দেশে ভ্রষ্টাচারের ঘূর্ণিপাকে রাজনীতি খাবি খাচ্ছে

লেখক
হরিগোপাল দেবনাথ

আধুনিক গণতন্ত্রের যুগে, সাম্য, মৈত্রী স্বাধীনতা, ভ্রাতৃত্ব ইত্যাদি নিয়ে পৃথিবীর কোণায় কোণায় জনসভা, আলোচনা চক্র, সামিট, কনগ্রিগেশন, বোঝাপড়া, সালিশী কত কিছু চলেছে৷ জি-গোষ্ঠীর উপদেশ, হিতৈষণা, কমনওয়েলথ বা জেনেভায় প্রভাবশালীদের নেতৃত্ব ও মানবমুক্তির কথা, বলতে গেলে, এখন হালে পানি পাচ্ছে না৷ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াসে মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘের হাউইবাজি এখন ব্যাঙ-বাজির ভূমিকায় ব্যাসার্ধহীন কেন্দ্র-পরিক্রমা করে চলেছে৷ পৃথিবীর রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সমেত তাবড় দার্শনিক প্রবরকুল ও চিন্তানায়কেরাই অস্থির৷ কীভাবে একটা সুস্থ ও সুষ্ঠু পথ বের করা যায়, যাতে করে দুনিয়ার মানবসমাজটার একটা সুন্দর হিল্লে হয়ে যায়৷ কিন্তু কিছুতেই তো কিছু একটা হয়ে উঠছে না৷ কেন যে হয়ে উঠছে না, সে কারণটিও তো অনেকের মগজেই সঠিকভাবে ধরা পড়ছে না৷ আর, যাদের মগজ আসল কারণটুকু ঠাওর করতে পারছে, সেই সব মগজ-ওয়ালা লোকেদের আবার প্রবহমান সমাজ-ব্যবস্থায় খুব একটা পরিচিতিও ঘটে উঠছে না৷ কারণ, ওইসব মগজওয়ালা ব্যষ্টিবর্গ চলমান সমাজ-ব্যবস্থায় বংশাভিজাত্য, রাজনৈতিক পেডিগ্রি, বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা-পরা বিদ্যার বহর, ধনগৌরবের শিরস্ত্রাণ কোনটাতেই উল্লেখনীয়ভাবে বলবান নন বলে৷ সাধারণে তাদের খাতির অতি সীমিত৷ বিশেষ করে, পাঠান, মোগল, তুর্কী আমলে নবাব ব্যবসাদের তাঁবেদারিপনা শোণাতে যারা দড় ছিলেন তারাও পরবর্তীকালে যারা ব্রিটিশ আমলে সাহেব-মেমদের স্তাবকের ভীড়ে গা গলাতে চেয়েছিলেন তারা ও তাদেরই বংশধর ও পৃষ্ঠপোষক৷ আর গুণমুগ্দরা ব্রিটিশমুক্ত এই খণ্ডিত ভারতের রাজনীতির আসরটা জাঁকিয়ে রয়েছেন৷ ব্রিটিশমুক্ত সে খণ্ডিত ভারতের তথাকথিত গণতন্ত্রপ্রেমী, সাম্যবাদী, সমাজবাদী, জাতীয়তাবাদী, আন্তর্জাতিকতাবাদী, ডানপন্থী, বামপন্থী, মধ্যপন্থী, স্বঘোষিত নিরপেক্ষবাদী সকলেরই রাজনৈতিক পাঁয়তারা রয়েছে ও বেশ সুনাম ও সুখ্যাতিও রয়েছে যে, ওরা সবাই মার্কামারা পলিটিসিয়ান ও ঝানু রাজনীতিবিদ আর ওদের দেশপ্রেমের কোনও মাপঝোক বা সীমা-পরিসিমা নেই৷ ওরা সকলেই একজন দেশপ্রেমের অথৈ সাগর৷ আর ওদেরই দেশপ্রেমের সাগরে ডুবোজল খেতে খেতে প্রতি বছর মরে চলেছে অসংখ্য দেশবাসী, মরতে না পেরে জীবন যন্ত্রণায় প্রতিনিয়ত কষ্ট পাচ্ছে অসংখ্য নিরীহ মানুষ (নির্বাচন এলে) ৷ আর কোনদিন ভুলেও সম্মান জানায় না, সম্মান জানানো তো দূরের কথা, ওদের মুখের দিকেও ফিরে তাকায় না, কারণ ওরা ছা-পোষা জরাজীর্ণ, দৈন্যদশায় ক্লিষ্ট, নিরক্ষর, অজ্ঞ, বুভুক্ষু জনতা---আম-আদমী আর মহান ভারত কা ছাওয়াল৷

