March 2024

ব্যারাকপুরে পদার্পণ দিবস

গত ৮ই ফেব্রুয়ারী উত্তর ২৪পরগণা জেলার ব্যারাকপুর আনন্দমার্গ আশ্রমে মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর পদার্পণ দিবস সাড়ম্বরে পালন করা হয় নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে৷

১৯৮২ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী ব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন৷ সেই উপলক্ষ্যে প্রতিবছর জেলার আনন্দমার্গীরা দিনটি বাবার পদার্পণ দিবস উপলক্ষ্যে পালন করে৷

চুঁচুড়ায় মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধ

গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী হুগলী জেলার চুুঁচুড়ার বরিষ্ঠ আনন্দমার্গী ও একনিষ্ট সাধক প্রয়াত শ্রী সুশীলচন্দ্র ধরের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শ্রীধরের চুুঁচুড়া ময়নাডাঙ্গার বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় ‘আনন্দমার্গে চর্যাচর্য’বিধি অনুযায়ী৷ গত ৮ই ফেব্রুয়ারী শ্রী সুশীল ধর পরলোক গমন করেন৷ জেলার মার্গী ভাইবোন ও শ্রী ধরের আত্মীয় স্বজন তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন৷

নারীর মর্যাদা - কয়েকজন স্মরণীয়া মহিলা

সতী নারী গান্ধারী

আরেকটা উদাহরণ হ’ল – গান্ধারীর চরিত্র৷ গান্ধারী ছিলেন আফগান মহিলা৷ কান্দাহার

(সংস্কৃতে ‘গান্ধার’) নামে এক দেশ ছিল ও গান্ধারী ছিলেন সেই দেশের কন্যা৷ তৎকালীন ভারতীয়রা কান্দাহারকে বলতেন ‘প্রত্যন্ত দেশ’ – সুদূর সীমান্তবর্তী দেশ৷ খাঁটি ভারতবর্র্ষ বলতে যা’ বোঝায় তা’ নয়৷

খাদ্যরস

খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, ৰড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কামরা

শূন্য পৃথিবী

কেয়া সরকার

তুমি চলে গেলে---

আজ শূন্য পৃথিবী মোর---

তুমি নেই---

তবু যেন ভাঙেনি স্বপ্ণের ঘোর---

মনের মাঝে তোমার স্মৃতি,

এখনও দাগ রেখে যায়---

ভক্তি রসে সিক্ত এ মন

তোমাকেই যেন ফিরে পেতে চায়---

তোমার মিষ্টি হাসির ছোঁয়ায়,

উদ্বেল মন শান্তি খোঁজে---

তুমি আছো জানি সবখানে তবু,

কেন যে এ বুকে ব্যাথা শুধু বাজে---

অবুঝ মন কেন যে আজিকে

চারিদিকে শুধু তোমাকেই খোঁজে---৷

ভাষা বিপ্লবীদের প্রতি

কৌশিক খাটুয়া

যাঁদের মরনে গর্বিত মনে

একুশকে করি স্মরণ,

ভাষা আন্দোলনে পথের দিশারী

করেছে মৃত্যু বরণ৷

বাংলা ভাষার দাবী আদায়ে

শত শত তাজা প্রাণ,

কোন ভাবাবেগে আন্দোলিত হয়ে

রাখে মাতৃভাষার মান!

‘উর্দু’ হবে রাষ্ট্রীয় ভাষা

পাকশাসকের ঘোষণা,

বাঙালির দাবী, বাঙালির ভাষা

লাঞ্ছিত আশা বাসনা!

বাংলা হরফ, বাংলা লিপি

মাতৃস্নেহের টান,

সেই অধিকার হরিয়া শাসক

করে বাংলাকে অপমান!

বাহান্ন সালের একুশ--------

জাগত বাঙালি-মর্যাদার হুঁশ,

সুসংবদ্ধ ছাত্র, যুবক, সমাজ কর্মী

একুশের আশ্বাস

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

একুশ ফেব্রুয়ারী---

তোমার ঊজ্জ্বল স্মৃতি বাঙালীর মর্মে গাঁথা

তুমি শোষিতের রুক্ষ অন্তরে ফল্গুর সরসতা৷

নিপীড়িত, বঞ্চিত বুকে জাগায়েছো আশা

তোমার পরশে মানুষ  পেয়েছে মুখের ভাষা৷৷

 

বাঙলার মাটি ভাষা-শহীদের রক্তে রাঙা

তারাই ভেঙেছে পরাধীনতার শিকল,

শোষণ যন্ত্রণা৷

একুশের বলিদান গেয়েছে জীবনের জয়গান

পৃথিবীর কুর্ণিশে

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের’ সম্মান৷৷

 

মানব-ওষ্ঠে যতদিন রবে কথা,

ধমনীতে শোণিত

 একুশের আশ্বাস-বাণী সততঃ হবে উচ্চারিত৷

 অমর একুশের আহ্বানে মাতিবে

দরদী মেয়ে

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

বাঁকুড়া জেলায় দুর্ভিক্ষ লেগেছে৷ ঘরে ঘরে শুধু নেই নেই রব৷ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা---সকলেই উদরান্নের জন্য পাগলা কুকুরের মতো ছোটাছুটি করছে৷ কুখাদ্য-অখাদ্য খেয়ে অকালে মানুষগুলো মরছে! কে কাকে স্যহায্য করবে? সকলেই যে ভিখারী---সাহায্যপ্রার্থী?

(১) ‘ভা’ ধাতুর অর্থ চকচক করা, জ্যোতিঃ বিকিরণ করা৷ তাই ‘ভা’ ধাতুর উত্তর ‘ড’ প্রত্যয় করে যে ‘ভ’ শব্দ পাই ভাবারূঢ়ার্থে তা হ’ল ‘যা চকচক করে’, বা ‘জ্যোতিঃ বিকিরণ করে’৷ যোগারাঢ়ার্থে ‘ভ’ ৰলতে ৰোঝবায় পরমৰ্রহ্ম৷ পরমৰ্রহ্ম জ্যোতিষ্মান ৰলেই বিশ্বের আর সকল সত্তা জ্যোতিষ্মতী৷ পরমৰ্রহ্মের আলোকেই সব কিছু আলোকময়৷

                ‘‘ন তত্র সূর্যো ভাতি ন চন্দ্রতারকম

                নেমা বিদ্যুতো ভান্তি কৃতোইয়গ্ণ্নিঃ৷৷

                তমেব ভান্তমনুভাতি সর্বং

                তস্য ভাসা সর্বমিদং বিভাতি৷’’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হবে প্রস্তুতি ম্যাচ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নেপালকে অনুশীলন করার জায়গা করে দিল ভারত৷ ‘ফ্রেন্ডশিপ কাপ’এর আয়োজন করতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড৷ সেখানে নেপাল খেলবে গুজরাত এবং বরোদার বিরুদ্ধে৷ ভারতের দুই রাজ্য দলের বিরুদ্ধে খেলবে নেপাল৷ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সেটাই হবে তাঁদের প্রস্তুতি ম্যাচ৷ ভারতীয় বোর্ড এই সিরিজের আয়োজন করলেও ভারতের আন্তর্জাতিক দল খেলবে না এই প্রতিযোগিতায়৷