চেতনা পরশমণি

লেখক
জিজ্ঞাসু

(দ্বিতীয় পর্ব)

সার্থক সেবক তাঁকেই বলব যাঁর মধ্যে  কৃতজ্ঞতা বোধের চেতনা বর্তমান, তার সাথে  থাকবে ‘নান্দনিক মানসিকতা’৷ এর মানে কি? সুন্দর , শুচি শুদ্ধ  হওয়া, সুন্দর অসুন্দরে তফাৎ জ্ঞান৷ কোনটি সুন্দর  কী করে  বুঝবো? যা দেখে  বা যা করে  বা যা হয়ে  মন সহজ  শান্ত  প্রশান্ত  ক্রমশ বিশাল  উদার হয়ে ভয়হীন, উদ্বেগহীন , বাক্যহীন, প্রশ্ণহীন, চিন্তাহীন  আনন্দময় হয়ে উঠেছে , তাকেই বলি সুন্দর৷ এই বুঝে  ওঠার বিজ্ঞানকে বলে, নন্দন বিজ্ঞান৷  নিজের  মার্জিত ভাষা প্রয়োগ, দেহ মানসিক সুস্থতা, সংযম, শুচিতা, মনের  বিশ্বজনীন উদারতা, অপরের প্রতি শ্রদ্ধার  আচরণ, অসহায়কে সুরক্ষা দেবার মানসিকতা, মহৎ কবি শিল্পী, বিজ্ঞানী, সংগীতজ্ঞের  সৃষ্টিকে অনুভবের চেষ্টা৷ সমুদ্রের বিশালতা, মহাকাশের  নীরবতা, বহমান নদীর  চলমানতা,শ্মশানে মৃতদেহ ছাই হওয়ার  অভিজ্ঞতা  মানুষকে  নান্দনিক হতে সাহায্য করে৷  একজন মানুষ  পড়াশোনার  জগতে খুব জানেন, কোনটি কী কেন কোথায় কেমনভাবে  এসব মুখস্থ৷ কিন্তু আচরণ ভাল নয়৷ এ বিষয়ে  উদাসীন৷ এসব কেন?  কারণ মানুষটি অনান্দনিক৷ আহারের জন্যে  অহেতুক  অসহায়  প্রাণী হত্যার জন্যে যারা দায়ী এদের যদি  প্রকৃত নান্দনিক মন থাকত, জীবন্ত প্রাণীটাকে  হত্যা করে একটা মৃত দেহকে  রসিয়ে গিলতে পারতো না৷ আজ এত যে হিংসা, নিষ্ঠুরতা, হত্যা অসুখ আত্মহত্যা এসবের  মূল  কারণ এটাই, নান্দনিক  সূক্ষ্ম রুচি  বিস্ময়বোধ, বিনম্রতা নিয়ে মানুষ যদি সমাজ সেবার কাজে লাগত, এতদিনে পৃথিবীতে একটা সমৃদ্ধ, আনন্দময়  গতিশীল  মানুষের  সমাজ  আমরা পেয়ে যেতাম৷ এই সত্য মানুষকে একদিন বুঝতেই হবে৷