অন্ততঃ আমার জীবদ্দশাতে আমি এই জাতীয় রাজনীতিকদেরই সমাজে ছড়াছড়ি দেখে চলেছি৷ বই, পুঁথি পড়ে জেনেছি, নেতাজী, দেশবন্ধু, স্বামীজী, রবীন্দ্রনাথ, বিপিন পাল, ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, মাষ্টারদাদের মত প্রকৃত মানবপ্রেমিক রাজনীতিকদের কথা৷ তাঁদের চোখে দেখার ভাগ্য হয়ে ওঠেনি জীবদ্দশায় মুজিবুর রহমানের মত স্বদেশপ্রেমিকের কাজের কিছু নিদর্শন দেখতে পেয়েছি৷

এছাড়া যত সব ধান্দাবাজ, ফন্দীবাজ, ভ্রষ্টাচারী, দুর্নীতিবাজ, পলিটিশিয়ানদের সার্কাসের হরেক রকমের খেলা দেখার ভাগ্য আমার সুপ্রসন্ন৷ একথা হলফ করেই বলতে পারি৷ আজকাল সেসব কথা ভাবতে বসে ভড়কেও যাই, এই ভেবে যে, আমরা কোথায় চলেছি৷ যে নৌকায় সওয়ারী হলুম, আধার রাতে উত্তাল নদী পেরোতে, আরে সেই মাঝিরাই তো আসল ডাকাত৷ এমতাবস্থায় বাঁচি কী করে, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেই বা বাঁচাই কী করে এত সব ডাকাত, জল্লাদ, ভ্রষ্টাচারীদের কবল থেকে? সমাজই বা ত্রাণ পাবে কী উপায়ে, সেই চিন্তাটাই এখন সারাক্ষণ মাথায় ঘুরতে থাকে৷ এবারে সেই সব ভ্রষ্টাচারীদের ধান্দাবাজীদের রাজনীতির গুটিকয়েক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রসঙ্গক্রমে তুলে আনছি৷ পাঠকবর্গ প্রতিনিয়তই সেসব দেখে দেখে হয়রান হয়ে রয়েছেন তাও জানি, তথাপি জেনে শুনেই সহৃদয় পাঠকদের দৃষ্টিটা আকর্ষণ করছি, এই ভরসা রেখে যে মহৎ উদ্দেশ্য কখনও বিফল হবার নয়৷

