February 2022

ঘাটালে অখণ্ড কীর্ত্তন

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার নবীনমানুয়া গ্রামে গত ৪ ও ৫ই ডিসেম্বর ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ মহানাম মন্ত্র অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করেছিল স্থানীয় আনন্দমার্গ ইয়ূনিটের সদস্যবৃন্দ৷ মেদিনীপুর ডায়োসিসের বিভিন্ন প্রান্তের মার্গী ভাইবোনেরা এই কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভুক্তি প্রধান মানস কালসার প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন ও কীর্ত্তনের সূচনা করেন৷ অবধূতিকা আনন্দনবীনা আচার্যা, শিবপ্রেমানন্দ অবধূত প্রমুখের কীর্ত্তন পরিবেশনায় উপস্থিত ভক্তবৃন্দ ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা আধ্যাত্মিক ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ২৪ ঘন্টা এক স্বর্গীয় পরিবেশে অতিক্রম করেন৷ অনুষ্ঠান শেষ নারায়ণ সেবারও  আয়োজন করা হয়েছিল

মার্গীয় বিধিতে বৈপ্লবিক বিবাহ

আগরতলা ঃ গত ১লা ডিসেম্বর দত্তপুকুর, বারাসতের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী তাপস কুমার পাল ও স্বর্গীয় সিক্তা পালের পুত্র অংশুমানের সহিত ক্ষয়েরপুর আগরতলা নিবাসী প্রদীপ দেবনাথ ও মিঠু দেবনাথের কন্যা সুপর্ণার বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি মতে৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাতসঙ্গীত, কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার মাধ্যমে এক আধ্যাত্মিক পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়৷ এরপর বিবাহ অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ পাত্রপক্ষে পৌরহিত্য করেন আগরতলা ডায়োসিসের ডি.এস.

মার্গীয়বিধিতে অন্নপ্রাশন ও নামকরণ

অসম, নগাঁও ঃ গত ৮ই ডিসেম্বর উত্তর ভ্রোমরাগুরি আমবাগানে প্রণব মণ্ডল ও ঋত্বিকা মণ্ডলের কন্যার মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান পালিত হয়৷ কন্যা সন্তানের নামকরণ করা হয় মন্দ্রিতা৷ নামকরণ করেন অবধূতিকা আনন্দউদিতা আচার্যা ও আচার্য অংশুমান ব্রহ্মচারী৷  উক্ত অনুষ্ঠানের শেষে সকল পরিজন ও উপস্থিত সকলকে প্রীতিভোজে আপ্যায়িত করা হয়৷

 

কর্ষকদের ক্ষতিপূরণের দাবীতে স্মারকলিপি

‘‘আমরা বাঙালী’’ উঃ২৪পরগণা জেলার বনগাঁ শাখা কমিটির পক্ষ থেকে গত ৯ই ডিসেম্বর সাম্প্রতিক বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবীতে বনগাঁ বি.ডি.ও অফিসে স্মারকলিপি প্রদান করে৷ স্মারকলিপি প্রদানের পর অফিসের বাইরে একটি প্রকাশ্য সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব জয়ন্ত দাশ, বিশ্বেশ্বর মণ্ডল, তপোময় বিশ্বাস, বিকাশ বিশ্বাস, অরূপ মজুমদার, বাপী পাল, অর্পিতা মণ্ডল প্রমুখ৷ বি.ডি.ও-এর পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়৷

 

তুলসী ঃ শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত ও অন্যান্য রোগ নিরাময়ে এর উপকারিতা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বিশ্বে এক শতাধিক প্রজাতির তুলসী বা Basil বর্গীয় গাছ রয়েছে৷ সমগ্র তুলসী বর্গীয় গাছের একটা নিজস্ব বর্ণ–গন্ধ আছে৷ যদিও সকল রকম স্বভাবের তুলসীর ৰীজ অনেকটা এক ধরনের ও তুলসী বর্গের মূল গন্ধ সবাইতে আছে, তবুও সবাইকারই স্বকীয় বৈশিষ্ট্য হিসেবে নিজস্ব গন্ধও আছে৷ যে কয়েক প্রজাতির তুলসী ৰাংলার একেবারে স্থানীয় অর্থাৎ ব্যাঞ্জালাইটিস বর্গীয়, তাদের মধ্যে রাধাতুলসী ও বাবুইতুলসী অন্যতম৷ কৃষ্ণতুলসী এসেছে উত্তর ভারত থেকে৷ যে তুলসীর পাতা সবুজ ও একটু বড় আকারের কিন্তু গাছও খুব ৰড় হয় না, তাকে রাধাতুলসী বলে৷ রাধাতুলসী মুখ্যতঃ দু’টি প্রজাতির হয়, তাদের গন্ধেরও তারতম্য আছে৷ পাতার আকার প্রকারেও অল্পসল্

