নব্যমানবতা চাই

লেখক
জিজ্ঞাসু

সভ্যতার পনেরো হাজার বছর পার হবার পরেও, পৃথিবীতে এত দুঃখ, অসুখ, যন্ত্রণা, অবিচার, নিষ্ঠুরতা কেন? এত হতাশা, ভয়, যুদ্ধ কেন? কারণ মনে-প্রাণে ইচ্ছা-এষণাতে আমরা যে একটাই, প্রাণ, বস্তু, শক্তি, চেতনা মিলিয়ে আমরা যে এক, অনন্ত অখণ্ড এক সেই শিক্ষাই আমাদের নেই৷ এই অদ্বৈত জ্ঞান যতক্ষণ না আসছে, বুদ্ধির মুক্তি যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ আমরা অন্ধ হয়েই থাকব৷

জানি সত্য-মিথ্যা, হিংসা-অহিংসা, ন্যায়-অন্যায় সব আপেক্ষিক৷ এত সব জানার পরেও যে মানবিক মানুষের নেতৃত্বে পৃথিবীর দুঃখ দূর হবে, তেমন মানুষেরা অন্তত অসহায় মৃত পশুর মাংস আহার থেকে বিরত থাকবেন৷ সর্বাধুনিক গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে মানুষের শরীর পশু মাংস নেবার উপযুক্ত নয়৷ সেকথা না শোনার ফলেই মানুষের মধ্যে হিংস্রতা, ধৈর্যের অভাব, অলসতা, স্বার্থপরতা, সন্দেহ, আগ্রাসী মনোভাব, অতি অহঙ্কার, পাশাপাশি হীনম্মন্যতার মনোরোগ দেখা দিচ্ছে৷ অসংখ্য অসুখের উপস্থিতি দেখা দিচ্ছে৷ তাই আধুনিক মানুষকে সময়ের আগে আগে থাকতে হবে৷ পুষ্টিবিজ্ঞান জেনে নিয়ে আহার নিতে হবে৷ মানুষ তার বিকল্প প্রোটিন নিতে পারবে৷ সয়াবিন দুধ, নারকেল দুধ, আখরোট দুধ, গাজর ও নারকেল দুধ থেকে৷

মাংস, মাছ, ডিমের বিকল্প হিসেবে নিতে পারবে মিশ্র ডাল ও সব্জির স্টু কিংবা, ফল, মুল, ফুল, পাতার সবুজ শক্তি ও চেতনা৷ একটা মাংস নির্ভর বন্য সিংহ বাঁচে ১০ থেকে ১৪ বছর৷ আর একটা সবুজ গাছপালা, ফলমূল নির্ভর বন্য হাতী বাঁচে ষাট থেকে সত্তর বছর৷ এই কথাটা আমাদের মনে রাখা উচিত৷ বিজ্ঞান বুদ্ধি, বিকল্প পুষ্টিখাদ্য, সঠিক ব্যায়াম, সঠিক ধ্যান, নন্দন বিজ্ঞান, সেবার কর্মযোগ, মোহনবিজ্ঞান, মাইক্রোবাইটাম বিজ্ঞান---মানুষের এইসব বিদ্যা আয়ত্ত হলে জীবনের গতি ও নিপুণতা এত বেড়ে যাবে যে, আজকের ১০০ বছর ভবিষ্যতের ২৫ বছরের সমান হবে৷ তখন মানুষ মাপা হবে তার গুণ, প্রতিভা, গতি, নিপুণতা দিয়ে---বয়স দিয়ে নয়, সে যুগের নাম হবে নব্যমানবতার যুগ৷