একটা কথা সনির্বন্ধ অনুরোধক্রমে আমি আগেভাগেই বলে রাখতে চাইছি৷ আমার বলা কথাগুলো চাঁচাছোলা বলেই নীরস মনে হতে পারে তাই ছুঁড়ে ফেলে দেবার আগে কথাগুলো একটু তলিয়ে দেখলে আমি নিজেকে কৃতার্থ মনে করব৷ আমরা সকলেই একথা স্বীকার করি যে বিনা লাভে কেউ সুঁচের ভারও বইতে রাজী হবেন না৷ এমতাবস্থায় ভারতের সেরা কাণ্ডারীরা যে বহির্ভারতে বিভিন্ন বিত্তবান রাষ্ট্রগুলোতে ও শিল্পপতিদের সন্ধানে দৌড়ঝাঁপ করছেন, আমাদের দেশের শিল্পে বৈদেশিক বিনিয়োগ ঘটাতে, এই ব্যাপারটির বিতর্ক এড়িয়ে বলা যেতে পারে ইয়ূপিএ (২) সরকারের আমলে কংগ্রেস দলের সঙ্গে সিপিএম দলের জোট ভেঙ্গে গেল---মার্কিনীদের সঙ্গে আমাদের পরমাণুচুক্তির বিষয় নিয়ে৷ কিন্তু অতীতে দেখা গেছে পশ্চিমবাঙলার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কমরেড জ্যোতিবাবু অসংখ্যবার ইয়ূরোপ, আমেরিকা সফর করেছেন সরকারী খরচে, বহির্ভারত থেকে শিল্পপতি ধরে আনবার অছিলায়৷ কই তার বেলায় তো কোনও কমিউনিষ্ট নেতানেত্রী টুঁ-শব্দটি করেননি রুশ সরকারের সঙ্গে ভারতের নেহেরু সরকারের গভীর প্রেমের যে দহরম-মহরম চলছিল তখন রুশ বিশেষজ্ঞদের ভারতের ভাতের হাড়ির তলা দেখতে দিলেও রুশ তো কোনদিনই ভারতকে সেই সুযোগ দেয়নি৷ তখনও কোনও বা চীনাপন্থী কমরেড মুখ খোলেননি৷ ইয়ূ পি এ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডাঃ মনমোহনজীও শিল্পের বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে দৌড়ঝাঁপ কম করেননি৷ তিনিও এফ ডি আই ও মুক্ত বাজার অর্থনীতির সমর্থক ছিলেন৷ বর্তমানে মোদীজী সেই পথ ধরেই হাঁটছেন৷ ইতিমধ্যেই তিনি বীমা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ৪৯ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগের ছাড়পত্র দিয়ে ফেলেছেন৷ ইদানিং আবার জার্মাণ, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও আমেরিকার বড় বড় শিল্পপতিদেরও ভারতের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ জানা যায়, যে এই নিয়ে আমাদের রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর মন ভারী ব্যাজার হয়েছে৷ কিন্তু মোদী স্বয়ং যখন চীনের শিল্পপতিদেরও এদেশে আমন্ত্রণ জানালেন তাতে সাড়া দিয়ে চারজন বিত্তবান চীনা শিল্পপতি এসে এ রাজ্যে হোটেলবাসীও হয়ে গেছেন৷ তখন এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীজীর নীরব ভূমিকা বিস্ময়কর নয় কি? অবশ্য তিনি এ ব্যাপারে কি যুক্তি দেখাবেন তা আমাদের জানা নেই৷ হয়ত বলবেন তার জানা ছিল না৷ যেমনটি হয়েছে এই ত্রিপুরা রাজ্যে রোজভ্যালির ব্যাপারে৷ মানিকবাবুর হাতেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দপ্তর৷ সুতরাং রোজভ্যালির ভূমিকা রাজ্যে কীরকম এই ব্যাপারটিও তিনি উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন তার জানা ছিল না বলে৷ অর্থাৎ তুখোড় পলিটিসানরা সর্বদাই রাজ্যের বা দেশের আপামর জনসাধারণকে মগজহীন মানুষ বলেই ঠাহর করেন৷ যেমনটি করেছিলেন স্বয়ং সুপণ্ডিত নেহেরুজী ও তাঁরই সমকালীন পলিটিক্যাল ধান্দাবাজেরা৷ ভারত পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছে বলে ভারত যে পূর্ণ স্বাধীনতা পায়নি এর বহাল প্রমাণ আজও ভারত দেশ রক্ষায় যে জোয়ানরা প্রাণ উৎসর্গ করেছেন তাদের শহীদ আখ্যা দিতে পারেন না৷ বীর সেনানী নেতাজীকে নিয়ে ভারত সরকারকে ন্যক্কারজনক চাতুরীপনা দেখাচ্ছেন---এটাও সম্ভব হচ্ছে দেশে ক্ষাত্রশক্তিও চরিত্রবল তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে৷ নতুবা কিছুতেই পারত না৷ ভারতের সংবিধানে সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও ভারত সরকার দেশের নাগরিকত্ব দেবার ক্ষেত্রে বাঙালী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে নানা সময়ে নানা ভিত্তি বছরের ফিরিস্তির রচনা করেছেন৷ অসম ভারত যুক্তরাষ্ট্রেরই অঙ্গরাজ্য হয়ে এখানকার বাঙালীদের ওপর অন্যায় হুজ্জতি চালাচ্ছে৷ আর তথাকথিত বিভিন্ন ইজমের রাজনীতির টিকিধারীরা রসিয়ে মজা উপভোগ করছেন৷ তাই বলছিলাম, মাণিকবাবু চীনা শিল্পপতি নিয়ে আনন্দ করছেন৷ ইতোপূর্বে চীন যখন ১৯৬২ সালে অতর্কিতে ভারত আক্রমণ করেছিল তখনও মাণিকবাবুর পূর্বসুরীদের একটা অংশ চীনের আক্রমণাত্মক ভূমিকাকে দোষের মনে করেননি৷ চীন যখন অরুণাচলকে তাদের মাটি বলে জবরদখল চালাচ্ছে তা মাণিকবাবুদের নজরে আসে নি৷ চীন যে জাপান সাগরে বা দক্ষিণ-পূর্ব সমুদ্র এলাকায় অযথা দাদাগিরি চালাচ্ছে ভারতের কমরেডরাই কিন্তু এ ব্যাপারে মুখে একেবারে সেলোটেপ লাগিয়ে রেখেছেন৷ এদিকে ১৯৪৭-এর পর পাকিস্তান তিন থেকে চারবার ভারত আক্রমণ করে ভারত প্রতিরোধ করেছে৷অথচ আগ্রাসী নীতি গ্রহ্যণ করেনি৷ কশ্মীর নিয়ে ভারতের এই নরম নীতির পেছনে কী রহস্য রয়েছে দেশের কাণ্ডারীরা ছাড়া আর কেউ বলতে পারছেন না ৷

