March 2024

বিশ্ব টেবিল টেনিসে স্পেনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলকে টেনে তুললেন ঐহিকা মুখোপাধ্যায়

বিশ্ব টেবিল টেনিসে আবার শিরোনামে বাংলার খেলোয়াড় ঐহিকা মুখোপাধ্যায়৷ স্পেনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলকে টেনে তুললেন তিনি৷ তাঁর হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াল ভারতীয় দল৷ এক সময় স্পেনের কাছে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল তারা৷ সেখান থেকে তৃতীয় সিঙ্গলস খেলতে নেমে জেতেন ঐহিকা৷ পরের দু’টি ম্যাচও জিতে যায় ভারত৷

‘ভারতের অলিম্পিক্স দলে সুযোগ পেল অনুষ আগরওয়াল

অলিম্পিক্সে ইকোয়েস্ট্রিয়ানে কোটা পেলেন কলকাতার অনুষ আগরওয়াল্লা৷ হাংঝৌ এশিয়ান গেমসে ঐতিহাসিক ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছিলেন অনুষ৷ এ বার অলিম্পিক্সেও দেখা যেতে পারে তাঁকে৷ ভারতীয় ইকোয়েস্ট্রিয়ান ফেডারেশন অলিম্পিক্স কোটায় তাঁর নাম রেখেছেন৷ অলিম্পিক্সে পাকাপাকি ভাবে নাম পাঠানোর আগে আরও একটি ট্রায়াল দিতে হবে ফেডারেশনে৷ এ বার দেখার, অনুষের নাম অলিম্পিক্সে পাঠানো হয় কি না কলকাতার অনুষ যদিও খুশি৷ তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতের অলিম্পিক্স দলে সুযোগ পেয়ে আমি খুবই খুশি৷ ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ণ ছিল অলিম্পিক্সে নামার৷ এ বার প্যারিসে সেই স্বপ্ণ পূরণ করার ইচ্ছে আছে৷’’ তরুণ অনুষ মনে করেন, কোটায় নাম ওঠার পরে তাঁকে দল থেকে বাদ দে

আনন্দনগর বিশ্বের পথ নির্দেশক

পথির বর

শাসকের রক্তচক্ষুর কাছে মাথা নত করে নয়, রাজশক্তির দয়া-দাক্ষিণ্যে নয়, নেতা মন্ত্রীদের তোয়াজ তোষামোদ করে নয়, জামালপুরের ছোট্ট একটা রেল কোয়ার্টার্স থেকে আনন্দমার্গ বিশ্ব সংঘটন হয়ে ওঠার পিছনে আছে বহু কর্মীর ত্যাগ তিতিক্ষা আত্মত্যাগের ইতিহাস৷ দুর্জয় সাহসে ভর করে সমস্ত বাধা-বিপত্তি দু’পায়ে দলে এগিয়ে চলার ইতিহাস৷

মধ্যবিত্তকে দরকার নেই মোদি সরকারের

গত ২৬শে ফেব্রুয়ারী দিল্লির এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন--- আগামী পাঁচবছর এমন ব্যবস্থা করবো যাতে দেশবাসীর সরকারকে প্রয়োজন না হয়৷ নাগরিক জীবনে সরকারের ভূমিকা বিশেষ থাকবে না৷ প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে মধ্যবিত্তের কথা উল্লেখ করেছেন৷ মোদি সরকার গরীবদের সহায়তা দেবে৷ তবে বণিকদের প্রসঙ্গ তিনি উল্লেখ করেননি৷ সম্ভবত বণিকদের সরকারকে প্রয়োজন নেই, সরকারকে বণিকদের প্রয়োজন আছে সেই কারণেই৷ প্রধানমন্ত্রী এবার আরও স্পষ্ট করলেন সরকার নির্ভর নয়---আত্মনির্ভর হোক দেশবাসী৷ বছরে দুকোটি চাকরী, শূন্য এ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ---আচ্ছা দিনের স্বপ্ণ কিছুতেই আর সরকারের প্রয়োজন নেই মধ্যবিত্তের৷ তবে নাগরিক জীবনে সরকারের ভূমিকা

রাজনীতি সচেতন মধ্যবিত্তই হবে পরিবর্তনের কাণ্ডারী

প্রবীন প্রাউটিষ্ট শ্রী প্রভাত খাঁ শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---কোন সরকার যদি মধ্যবিত্তকে উপেক্ষা করে তার পতন আসন্ন৷ কারণ রাজনৈতিক সচেতন আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মধ্যবিত্তই অন্যায় অবিচার নীতিহীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়৷ তিনি বলেন ২০১৪ সালে ক্ষমতায় বসার আগে প্রধানমন্ত্রী অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ দশবছর অতিক্রান্ত তিনি কোন প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেননি৷ এবার নতুন করে গ্যারান্টি শব্দটায় মাৎ করতে চাইছেন৷ তবে মধ্যবিত্তের ঘাড়ে কোপ মেরে কোন সরকারই বেশীদিন টিকে থাকতে পারে না৷ তিনি বলেন প্রায় ষাট বছর আগে প্রাউট প্রবক্তা বলে গেছেন --- ‘‘উন্নত মেধা সম্পন্ন মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়, অথানৈতিক দুরবস্থার জন্যে য

