June 2024

গণিত চর্চায় মহর্ষি কপিল

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

আজকে প্রবন্ধের বিষয় হ’ল মহর্ষি কপিলকে নিয়ে৷ মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণের যুগের সমসাময়িক মানুষ ছিলেন মহর্ষি কপিল৷ যে সময়ে মহর্ষি কপিল জন্মে ছিলেন, সে সময় ছিল আধ্যাত্মিক শিক্ষা, ছিল পুস্তক কিন্তু ছিল না কোন সুসঙ্কলিত দর্শন৷ ঠিক এমনি এক সময়ে সর্বপ্রথম মহর্ষি কপিলই সুসঙ্কলিত দর্শন রচনা করে মানব সমাজকে উপহার দিয়েছিলেন৷ পৃথিবীর প্রথম দর্শন সৃষ্টি হয়েছিল এই ভারতবর্ষের মাটিতেই৷ পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম দর্শন হ’ল মহর্ষি কপিলের দর্শন৷

রাতের আকাশে রহস্যময় লাল আলো দেখা গেল লাদাখের এক গ্রামে

গত শুক্রবার রাতে লাদাখের প্রান্তবর্তী গ্রাম হ্যানলের আকাশ লাল আলোয় ঢেকে যায়৷ সেই সময় যাঁরা ওই গ্রামে ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ সমাজমাধ্যমে সেই ছবি পোস্ট করেন৷

বাঙলার ছেলের তৈরী পাইন কাঠের হাঁস পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে বসেছিলেন৷ সেই সময় সমাজমাধ্যমের একটি বিজ্ঞাপনে নজর পড়ে বালুরঘাটের বিপ্লব সরকারের৷ চাওয়া হয়েছিল একটি বিশেষ আদলের পাইন কাঠের হাঁস৷ বিপ্লব চাহিদা মতো হাঁসের মডেল বানিয়ে কলকাতায় পাঠান৷ পত্রপাঠ মঞ্জুর হয় বিপ্লবের আবেদন৷ শহরে ফিরে এলাকার মহিলাদের এ কাজে যুক্ত করে নেন বিপ্লব৷ তার পর বাবাকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় হাঁস বানানো৷ এখানে তৈরি পাইন কাঠের হাঁস এখন দিব্যি পাড়ি দিচ্ছে দেশ-বিদেশে৷ কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন শিল্পী, ক্রমশ স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার মহিলারাও৷

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপপ্রবাহ---জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবেই তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পরিণাম এই ঘটনা৷ তার জেরে এপ্রিল মাসে ভারতে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা বেড়েছে ৪৫ গুণ!

সর্দিগর্মী – চূর্ণ–নিম্বু ও আমপোড়ার শরৰৎ

সর্দিগর্মীর ঔষধ হ’ল চূর্ণ–নিম্বু (চূর্ণ–নেৰু)৷ আগে বলা হয়েছে কোন একটা পাত্রে খানিকটা চূণ তার দ্বিগুণ জলে ভালভাবে গুলে নিতে হয়৷ তারপর তাকে থিতিয়ে যেতে দিতে হয় অর্থাৎ তাকে থিতু (‘থিতু’ শব্দ ‘স্থিতু’ শব্দ থেকে আসছে) অবস্থায় খানিকক্ষণ থাকতে দিতে হয়৷ চূণের জল থিতিয়ে গেলে চামচে করে ওপরের চূর্ণ–রহিত জল আস্তে আস্তে তুলে একটা পাত্রে ঢ়েলে নিতে হয়৷ এই চূণের জলে পাতিনেবুর ট্যাবা নেৰুর রস মিশিয়ে খুব অল্প মিছরি (নামে মাত্র) গুঁড়ো দিয়ে খেলে সর্দি–গর্মী ঙ্মগরমকালে ‘লু’ লেগে যাওয়া বা হঠাৎ হঠাৎ ঠাণ্ডা–গরমে জ্বর হয়ে গায়ের তাপমাত্রা এক লাফে চরমে উঠে যাওয়াৰ প্রশমিত হয়৷ তাছাড়া কাঁচা ৰেলের শরৰৎ, আমপোড়ার শরৰৎ সর্দ

আমের সাতকাহন

সংস্কৃত আম্রঞ্ছপ্রাকৃতে, আম্ব/অম্বা৷ এর থেকে ৰাংলায় ‘আঁৰ’ শব্দটি এসেছে৷ উত্তর ভারতের অধিকাংশ ভাষাতেই এই ‘আম্ব’ বা ‘অম্বা’–জাত ‘আঁৰ’ শব্দটিই প্রচলিত৷ ওড়িষ্যায় আঁৰ (আঁৰ্–), মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের অংশবিশেষে আঁৰা, গুজরাতীতে অম্বো, মারাঠীতে আম্বা (‘পিকলে আম্বে’ মানে পাকা আঁৰ), পঞ্জাৰীতে আম্ব্ (আম্ব্ দ্য অচার), হিন্দীতে ও ৰাঙলার কোন কোন অংশে প্রচলিত ‘আম’ শব্দটি থেকেই ‘আঁৰ’ শব্দটি এসেছে৷ ব্যুৎপত্তিগত বিবর্ত্তনের বিচারে আমের চেয়ে আঁৰ বেশী শুদ্ধ৷ তবে একটি বিবর্ত্তিত শব্দ হিসেৰে আমকেও অশুদ্ধ ৰলা চলৰে না৷ ৰাঙলার মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলী, কলিকাতা, ২৪ পরগণা, খুলনা ও যশোরের অংশবিশেষে ‘আঁৰ’ শব্দই প্রচলিত৷

