February 2022

বিশ্ব অসাম্য প্রতিবেদনে প্রকাশ আর্থিক বৈষম্যের করুণ চিত্র

ভারতের জিডিপির হার বৃদ্ধি নিয়ে দেশের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছে কেন্দ্রীয় শাসক দল৷ কিন্তু অর্থনীতির এই তত্ত্ব কথার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের  কোন সম্পর্ক নেই, ক’দিন আগেই তা স্পষ্ট করেছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়৷ সম্প্রতি গুজরাটের আমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের  সঙ্গে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ দেশের মানুষের চরম দুর্দশার কথা তুলে ধরেন৷

ভাষিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে---প্রদীপ দত্ত রায়ের মুক্তির দাবীতে শিলচরে বিভিন্ন গণ সংঘটনের বিক্ষোভ

আজ শিলচরে প্রদীপ দত্ত রায়ের বিনাশর্তে মুক্তির দাবিতে নাগরিকদের পক্ষ থেকে মিছিল ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়৷ দুপুর ১২টায় শিলচরের নরসিংহটোলা ময়দান থেকে বিভিন্ন সংঘটনের শতাধিক জনগণের ভাষিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, ১৯৬১ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের চাপে তৎকালীন কেন্দ্র সরকারের নির্দেশে অসম সরকারের ভাষা আইনে আনা সংশোধনী মতে বরাক উপতক্যার তিন জেলার সরকারি কাজে বাংলা ভাষা প্রয়োগের দাবিতে ও ভাষিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলনকারী প্রদীপ দত্ত রায়কে ব্রিটিশ সরকারের সময়ে তৈরি হওয়া দেশদ্রোহীতা আইনে মিথ্যা মামলা রুজু করে গ্রেফতার করে জেলে বন্দি করার প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তির দাবিতে মিছিল করে 

অসমে বাঙালীরা ভূমিপূত্র ভারতের সংবিধানে তিন নং ধারা অনুযায়ী যে রাজ্য

গুলি তৈরি হয় মূলতঃ ভাষা ভিত্তিক৷ ব্রিটিশ আমলের ইংরেজি ভাষা ভারতীয়দের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল তার সঙ্গে একটি জগাখিচুড়ি ভাষা হিন্দি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছিল৷ যে ভাষাটায় ব্যাকারণের কোনো বালাই নেই৷ আর লিঙ্গের অস্পষ্টতা ভাষায় বিকৃত করেছে৷ 

দীক্ষার পরেই মন্ত্রাঘাত, পুরশ্চরণ, মন্ত্রচৈতন্য বাস্তবায়িত হয়

সাধনায় কুলকুণ্ডলিনীকে ঊর্ধ্বগতি করতে না পারলে মন্ত্র জপ একেবারেই অর্থহীন হয়ে পড়ে৷ কুলকুণ্ডলিনীকে ঊধের্ব নিয়ে যাবার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘পুরশ্চরণ প্রক্রিয়া’, আর মন্ত্রচৈতন্য বলতে অবশ্য আসলে ৰোঝায় সঠিকভাবে মন্ত্রের ভাব গ্রহণ করা৷ অর্থ ৰুঝে মন্ত্র জপ করলে মন্ত্রচৈতন্য বিধি সহজে নিষ্পন্ন হতে পারে৷ অর্থ না ৰুঝে জপক্রিয়া করা মানে সময়ের অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়৷

সমতট

প্রাচীন ৰাঙলা পাঁচটি অঞ্চলে বিভক্ত ছিল– রাঢ়, সমতট, ৰঙ্গ, ৰরেন্দ্র ও মিথিলা৷ মিথিলা বর্তমানে বিহারের অঙ্গীভূত৷

বঙ্গোপসাগরের বিশাল উপকূল এলাকা যাতে কোনো পাহাড়–পর্বত নেই কিন্তু যা পদ্মা ও ভাগীরথী নদীর বালুযুক্ত দোয়াঁশ মাটি দিয়ে তৈরী, ও যার মধ্যে অজস্র জলাশয়, যা খাল–বিল আর শাখানদীতে সমৃদ্ধ, সংস্কৃতে সেই অঞ্চলকে বলে ‘সমতট’, কথ্য ৰাংলায় বলে ‘বাগড়ী’৷ এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদ আর সমৃদ্ধ কৃষিসম্পদে পূর্ণ৷ এইজন্যে সমতটকে বলা হত ‘‘সোণার ৰাঙলা’’, যে কারণে বিখ্যাত ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছিলেন– ‘‘সুজলাং সুফলাং মলয়জ শীতলাং মাতরম্’’৷