দৈনন্দিন জীবনে নৈতিকতার মূল্য

লীনা দাস

এখন কি জীবনে খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে? তা কি যুগোপযোগী নয়? এর সাথে নাকি তাল মেলানো যায় না৷ কিন্তু এটা পরিবর্তন নয় - বিবর্তন৷ ডায়নোসোর থেকে বাঁদর, বাঁদর থেকে মানুষ৷ মানুষের আদিমযুগের যুথবদ্ধতা থেকে ধাতুর ব্যবহার, আগুনের ব্যবহার থেকে সভ্যতা শুরু ৷ তারপর মানুষের তৈরী গোষ্ঠী, সমাজ, সম্প্রদায় ও ধর্ম৷ তারপর বিজ্ঞান প্রযুক্তির হাত ধরে এগিয়ে চলে রাষ্ট্র, ধর্ম, শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি৷ এখন একটা কথাও শোনা যায়৷ পুরানো সব মূল্যবোধ নাকি ভেঙ্গে গেছে৷ ধর্ম ভেঙ্গে গেছে৷ সংস্কার, সংসার ভেঙ্গে গেছে৷ আরে এগুলো কি কাঁচ নাকি?

মানবীয় অস্তিত্বের প্রকৃত মূল্য

আমাদের এই পৃথিবীতে প্রাগৈতিহাসিক যুগে প্রথম যে ভাষা উচ্চারিত হয়েছিল তা প্রায় ৬ লক্ষ বছর আগে৷ ভাষা তো এল কিন্তু বৌদ্ধিক মান বলে তখন কিছুই ছিল না৷ আধুনিক মানুষ এসেছে প্রায় এক লক্ষ বছর আগে৷ তাদের ভাষা ছিল কিন্তু তখনও ৰৌদ্ধিক মান তত উন্নত ছিল না৷ সে কারণে তাদের ভাষার শব্দসম্ভার অতি অল্প সংখ্যক৷ উন্নত প্রজাতির বানরদের মধ্যে শব্দের সংখ্যা ৮০০৷ আর একদম অবনত পর্যায়ের মানুষদের মধ্যে শব্দের সংখ্যা হচ্ছে কিঞ্চিদধিক ৯০০৷ কিন্তু আধুনিক ফরাসী ভাষাতেই শব্দসম্ভার চার লক্ষেরও অধিক৷

কৃষি সমস্যা ও তার সমাধান প্রসঙ্গে

কৃষিভূমির সর্বাধিক ও সঙ্গত উপযোগিতা গ্রহণ, ও সকল কৃষিভূমির সুষ্ঠু পুনর্বিন্যাসের জন্যে সমবায়–প্রথাই অধিকতর কাম্য হওয়া উচিত৷

কৃষি কাজ যদি সমবায়–প্রথা অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয় তাহলে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষি–জমিকে মিলিয়ে একটি বড় কৃষি–জমিতে পরিণত করা যাবে৷ তার ফলে সব কর্ষকেরই বিরাট সামূহিক লাভ হবে৷ এতে আলের জন্যে অযথা জমি নষ্ট হবে না, কৃষিযোগ্য ভূমির আয়তনও বাড়বে৷

নিপীড়িত মানবতার মুক্তির সংগ্রামে প্রেরণা দধীচি দিবস

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পৃথিবীতে সবসময় কিছু মানুষ থাকে যারা সমাজে প্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়৷ তারা কখনই মানুষের সামূহিক কল্যাণ চায় না৷ বরং মানব সমাজকে অধোগতির দিকে টেনে নিয়ে যায়, কল্যাণের পথ রুদ্ধ করে দিতে চায়৷ এই ধরণের পাপশক্তির হাতে পড়ে মানবতা যখন চরম বেদনাদায়ক পরিস্থিতির শিকাব--- তখনই আর্তমানবতার পরিত্রান কর্তারূপে আবির্ভূত হলেন শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী, দিলেন এক সুসন্নিবদ্ধ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার এক সর্বানুসূ্যত দর্শন---আনন্দমার্গ৷ কি ধর্ম, কি শিক্ষাব্যবস্থা, কি সামাজিক অর্থনৈতিক দর্শন, সর্বক্ষেত্রে তিনি মানুষকে আজকের সমস্ত সমস্যার সমাধানের জন্যে এক সর্বপ্রকার শোষণমুক্ত সর্র্বঙ্গ সুন্দর সমাজ রচনার এক মহান আদর

গণতন্ত্রের উদ্ধারে আবশ্যিক শোষিত নিপীড়িতদের নবজাগরণ

প্রভাত খাঁ

ভারতে চলছে দলতন্ত্রবাদ যে বাদের লক্ষ্যই হলো সরকার দলের, দলের জন্য,দলের দ্বারা৷ গণতন্ত্রে সরকার হবে জনগণের, জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা৷ কিন্তু আজ ভারতে সেটা নেই৷ তার কারণের জন্য দায়ী সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ শাসক যারা ৭৬ বছর আগে এই দেশের শাসন ছাড়ে আর যাদের হাতে শাসনভার দেয় তারা ছিল দলের অর্থাৎ হিন্দু ও মুসলমানদের নেতা৷ কিন্তু এদেশ তো শুধু হিন্দু ও মুসলমানরা থাকে না৷ জনগণ হলো জাতি ধর্ম মত নির্বিশেষে সকলশ্রেণীর মানুষ৷ আর সংবিধানে বলা হয় এই ভারত যুক্তরাষ্ট্র হলো ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র৷ তাই আজ পদে পদে যারাই শাসনে যায় তারাই ঐ সংবিধানকে অস্বীকার করেই সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে বোটকে হাতিয়ার করে গদী পায়৷ স