বিচারে পুরুষের চাইতে দুর্বল৷ স্নায়ুর দুর্বলতার জন্যে মনও তাদের কিছুটা দুর্বল৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সমাজের কাছে তাদের মূল্য পুরুষের চাইতে এক পাইও কম নয়৷ স্বার্থপর পুরুষ কিন্তু এই মূল্যবোধের অপেক্ষা না রেখে নারীর দুর্বলতার সুযোগটুকুই ষোল আনা নিয়েছে ও নিচ্ছে৷ মুখে মাতৃজাতি বলে’ ঘোষণা করলেও আসলে তাদের অবস্থাটা করে’ রেখেছে ঠিক গৃহপালিত গোরু–ভেড়ার মত৷ একথা খুবই সত্যি যে কতকগুলি বিশেষ ক্ষেত্রে যোগ্যতার অভাবের ফলেই নারীরা ধীরে ধীরে তার অধিকার বা স্বাধীনতা খুইয়ে বসেছে, আর এই জন্যেই যাঁরা বিশেষ বিশেষ কতকগুলি যোগ্যতাকেই অধিকার প্রাপ্তির একমাত্র চাবিকাঠি হিস

ইউক্রেন ---সবপক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক

বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হলো শক্তিধর দেশগুলি ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলিকে কব্জায় এনে নিজেদের  প্রভাব প্রতিপত্তি বজায় রাখা ৷ এতে ছোট রাষ্ট্রগুলির  অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে৷  রাশিয়ার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত বিখ্যাত শষ্যভাণ্ডার ইউক্রেন যার রাজধানী কিয়েভ তার উপর দুই শক্তি শালী রাষ্ট্র আমেরিকা ও রাশিয়া নিজেদের  সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়ে ছোট রাষ্ট্রটিকে চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে৷ স্মরণে থাকে যে জার্র্মনীর  হিটলার বিংশ শতাব্দীর ৪ দশকের শেষের দিকে বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ করে৷ সেই সময় রাশিয়া পোড়া মাটির নীতি নেয়৷ তার ফলে এই  ইউক্রেনের শষ্যভাণ্ডার ধবংস হয়৷ হিটলারের সঙ্গে এঁটে উঠতে  না পেরেই  রাশিয়া মিত্রপক্ষে যোগ দেয়৷

রসায়নের ওপর মাইক্রোবাইটামের প্রভাব

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক  শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের মতে---‘একটি কার্বন পরমাণু কোটি কোটি মাইক্রোবাইটামের সমষ্টি মাত্র৷ শুধুমাত্র কার্বন পরমাণুই নয়৷ হাইড্রোজেন, অক্সিজেন,  সালফার প্রভৃতি মৌলগুলিও অসংখ্য মাইক্রোবাইটাম দ্বারা গঠিত৷’ যেহেতু সমস্ত মৌলই মাইক্রোবাইটাম সঞ্জাত অর্থাৎ সমস্ত মৌলের উপাদানই হ’ল মাইক্রোবাইটাম, সুতরাং সমস্ত জৈব ও অজৈব যৌগের সংরচনায় মাইক্রোবাইটামের ব্যাপক ভূমিকা থাকবে৷  বৈবহারিক ক্ষেত্রে মাইক্রোবাইটাম প্রয়োগ করলে রাসায়নিক ফরমূলায় বা সংরচনায় অবশ্যই পরিবর্তন ঘটবে৷ এযাবৎ যত জৈব ও অজৈব যৌগের সন্ধান পাওয়া গেছে তাদের অভ্যন্তরীণ সংরচনায় মাইক্রোবাইটামের জন্যে আমূল পরিবর্তন ঘটবে৷ বাহ্য

অসমিয়া ও বাঙালী বিরোধের শিকড় সন্ধানে

হরিগোপাল দেবনাথ

পৃথিবীর বুকে গণতান্ত্রিক জগতে  বৃহত্তম আর বহুভাষিক ভারত যুক্তরাষ্ট্রের বহুল-প্রচারিত  এক রাজ্য অসম৷ নদী-উপতক্যা ও অববাহিকা সমেত সমতলভূমি আবার পার্বত্য-উষরভূমিসহ উঁচু-নীচু, দুর্গম অরণ্যঘেরা, জঙ্গল-আচ্ছাদিত ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভূমি নিয়ে রাজ্যটির  ভূ-প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই নবঘটিত এ রাজ্যের  নামকরণ হয়েছিল অসম-রাজ্য৷ অবশ অনেকের  মতে  বার্র্ম থেকে আগত অহোম-দের নাম থেকে  নাকি এ রাজ্যের  এরূপ নাম  হয়ে থাকতে  পারে বলে বলা হয়  কিন্তু তা’ সঠিক নয় বলেই বিদগ্দ জনদের অভিমত৷

প্রাউটই হ’ল মানব মুক্তির একমাত্র পথ

নিরপেক্ষ

আজ আমরা যাকে চরম শত্রু হিসাবে মনে করে অত্যাচার করেছি–কাল তাঁর মৃত্যুর পর বর্ত্তমানের প্রেক্ষিতে তাঁকে স্মরণ করি ও তাঁর আত্মত্যাগের বিচার বিশ্লেষণ করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই৷ আপেক্ষিক জগতে এটাই আপেক্ষিকতার দৃষ্টিতে একটা আপেক্ষিক মূল্যায়ণ৷ প্রসঙ্গত বলি, অতীতে মানুষের কল্যাণে যীশু হতভাগ্যদের সঙ্গে থেকে তাদের সঙ্গ দিয়ে যে নৈতিক শিক্ষা দিয়ে প্রকৃত মানুষ গড়ার কাজ করেছিলেন, তার জন্যে তাঁকে দুর্বিনীত হেরড্ রাজার অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে৷ আর দুর্বল বিচারক পাইলেনের হাতে মিথ্যা বিচারের প্রহসনে তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে প্রাণ ত্যাগ করতে হয়৷ আজ সেই আত্মত্যাগী তরুণ মানব দরদী যীশু লক্ষ লক্ষ মানুষের পরম আশ্রয়৷ আর