আর্থিক উন্নয়ণের মাপকাঠি

জিডিপির হার বৃদ্ধি নিয়ে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর দাবীকে নস্যাৎ করে সম্প্রতি ভারতীয় অর্থনীতির করুণ চিত্রটি তুলে ধরেছে প্যারিস স্কুল অব ইকনমিকস্‌ এর ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব৷ ল্যাবের সমীক্ষার বিশ্ব অসাম্য প্রতিবেদনে ভারতে অর্থনৈতিক বৈষম্যের চিত্রটি তুলে ধরা হয়েছে৷ সেখানে দেখানো হয়েছে ২০২১ সালে দেশের মোট আয়ের পাঁচভাগের এক ভাগ গিয়েছে মাত্র এক শতাংশ মানুষের হাতে৷ নীচের দিকে পঞ্চাশ শতাংশ মানুষের দিন কাটছে মাত্র তের শতাংশ নিয়ে৷ বছরে মাথাপিছু আয়ের নিরিখে বৈষম্য তুলে ধরে দেখানো হয়েছে নীচের দিকের পঞ্চাশ শতাংশ মানুষের আয়ের তুলনায় উপরের সারির দশ শতাংশ ধনি মানুষের আয় বিশগুণ বেশী৷ ওই সমীক্ষায় গত তিনবছ

বাংলা ভাষার প্রতি অবদমন বন্ধ হোক

প্রাউটিষ্ট

মাতৃভাষায় মানুষ যত সহজে সাবলীল ভাবে ও স্বচ্ছন্দে ভাবপ্রকাশ করতে পারে, অন্য কোনো ভাষায় সে তা পারে না৷ অন্য ভাষায় মানুষ স্বচ্ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ প্রতি মুহূর্ত্তে কোনো জনগোষ্ঠীকে অন্য ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে বাধ্য করা হলে, সব সময় তারা অস্বচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে তাদের প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এ অবস্থায় তাদের দু’ধরণের মানসিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়–(১) হীনম্মন্যতা বোধ৷ ওই হীনম্মন্যতা বোধ ওই জনগোষ্ঠীর মনকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়৷ তাই তাদের ভাষায় অবদমিত, মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষাতে সবসময় কাজকর্ম করতে হয় তারা ধীরে ধীরে যেমন মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা তাদের নৈতিক উদ্যম ও প্রতিবাদ করার শ

পৃথিবীটাকে বাসযোগ্য ভূমি করে তুলতে প্রাউটের আহ্বান

প্রভাত খাঁ

মানুষ নিছক উদর সর্বস্ব জীব বিশেষ নয়৷ মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম প্রাণী৷ কারণ একমাত্র মানুষই পারে এই বিশ্বের সৃষ্টি রহস্য জানতে৷ তার সূক্ষ্মতম মানসিক বিকাশের মাধ্যমে৷ অন্য কোন প্রাণীর সেই সামর্থ নেই৷ তবে সঞ্চর ও প্রতিসঞ্চর ধারার মাধ্যমে যে সৃষ্টি প্রবাহ চলে তার প্রথম ও শেষ কথা হ’ল--- আমরা যথা হতে আসি তথায় ফিরিয়া যাই৷ সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মতম সত্তা থেকে সঞ্চর ধারার স্থূল থেকে স্থূলতম সত্তায় রূপান্তরিত হয়ে সৃষ্টি চলেছে৷ সেই এক কোষি প্রাণী থেকে আরম্ভ করে এর অগ্রগতি, তাই জীবজন্তু, গাছপালা থেকে আরম্ভ করে ধীরে ধীরে এই মানুষের সৃষ্টি৷ মানুষ মন প্রধান জীব হিসেবে নিজেকে জানতে চায়৷

জাতের নামে বজ্জাতি

একর্ষি

সদাশিবের আবির্ভাবের প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর পরে আর এক জ্যোতির্ময় পুরুষ, দেবকী-বসুদেব নন্দন কৃষ্ণের আবির্ভাব৷ তাঁর আবির্ভাবের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাঁর নিজের কথায়

‘‘যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত৷

অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্‌৷৷

পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষৃকতাম্‌৷

ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে ৷৷

আনন্দনগরে ধর্মমহাসম্মেলন

আন্তর্জাতিক নববর্ষ-২০২২ উপলক্ষ্যে আগামী ১লা,২রা ও ৩রা জানুয়ারী পুরুলিয়া জেলার আনন্দনগরে ধর্ম মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত জানান জেলাশাসকের পক্ষ থেকে ৭ই ডিসেম্বর এক বৈঠকে আন্তর্জাতিক নববর্ষের ধর্ম মহাসম্মেলনের অনুমতি দেওয়া হয়৷