প্রভাতী কাগজ পড়লে কিংবা
খুললেই দূর দর্শন,
দেখি শুধু খুন, অপহরণ আর
শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ৷
ভাবিতেছে মনে শুভবুদ্ধিতে
একদা মুগ্ধ জনগণ
হলো যদি ভোর পিশাচেরা কেন
ঘটিয়ে চলেছে অঘটন?
তমোনাশতরে তাঁহার ওপরে
করেছে আশিস বরষণ,
আজও কেন তবে নর–দানবেরা
ব্যর্থ করিছে সুশাসন?
গোপন চরণে শার্দুল সম
ঘুরিয়া ফিরিছে নিশাচর
দিবা লোকে তারা দীনের দরদী,
সুবিদ ভদ্র কলেবর৷
মিথ্যাচারিতা, বঞ্চনা আর
ভণ্ডামি ওদের দর্শন,
রক্তবীজেরে সৃজিতে উহারা
করিতেছে ভূমি কর্ষণ৷
পাষণ্ড যতো তাণ্ডবে রত,
দণ্ডের নাহি ভয়,
ভ্রষ্টরা হলো ভাগ্য স্রষ্টা
পরিহাস কারে কয়
ক্ষুধার্ত নর দুঃখে জর জর
চোখে শ্রাবণের বর্ষণ,
রক্ত শোষক ধড়িবাজদের
বাড়িয়া চলেছে হরষণ৷
তৃণের থেকেও নীচু হয়ে থাকা
রাজার ধর্ম নহে
বজ্রের মতো সুকঠোর হতে
নব ‘‘যুগ–গোরা’’ কহে৷
শাণিত ছুরির বিকল্প কভু
নহেক কোমল পরশন,
চাবুকের যেথা প্রয়োজন সেথা
কোন দিশা দেবে অনশন?
- Log in to post comments