September 2024
ডামরুঘুটুতে বার্ষিক অখণ্ড কীর্ত্তন
১১ই আগষ্ট‘২৪ আনন্দনগরের দক্ষিণ প্রত্যন্তে তথাকথিত উপজাতি অধ্যুষিত ডামরুঘুটু গ্রামে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ শাখার উদ্যোগে বার্ষিক ১২ঘণ্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্ত্তন শুভারম্ভ হয় সকাল ৬টায়৷ এই উপলক্ষ্যে মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷
আনন্দনগর ডায়োসিসের সেপ্ঢেম্বর’২৪ মাসের ঘোষিত অনুষ্ঠান সূচী
সেপ্ঢেম্বর’২৪
(১) ৫ই সেপ্ঢেম্বর’২৪--- ডক্টর অমরনাথ চক্রবর্তী নক-আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে৷
(২) ৬ই সেপ্ঢেম্বর’২৪--- ‘‘কৌশিকী নৃত্য’’ দিবস আনন্দনগর ডায়োসিসের প্রাইমারী স্কুল, হাইস্কুল (বয়েজ ও গার্লস), শিশু সদনে কৌশিকী নৃত্যের উপযোগিতা নিয়ে আলোচনা, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পালিত হবে৷
(৩) ৭ই সেপ্ঢেম্বর’২৪--- আনন্দমার্গ গুরুকুল দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবছর আনন্দমার্গ হাইস্কুলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ এবছরেও অনুরূপভাবে পালিত হবে৷
সৃষ্টিচক্র নিয়ে আলোচনা
১০ই আগষ্ট’২৪ শনিবার রেণেশাঁ ইয়ূনিবার্সাল আনন্দনগরের পক্ষ থেকে আনন্দমার্গ হাইস্কুলে মাসিক ষ্টাডি সার্কেলের আয়োজন করা হয়৷ আলোচনার বিষয় ছিল সৃষ্টি চক্র৷ বিশ্বজগৎ সৃষ্টির রহস্য ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করেন আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত৷
আনন্দনগরে বৃক্ষরোপণ শুরু
বিগত কয়েক বছর থেকে প্রতিবছর আনন্দনগরে বৃক্ষরোপণের প্রকল্প চলছে৷ মারামু ও গুড়িডি মৌজায় লক্ষ্য রয়েছে চল্লিশ হাজার স্থানীয় জলবায়ুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ রোপণ করা হবে৷ সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ার ফলে রোপণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেছে৷ আজ ১০ই আগষ্ট’২৪ থেকে গুড়িডি মৌজায় বৃক্ষরোপনের কাজ শুরু হয়েছে৷ গত বছর লাগানো চারাগাছ সুন্দরভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে৷
আনন্দনগরে উৎপাদিত কাঁচকলা
আনন্দনগরের রুক্ষ ভূমিতে চেষ্টা করলে সবকিছু ফলানো সম্ভব৷ উমা নিবাস গার্ল ভলাণ্টিয়ার্স কম্পাউণ্ড বাগানে উৎপাদিত কাঁচকলা৷
আনন্দনগরে আপেল চাষ
দেখাগেছে আনন্দনগরের মাটিতে কাজু, বেদনা,আম, কাঁঠাল নেবু,আতা, পেয়ারা ইত্যাদি ফলের চাষ ভালভাবেই হচ্ছে৷ কাজু, ড্রাগন, আঙ্গুর, কমলা,মোসাম্বির চাষও সফল৷ শীত দেশের ফল ‘‘আপেল’’ পরীক্ষামূলকভাবে আনন্দনগরের বাঁশগড় শাখার ফার্ম আধিকারিক আচার্য সুরেশানন্দ অবধূত কয়েকটি আপেল গাছ রোপণ করেন৷ প্রথমদিকে গ্রীষ্মের খরতাপে বাঁচানো ছিল চ্যালেঞ্জ৷ ঠিকভাবে সেবাশুশ্রুষার পর ফুল এলো কিন্তু ফল ঝরে পড়ে যেত৷ অবশেষে ফলের স্থায়িত্ব হল৷ ফলের আকার এখন ছোট হচ্ছে৷ স্বাভাবিক আকারের জন্যে প্রয়াস চলছে৷
শ্রাবণী পূর্ণিমা আনন্দমার্গের শুভসূচনা
শ্রাবণী পূর্ণিমা আনন্দমার্গের ইতিহাসে একটি মহত্ত্বপূর্ণ দিন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের স্থাপনা হয় ১৯৫৫ সালে বিহারের মুঙ্গের জেলার রেলওয়ে শহর জামালপুরে৷ সংঘ প্রবর্তক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তার প্রস্তুতি শুরু করেন ১৯৩৯ সালের এই শুভদিন থেকে৷ তিনি তখন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র৷ কলকাতার গঙ্গাতীরে কাশীমিত্র ঘাটে সন্ধ্যায় সেই সময়ের কুখ্যাত কালি ডাকাত তথা কালিচরণ বন্দোপাধ্যায়কে আধ্যাত্মিক দীক্ষার মাধ্যমে তাঁর (কালিচরণ) জীবনের আমূল পরিবর্তন করেন৷ পরবর্তীকালে যিনি কালিকানন্দ অবধূত নামে পরিচিতি লাভ করেন৷ ছাত্র শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ধরাপৃষ্ঠে প্রথম আধ্যাত্মিক দীক্ষার বীজ বপনের মাধ্যম
জন্মাষ্টমীতে মধ্যরাঢ় বিন্দুতে কীর্ত্তন
২৬শে আগষ্ট’২৪ কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে গুড়িডি আনন্দমার্গ জাগৃতি ভবনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড বাবা নাম কেবলম নাম-সংকীর্তন মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়ের পর মিলিতভাবে কীর্তন পরিক্রমা করে দক্ষিণা(বড়কি গোয়াই) নদী ও কুন্তী(কুপিয়া) নদীর সংযোগস্থল অর্থাৎ মধ্যরাঢ় বিন্দু (পশ্চিমরাঢ়ের বিন্দু) যাওয়া হয়৷ সেখানে মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান করা হয়৷ এই সেই স্থান যেখানে সদাশিব ও শ্রীকৃষ্ণের চরণস্পর্শে ধন্য হয়৷
ব্লক লেভেল সেমিনার
গত ৪ঠা আগষ্ট রবিবার কাঁউরচণ্ডী আনন্দমার্গ স্কুলে কোলাঘাট ব্লক লেভেল সেমিনার অনুষ্ঠিত হল৷ স্থানীয় মার্গী ছাড়াও বিদ্যালয়ের অভিভাবক -অভিভাবিকা, গ্রামবাসী ও বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত হয়েছিলেন৷ মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ মাঝে মাঝে এধরণের আলোচনাসভা করার জন্য বিশিষ্টজনেরা অনুরোধ রাখলেন৷ অবধূতিকা আনন্দ ভাবাতীতা আচার্যা সুমধুর প্রভাতসঙ্গীত ও কীর্তন পরিবেশন করে সভার ভাবগাম্ভীর্য বৃদ্ধি করেছেন৷ আনন্দমার্গের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে পাঁচ জন ভাই-বোন সাধনা শিখলেন৷