তোমার কৃপাধারা

কৌশিক খাটুয়া

যন্ত্রণা বহন করে চলা, আরেক যন্ত্রণা,

সে যন্ত্রণা গোপন করা,দ্বিগুণ যন্ত্রণা৷

তবু যন্ত্রণা কাতর হাসি হতাশারই প্রকাশ,

যন্ত্রণা লাঘব করার এক বিফল প্রয়াস৷

 

মহামূল্য এ যাতনা ভরা থাক মনে,

না প্রকাশিয়া সর্বজনে, রাখি সঙ্গোপনে৷

অভাগার শেষ সম্বল, দুফোঁটা অশ্রুজল,

হলে নিঃশেষ তাও, চিত্ত হয় দূর্বল৷

 

চাপা যন্ত্রণা সযতনে রাখা স্রষ্টার তরে,

নিভৃতে শ্রীচরণে অভিমানে ফেটে পড়ে!

সে যাতনা অনুভব করি তারিয়ে তারিয়ে,

অন্তরে জাগত পিতা দুহাত বাড়িয়ে৷

যন্ত্রণা সহিবার হেথা চরম সার্থকতা,

স্বাধীনতার কালে বাঙালী আগুন জ্বালে

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

বীর বাঙালী বাঘাযতীন,

প্রফুল্ল, বাদল, দীনেশ, বিনয়

মাতঙ্গিনীর মতো বহু

বীরঙ্গনা নারী বাঙলায় জন্মায়৷

এরা সবাই বাঙালীয়ানায়

বড়ো হয়ে শেষ কালে

ভারতস্বাধীন করার লাগি

লড়াই করেন সমানতালে৷

মারের মুখে কেউ বা পড়েন

কেউ বা নারীর সতীত্ব খুইয়ে,

বন্দেমাতরম্‌ ধবনি তুলে

ভারতমাতায় যায় জয় গেয়ে৷

এরা বাঙালীর ঘরে ঘরে

পেয়ে নারীর খুব মর্যাদা

চিরদিনের জপমালায়

বাঙালীর ভাবে থাকবে বাধা৷

১৭

মিলন মেলা

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

বিশালতা ভরে মন

কি বা রণন...

‘ঋষ্‌’ ধাতু ঃ এর অর্থ হচ্ছে কোন কিছুকে ফুঁড়ে এগিয়ে যাওয়া অথবা কোন কিছুর দ্বারা বিদ্ধ হয়ে যাওয়া৷ যেমন ‘‘কেউ কাউকে ফুঁড়ে দিলে অথবা কারুর দ্বারা কেউ ফোঁড়া হয়ে গেল’’৷ ‘ঋষ্‌’ ‘ইঞ্‌’ করে ‘ঋষি’ শব্দ পাচ্ছি যার মানে, যিনি সমস্ত ৰাধার বিন্ধ্যাচলকে ফুঁড়ে এগিয়ে যান, যাঁর প্রগতি কোন ৰাধা মানে না৷ এই ‘ঋষি’ শব্দ থেকেই আমরা পাচ্ছি ‘আর্ষ’ শব্দটি৷ আজকাল আমরা যাকে হিন্দুমত বা হিন্দুধর্ম বলি এটা কিন্তু তার সংস্কৃত নাম নয়৷ ‘হিন্দু’ শব্দটা ফার্সী যার মানে হচ্ছে হিন্দু অর্থাৎ ভারতের বাসিন্দা (ইংরেজীতেIndian)৷ যে ধর্মমত বৈদিক যুগের ঋষিরা প্রচার করে গেছেন তাই হ’ল ‘আর্য’৷ যেমন ‘ঋ’ ধাতু থেকে ‘আর্য’ তেমনি ‘ঋসি’ থেকে

মোসাহেৰ

কথায় বলা হয়, খোসামদে পাহাড়ও গলে মাখন হয়ে যায়৷ খোসামদে দুর্বাসা মুনিও গলে যান৷ সেই খোসামদের জন্যে ‘কাণ্ড’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়৷ ‘খোসামদ’ শব্দটি এসেছে ফার্সী ‘খুসামদ’ থেকে৷ অনেকে ‘খুসামদ’–কে মার্জিত রূপ দেবার জন্যে ‘তোষামোদ’ ৰলে থাকেন৷ না, ‘তোষামোদ’ ৰলে কোনো শব্দ নেই৷ শাস্ত্রে ৰলেছে, খোসামদকারী প্রতি মুহূর্তেই প্রতি পদবিক্ষেপেই অধোগতি হয়, কারণ সে প্রতি মুহূর্তে, প্রতি পদবিক্ষেপে কেবল স্বার্থচেতনায় অস্বাভাবিক কাজ করে থাকে৷ আগেকার দিনে রাজাদের বা অবস্থাপন্ন লোকেদের বেতনভুক খোসামদকারী থাকত৷ তাদের ৰলা হত মোসাহেৰ–যারা সৰ সময় নিজেদের কর্ত্তাকে ‘সাহেৰ’, ‘সাহেৰ’ ৰলে তুষ্ট রাখবার চেষ্টা করে৷ আরৰী ব্য