ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের কাজটা এখন কে করবেন?

সংবাদদাতা
ক্রীড়া প্রতিনিধি
সময়

এখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদ শূন্য৷ কুম্বলে-বিরাটের ঝামেলায় কুম্বলে ভদ্রতা দেখিয়ে অসময়ে কোচের পদ ছেড়ে দিয়েছেন৷ এতে ভারতের প্রাক্তন অনেক খেলোয়াড়ই অখুশী৷ সানি গাভাসকারের মত অনেক খেলোয়াড় মনে করেন খেলোয়াড় যে যত ভাল হোক না কেন খেলার মাঠে, দলের সঙ্গেও তাঁকে ‘ভাল’ হয়ে থাকতে হবে৷ তাহলে টীম উপকৃত হবে৷ আর যদি সেই খেলোয়াড় দলের অধিনায়ক হন তবে তো মাঠের বাইরের অনেক কিছুও তাকে সামলাতে হবে৷ যেমন প্রত্যেক সহ খেলোয়াড়দের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী রাখা৷ একজনের ভুল অন্যজন যখন মাঠে সংশোধন করবে তখন বিপক্ষ যথেষ্ট বিপাকে পড়বে৷ এতে নিজের দলের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে৷ কোচের সঙ্গে সহ খেলোয়াড় ও অবশ্যই অধিনায়কের সুসম্পর্ক বজায় থাকতে হবে৷ ক্রিকেটের মত দলগত খেলায় কোচ-ক্যাপ্ঢেনের সম্পর্ক ভাল থাকা জরুরী৷ ঠিক খেলোয়াড় প্রথম এগারোয় রাখা থেকে শুরু করে মাঠের মধ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোচের ভূমিকা অনস্বীকার্য৷ ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে অনিল কুম্বলে ভাল কাজ করছিলেন বলে অনেক প্রথিতযশা ক্রিকেটার মনে করেন৷ তাই ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির স্বার্থে কুম্বলের ‘সিরিয়াসনেস’ বেশ কাজে এসেছে৷ কিন্তু বিরাট কোহলির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় তিনি নিজে থেকে সরে গেলেন৷ এখন দলে কোচ বলতে ব্যাটিংয়ে সঞ্জয় বাঙ্গার, ফিল্ডিং কোচ শ্রীধর৷

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এখন রবি শাস্ত্রীকে টীম ম্যানেজমেণ্টে ঢুকিয়ে দিলেন৷ পদটি সেই কুম্বলের মত৷ অর্থাৎ তিনিই এখন ভারতের হেডস্যার৷ সঙ্গে দিচ্ছেন ব্যাটিং কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিঢ়কে, জাহির খান থাকছেন বোলিং কোচ আর শ্রীধর ফিল্ডিংয়ের জন্য কাজ করবেন৷ বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ের জন্য আলাদা আলাদা লোক রেখে আবার আর একজনকে সর্বেসর্বা করা৷ মানে এক ছাত্রের জন্য সব বিষয়ের জন্য শিক্ষক নিযুক্ত করা হ’ল আলাদা আলাদা ভাবে৷ আবার একজনকে রাখা হ’ল বিশেষজ্ঞদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে৷ এতে সেই ছাত্র কোন্ বিশেষজ্ঞকে গুরুত্ব দেবে বা কথা শুনে নিজের দক্ষতাকে বাড়িয়ে নেবে কে জানে?

আসলে এখন ভারতীয় দলের কোচ কে হলেন---মানে প্রকৃত অর্থে কে ভারতীয় ক্রিকেটের হেডস্যার, কার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত---তা ধোয়াশাঁর মধ্যে রয়ে গেল৷ সন্ন্যাসী অনেক গাজন নষ্ট হলে কিন্তু ভারতেরই ক্ষতি৷ দল যদি ভাল করে তবে সব ঠিক আছে, কিন্তু কোচ-অধিনায়ক-সহকারী কোচ---সকলের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকলে মাঠে পারফরম্যান্সে আঘাত আসবে৷ দলে ‘ম্যাচ উইনিং’ খেলোয়াড় রয়েছেন বেশ কয়েকজন৷ প্রতিশ্রুতিমান খেলোয়াড় রয়েছেন---আর সিনিয়র তথা অভিজ্ঞও রয়েছেন৷ এদের পরামর্শদাতা রবি শাস্ত্রীর মত চৌকস অলরাউণ্ডারের অভিজ্ঞতা৷ ঠিক আছে, দল যদি ভাল খেলে, ম্যাচের পর ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়লে ভাল কথা৷ কিন্তু এত কিছু করা সত্ত্বেও যদি ভারতের মত ব্যালান্সড দলের পারফরম্যান্স আশাব্যাঞ্জক না হয় তবে কিন্তু এইসব হেডকোচ, বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং কোচ সবই ‘অহেতুকী কায়দা’ হিসেবে গণ্য হবে৷