January 2023

অগ্ণিযুগের বীর বিপ্লবী --- বাঘা যতীন

দেবর্ষি দত্ত

নদীয়া জেলার একটি গ্রাম৷ সন্ধ্যার অন্ধকারে গ্রামের পথঘাট জনশূন্য হয়ে যায়৷ মনে হয় বুঝি শ্মশানের নিঝুমতা নেমে এসেছে৷ কিন্তু কেন? বিরাট এক রয়েল বেঙ্গল টাইগার গ্রামে হানা দিতে শুরু করেছে৷ বাঘটা ভীষণ হিংস্র৷ গরিব চাষিদের  গরু-বাছুর গোয়াল থেকে টেনে নিয়ে যায়৷ চাষিরা কান্নাকাটি শুরু করে দিল৷ কে তাদের বাঘের অত্যাচার থেকে বাঁচাবে? তখন ওই গ্রামে মামার বাড়িতে তার ছোটবেলার দিনগুলো কেটে ছিল৷ গ্রামের অনেকের সাথে সুন্দর সম্পর্ক৷ বিশেষ করে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষদের তিনি খুবই ভালোবাসেন৷ যতীন মুখার্জি ঠিক করলেন তিনি বাঘের সঙ্গে লড়াই করবেন৷ কিন্তু কি ভাবে?

জীবন্ত আগ্ণেয়গিরির ওপর দিয়ে স্ল্যাকলাইন ওয়াকে দুই যুবকের বিশ্বরেকর্ড

প্রশান্ত মহা সাগরের দক্ষিণপশ্চিম দিকে অবস্থিত তান্নাদ্বীপ৷ সেই দ্বীপেই রয়েছে জীবন্ত আগ্ণেয় গিরি ‘ইয়াসুর’৷ একটু সময় পর পরই তার মধ্যে থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসছে লাভা৷ তারই মধ্যে একটি সরু টিউব জাতীয় বস্তুর ওপর ভারসাম্য রেখে একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হেঁটে চলেছেন দুই ব্যষ্টি৷ জীবন আগ্ণেয়গিরির ওপর বিশ্বের দীর্ঘতম স্ল্যাকলাইন ওয়াকের জন্য এভাবেই গিনেসবুক অব ওয়ার্লড রেকর্ডের খাতায় নাম লেখালেন রাফায়েল জুঙ্গো ব্রিদি ও আলেকজান্দার স্কালজ৷ সম্প্রতি দুজনের এই সাহসী পদক্ষেপের  ভিডিও পোষ্ট করেছে গিনেস বুক ওর্য়াল্ড রেকর্ডস কর্ত্তৃপক্ষ৷

 

আনন্দনগরে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৩রা ও ৪ঠা সেপ্ঢেম্বর টাটুয়াড়া গ্রামে বাৎসরিক অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন উপলক্ষ্যে ২৪ ঘন্টা ‘‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’’ নাম সংকীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও নারায়ণসেবার আয়োজন করা হয়৷ আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত, আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত, আচার্য জ্যোতিরিশানন্দ অবধূত কীর্ত্তন মহিমা সম্বন্ধে ব্যক্ত করেন৷ কীর্ত্তনশেষে টাটুয়াড়া নিবাসী সুমালী ও যুবরাজ কুমারের প্রথম কন্যা সন্তানের আনন্দমার্গের চর্যাচর্য বিধি অনুসারে মিলিতভাবে নামকরণ করা হয় ‘‘সুতপা’’৷ পৌরোহিত্য করেন অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা৷

প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে অঙ্কন ও নৃত্য প্রতিযোগিতা

গত ১১ই সেপ্ঢেম্বর আনন্দনগর  পুন্দাগ বকুল বিতান আশ্রমে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে সঙ্গীত, অঙ্কন ও নৃত্যে প্রাক-চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ মোট ৯৫ জন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন৷ প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারিকে পুরস্কৃত করা হয়৷

 

প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালন

গত ১৪ই সেপ্ঢেম্বর,২২ আনন্দমার্গ হাইস্কুল, আনন্দনগরে ‘প্রভাত সঙ্গীত দিবস’ প্রভাত সঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীতের তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে চর্চার মাধ্যমে পালন করা হয়৷

নামকরণ ও অন্নপ্রাশন

গত ১০ই সেপ্ঢেম্বর,২২ বড়রোলা নিবাসী মিহির কুমারের জৈষ্ঠ্য পুত্র গগন ও পুত্রবধূ মোহিনীর প্রথম কন্যা সন্তানের নামকরণ ও অন্নপ্রাশন আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী সম্পন্ন হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’’ কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷ মিলিতভাবে শিশুর নামকরণ করা হয় ‘ধৃতি’৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন অবধূতিকা আনন্দ অনুময়া আচার্যা৷

 

স্বাস্থ্য শিবির ও বস্ত্র বিতরণ

প্রতি বৎসরের ন্যায় শারদীয়া অষ্টমীর দিন অর্থাৎ ৩রা অক্টোবর ২০২২ কামুখাপ গ্রামে বিজয় মাহাতোর ব্যবস্থাপনায় বারো ঘন্টা  ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ নাম সংকীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, কম্বল বিতরণ, নিঃশুল্ক স্বাস্থ্য শিবির, সন্ধ্যায় প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রাতে স্থানীয় জনপ্রিয় লোকনৃত্য ‘‘ছৌ’’ নাচ, ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

 

আনন্দনগরে আধ্যাত্মিক যোগসাধনা শিবির

শৈবতন্ত্র, জৈনতন্ত্র ও বৌদ্ধতন্ত্রের পীঠস্থান হচ্ছে আনন্দনগর৷ সদাশিব ও কৃষ্ণের চরণ স্পর্শে পবিত্র ও ধন্য৷ যুগ যুগ ধরে বহু সাধকের আধ্যাত্মিক উপলব্ধিতে সমৃদ্ধ ভূমি৷ এখানকার প্রতিটি ধূলিকণা, পাথর আধ্যাত্মিক তরঙ্গে তরঙ্গায়িত৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, উৎকৃষ্ট জল ও স্বাস্থ্যকর জলবায়ু যে কোনো মানুষকে আকৃষ্ট করে৷ ২-৪ অক্টোবর,২০২২ শারদোৎসবের দিনগুলিতে আনন্দমার্গ গভীর আধ্যাত্মিক অনুশীলন ও আধ্যাত্মিক যোগসাধনা শিবিরের আয়োজন করা হয়৷

নামকরণ ও অন্নপ্রাশন

গত ২০শে সেপ্ঢেম্বর ২২ চিৎমু উপরপাড়া নিবাসী পূর্ণিমা ও মুকুল গরাঞের প্রথম পুত্র সন্তানের নামকরণ ও অন্নপ্রাশন আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী সম্পন্ন হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷ সকলে মিলিতভাবে শিশুর নামকরণ করা হয় ‘অর্ণব’ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত৷

আনন্দনগরে শারদোৎসব উপলক্ষ্যে বস্ত্র বিতরণ

বাঙালীর শ্রেষ্ঠ শারদীয়া উৎসব  উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুদের শুভানুধ্যায়ী ও শুভাকাঙ্খীদের আর্থিক  সহায়তায় ৩০শে সেপ্ঢেম্বর ২২ ‘‘ওরাও আনন্দ করুক’’ প্রকল্পের মাধ্যমে ডামরুঘুটু, বড় মালকা, বাঁশগড়, করমাটাঁড়, করচে, কাশিডি ও গুড়িডি প্রভৃতি গ্রামের দুই শতাধিক ছেলে-মেয়েদের নতুন বস্ত্র বিতরণ করা হয়৷