মদালসা ও গন্ধর্ববিবাহ

‘গন্ধর্ব’ শব্দটি যদি পুংলিঙ্গে ব্যবহূত হয় (গন্ধর্বঃ) তার মানে হয় গন্ধর্ব অর্থাৎ নৃত্যে গীতে বাদ্যে দক্ষ এক প্রকারের দেবযোনি যা’ তেজ, মরুৎ আর ব্যোম এই তিনটি তত্ত্বে তৈরী অর্থাৎ যাতে ক্ষিতি ও অপ্ তত্ত্ব নেই, আর ক্ষিতি ও অপ্ তত্ত্ব না থাকায় সাধারণভাবে তা’ পরিদৃশ্য নয়৷ গন্ধর্ব–প্রেষিত ধ্বনি, রাগাত্মিকা অভিব্যক্তি শ্রুতিগ্রাহ্য, অনুভব্য কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় দৃশ্য নয়৷ মনকে নিজের ক্ষিতি, অপ্ তত্ত্ব থেকে বিচ্যুত করে সম্পূর্ণতঃ ঔর্ধ্বদৈহিক ভাবে নিষিক্ত করতে পারলে তবেই তা’ মানসলোকে দৃশ্য৷

গন্ধর্ব একটি দেবযোনি যা’ কতকটা অপ্সরা পর্যায়ভুক্ত৷

স্রষ্টা- সৃষ্ট প্রকৃতি

কৌশিক খাটুয়া

যা কিছু দেখেছি, যাহা দেখি নাই

সকলই তোমার প্রকাশ,

ভূবনে যত অগ্রগতি

তব ইচ্ছার বিকাশ৷

কাননে কুসুম, পাখীর কুজন,

নীল অম্বর, দখিনা পবন,

রামধনু আঁকা, গগনের রাকা,

সোনালী ভোর অতি মনোরম৷

 

ধবল মেঘের শরৎ আকাশ,

গরমকালের দখিনা বাতাস

কত সহস্র যুগ ধরে তুমি

ধরনীকে গড় জীবের আবাস!

তটিনী প্রবাহ, সিন্ধু-তুঙ্গ,

তুষার-কিরীটি হিমালয়,

জ্যোৎস্না নিশীথ, কোকিলের গীত,

তোমারই রূপের পরিচয়!

বরফাচ্ছাদিত মেরু অঞ্চল,

সাহারা মরুর প্রান্তর,

মহাসিন্ধুর নিরাপদ বলয়ে

জন্মদিন

সুকুমার রায়

সেদিন বৈশাখের শুভদিনে

সেজেছিল ধরা আপন মনে

অরুণের উদয় নবিন বেশে

রঞ্জিত সে প্রভা মুক্ত কেশে

আকাশ বাতাস নন্দিত ভোরে

পাখীরা গেয়েছিল মধুর সুরে

পূর্ণচাঁদের আলোকসজ্জায়

অনুপম শোভা ধরণীর গায়

ফুটেছিল ফুল নিবেদিত মনে

প্রীতিমাখা সুগন্ধ ভাসে পবনে

এসেছিলে তুমি সে শুভক্ষণে

সত্য সনাতন সংকল্প সাধনে৷

বন্ধন

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

কাশীর উত্তরে অযোধ্যাপ্রদেশ সহ সমস্ত ভূভাগকে নিয়ে  কোশলরাজ্য৷ এই কৌশল রাজ্যের রাজধানী ছিল শ্রাবন্তী৷ রাজা যবনাশ্বের পুত্র শ্রাবন্তই এই নগরের প্রতিষ্ঠাতা৷ হরিবংশ পুরাণে একথার উল্লেখ আছে৷ তাই এ নগরের নাম  শ্রাবন্তী৷ বৌদ্ধযুগে কোশল রাজ্যের রাজা ছিলেন প্রসেনজিৎ৷

একবার কয়েকজন ভিক্ষু (বৌদ্ধ সন্ন্যাসী) শ্রাবন্তীতে ভিক্ষা করতে বেরিয়েছেন৷ পথে দেখলেন, রাজা  প্রসেনজিতের  আদেশ বলে রাজ সৈন্যরা কিছু লোককে দড়ি আর শেকল দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে৷ এ দৃশ্য দেখে ভিক্ষুরা  খুব মর্মাহত হলেন৷ তারা সন্ধ্যায় সঙ্ঘারামে ফিরে এসে সেই লোকগুলোর বন্দী দশা নিয়ে আলোচনা করতে লাগলেন৷

বাংলায় ‘ৰ’ ও ‘ব’ প্রসঙ্গে

জ্ঞানভিক্ষু

প্রাউট–প্রবক্তা মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ভাষাতত্ত্ব ও ব্যাকরণ বিজ্ঞানের ওপরও বহু অমূল্য পুস্তক রচনা করেছেন, যা কলকাতা, ঢ়াকা, কল্যাণী প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অধ্যাপক সহ বিশিষ্ট ভাষাতাত্ত্বিক ও জ্ঞানী গুণীজনের দ্বারা বহুল প্রশংসিত৷ তাঁর রচিত ‘প্রভাতরঞ্জনের ব্যাকরণ বিজ্ঞানে’ (৩ খণ্ড) তিনি বহু প্রচলিত অনেক বাংলা বানানের ভুলত্রুটি বা অর্থবিচ্যুতি দেখিয়ে সে সবের সংস্কার সাধনেও সচেষ্ট হয়েছেন৷ তাছামড়া, বাংলাভাষাকে সমৃদ্ধশালী করে তুলতে, সংস্কৃত থেকে আগত তৎসম শব্দগুলির উচ্চারণ ও অর্থ যথাযথভাবে প্রকাশ করতে, বিভিন্ন বিদেশী শব্দেরও উচ্চারণকে ঠিক ঠিক ভাবে প্রকাশ করার প্রয়োজনে, এছাড়া