আমরা সকলেই জানি যে, ব্রিটিশ শাসকরাই তাদের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক বোম্বেটেগিরি দেখাতে জিন্নাহ প্রমুখ ইসলামপন্থী নেতৃত্বকে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলন শিখিয়েছিলেন৷ পরবর্তীকালে পণ্ডিত নেহেরু, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীজী ও বামপন্থীরাই ইসলামপন্থীদের দাবীকে সমর্থন করেন৷ যার ফলে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের প্রবণতায় সুড়সুড়ি লাগে৷ এরই পরিণতি দেশ বিভাগের মত চরম বিপর্যয়৷ সেই সব কাহিনী ভারতের ইতিহাসে ঠাঁই পেয়েও পায়নি, সঠিক ভাবে প্রকাশও পায়নি৷

বর্তমান ভারতের বাঙালীদের হেনস্থা করতে বাঙালী বিদ্বেষী একটা চক্র অত্যন্ত সক্রিয়৷ যেমন, বিগত শতাব্দীর আশির দশকে ত্রিপুরায় ভ্রাতৃঘাতী গণহত্যা সংঘটিত হল৷ ত্রিপুরায় আমরা বাঙালী দলের পক্ষ থেকে এই গণহত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্যে বার বার দাবী তোলা হলেও রাজ্য সরকার তা নাকচ করে দেন৷ প্রয়াত কমরেড তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেনবাবুই এই বিরোধিতায় সরব ছিলেন৷

গত ২০১৪ সাল থেকে ত্রিপুরা মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড অজ্ঞাত কোন কারণে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বাংলাভাষাকে ঐচ্ছিক বিষয় করে দিয়েছেন৷ অথচ শিক্ষা ক্ষেত্রে মাতৃভাষার প্রাধান্যকে শিক্ষাবিদরাই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন৷ উক্ত নৃপেনবাবুরাই অতীতে প্রয়াতা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাজীকে দিয়ে ভারতের সংবিধান সংশোধন করিয়ে ত্রিপুরায় ষষ্ঠ তপশিলীর সংস্থান না থাকলেও সংশোধনের মাধ্যমে তা করিয়ে নিলেন ও সেই মোতাবেগ ত্রিপুরার জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ মানুষের জন্যে এডিসি করে মোট জমির ৬৮ শতাংশ এডিসির অন্তর্ভুক্ত করে দিলেন গণতন্ত্রকে জবাই করে৷ এখন আবার সেই এডিসিকে আলাদা করে রাজ্য বানাতেও রাজ্যের একটা রাজনৈতিক চক্র সক্রিয় রয়েছে৷ আমাদের পাশ্ববর্তী রাজ্য অসমে বিশেষ করে কাছাড় ও বরাকভ্যালিতে বাঙালী হেনস্থা চরম পর্যায়ে চলছে রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জীকরণের নামে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে৷ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাঙালীদের হয়রানি চূড়ান্ত করা হচ্ছে৷ এ ব্যাপারে অসম রাজ্য সহ পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, রাজ্য সরকারগুলো সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও তথৈবচ৷

মোদ্দা কথা, রাজনীতি করা কেন---মানুষের জন্যে, না এর পেছনে লুকোনো কোন বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে এটাই মূল প্রশ্ন|