জন্মাষ্টমীতে মধ্যরাঢ় বিন্দুতে কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৬শে আগষ্ট’২৪ কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে গুড়িডি আনন্দমার্গ জাগৃতি ভবনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড বাবা নাম কেবলম নাম-সংকীর্তন মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়ের পর মিলিতভাবে কীর্তন পরিক্রমা করে দক্ষিণা(বড়কি গোয়াই) নদী ও কুন্তী(কুপিয়া) নদীর সংযোগস্থল অর্থাৎ মধ্যরাঢ় বিন্দু (পশ্চিমরাঢ়ের বিন্দু) যাওয়া হয়৷ সেখানে মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান করা হয়৷ এই সেই স্থান যেখানে সদাশিব ও শ্রীকৃষ্ণের চরণস্পর্শে ধন্য হয়৷

শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর মূখ্য অবদান- শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি--- সদাশিবের প্রায় ৩৫০০ বৎসর পরে আবির্ভূত হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ৷ সেইসময় মানুষের বৈয়ক্তিক গুণগুলো তখনও সামূহিক জীবনে প্রতিফলিত শুরু হয়নি৷ তারা সামূহিক জীবন-যাপন কৌশল তখনও আয়ত্ত করতে পারে নি৷ ভগবান শ্রীকৃষ্ণই প্রথম এই ধরনের ব্যষ্টিস্বাতন্ত্র্য সম্পন্ন মানুষগুলোকে সমষ্টিবদ্ধ আদর্শ জীবন যাপন করার বাস্তব পদ্ধতি শেখালেন৷ যেমন, কোন ব্যষ্টির চিকিৎসা-বিজ্ঞানে বিশেষ ব্যুৎপত্তি রয়েছে৷ এখন যদি এই ব্যষ্টিকে কোন মেডিক্যাল কলেজের দায়িত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়, তাহলে তার বৈয়ষ্টিক গুণগুলো সমষ্টি জীবনেও ক্রমশঃ সঞ্চারিত হতে থাকে৷ জীবনের অন্যান্য দিকগুলো সম্বন্ধেও একই কথা প্রযোজ্য৷ একটা ব্যাপক সামাজিক সমন্বয় ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ তৎকালীন ভারতবর্ষে অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, সৌরাষ্ট্র, মগধ ইত্যাদি রাজ্যগুলো পৃথক পৃথক অস্তিত্ব বজায় রেখে চলত৷ তারা পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত থাকত, কারণ তাদের মধ্যে এক যৌথ মনোভাবের অভাব ছিল৷ তিনি সকলকেই একই ছত্রচ্ছায়ায় এনে তাদের মধ্যে এক সমষ্টি মনোভাবকে সংহত করে ‘‘মহাভারত’’ তৈরী করেছিলেন৷ তিনি ধর্ম ও অধর্মের লড়াইয়ে অর্থাৎ ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াইয়ের মাধ্যমে ধর্ম ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করেছেন৷