February 2022

মার্গীয় প্রথায় জন্মদিন

ত্রিপুরা মোহনপুর নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী সজল সরকার ও উমা দাস সরকারের কন্যা অনিন্দিতার জন্মদিন আনন্দমার্গ সমাজশাস্ত্র মতে পালিত হয় গত ২৭শে জানুয়ারী৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আগরতলা ডায়োসিস সচিব আচার্য ব্রহ্মদেবানন্দ অবধূত৷ আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র বিষয়ে ও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবী গৌরাঙ্গ রুদ্ধ পাল৷নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ গত ২৩শে জানুয়ারী ত্রিপুরা আগরতলায় আমরা বাঙালী রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে নেতাজী সুভাষচন্দ্রের ১২৬তম জন্মদিন পালন করা হয়৷ সেন্ট্রাল রোডে নেতাজীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজ্যসচিব গৌরাঙ্গরুদ্র পাল৷ এছাড়া রাজ্য কার্র্যলয়ে সারাদিন নানা সাংস্ক

গরল ও কাউর (একজিমা)

লক্ষণ ঃ ক্ষত থেকে রসস্রবণ, চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও দপদপানির ভাব, প্রতি বৎসরই রোগের পুনরুদয়, রোগজনিত শারীরিক দুর্বলতা ও মধ্যে মধ্যে জ্বর, সময় সময় রোগের অতি প্রকোপের ফলে দেহের অস্থি পর্যন্ত বেরিয়ে আসা এই রোগের লক্ষণ৷

চশমা কেন প্রয়োজন

ডাঃ আলমগির

কোন কারণে দৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে যদি কম হয়, কিন্তু দৃশ্যমান কোনও গঠনগত পরিবর্তন বা কোনও রোগ যদি না থাকে সে ক্ষেত্রে চশমা দিয়ে সে দৃষ্টির উন্নয়ন সম্ভব৷ তখন একে রিফ্রাকটিভ এরর বা পাওয়ার জনিত দৃষ্টি স্বল্পতা বলা হয়৷ এটি সাধারণত চার ধরনের হয়৷

 ‘ডাঙ্গা ঃ বেলডাঙ্গা, নারকোলডাঙ্গা পটোলডাঙ্গা প্রভৃতি

জল থেকে উঠেছে, খুব পুরোনো নয় এমন জনপদকে ‘ডাঙ্গা’ বলা হয়৷ পূর্ব রাঢ়ে ও ৰাগড়িতে এই ‘ডাঙ্গা’ শব্দ যুক্ত অনেক জায়গা রয়েছে৷ যেমন, ‘ৰেলডাঙ্গা’৷ কলকাতাতেই আছে ‘নারকোলডাঙ্গা’৷ বর্ত্তমানে কলকাতায় যে জায়গাটাকে কলেজ স্কোয়ার ৰলে সেই জায়গাটার আগেকার নাম ছিল পটোলডাঙ্গা অর্থাৎ সমুদ্রবক্ষ থেকে ডাঙ্গা জেগে উঠলে লোকে ওখানে পটোলের চাষ করত৷ যাই হোক, ‘ডাঙ্গা’ শব্দযোগে কোন জনপদের নাম দেখলেই ৰুঝে নিতে হৰে যে ওই জনপদটি জলের তলা থেকে উঠেছে৷ জলের দেশ নয়, সেখানে ‘ডাঙ্গা’ খুব কম পাওয়া যাৰে৷ অৰশ্য উঁচু জমি এই অর্থেও অনেক সময় ‘ডাঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহূত হয়৷ রাঢ়ের উঁচু জমি ৰলতে ‘ডাঙ্গাল’ শব্দটি আর নীচু জমি ৰোঝাতে ‘নামাল’ শব্

দেশনায়কের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য

কৌশিক খাটুয়া

ভারত মাতার বীর সন্তানের হাত ধরে

ভারতের স্বাধীনতা অর্জন,

যে স্বাধীনতার তরে শতবর্ষ ধরে

শত শহীদদের প্রাণ বিসর্জন৷

স্বাধীন দেশ, খণ্ডিত দেশ,

সহস্র সমস্যায় জর্জরিত,

ধনী-গরিব, শিক্ষিত-মূর্খ

নানান ধর্মে বিভাজিত৷

 

কোন ভক্তির ছলে

ফুলের মালায় ধূপের ধোঁয়ায়

ঢাকা পড়ে যায়,

প্রাতিষ্ঠানিক আবহাওয়ায়,

ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায়

তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যায়,

আমাদের মনে সযতনে লালিত

তাঁর ত্যাগ, তিতিক্ষা, আদর্শ?

স্বাধীনতার চুয়াত্তর বছর পরেও

কী মূল্য দিয়েছে ভারতবর্ষ?

 

জাপানী সরস্বতী

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

জাপানীদের ধমকর্ম আচার অনুষ্ঠান শিক্ষাদীক্ষা দেবদেবীর  রূপ কল্পনায় ভারতীয় প্রভাব যথেষ্ট৷ ভারতের দেবদেবীরা চীন দেশের মধ্য দিয়ে জাপানেও কেউ কেউ প্রবেশ করেছেন৷ হিন্দুদের মতো জাপানীরাও ব্রহ্মার পূজা করেন৷ তাদের ব্রহ্মার নাম বেন-তেন৷ জাপানে দ্বিভূজ ব্রহ্মার মন্দির অনেক আছে৷ ব্রহ্মা চীন দেশের মধ্য দিয়ে ভারত থেকে জাপানে প্রবেশ করেছিলেন৷

পিতৃ–আজ্ঞা

বাপ–বেটাকে নিয়ে সংসার৷ বাপ হাটে গেছে৷ বেটা বাপের জন্যে ভাত–ডাল–তরকারী রেঁধে রেখেছে৷ ৰাৰা খেতে বসে বলছে–রামচন্দ্র, রামচন্দ্র, ওরে রাউজা, দাইলনিতে কয় গণ্ডা মরিস্ দিস?

বেটা বললে–সয় গণ্ডা৷

বাপ–দিৰারে কইসিলাম কয় গণ্ডা?

বেটা–আজ্ঞা, আষ্ট গণ্ডা৷

বাপ–দিস কত?

বেটা–আইজ্ঞা সয় গণ্ডা৷

বাপ–এ অন্ন কাউম্ না, এ অন্ন কাউম্ না৷

বেটা–এ্যাবার এ্যাডা ক্ষমা করেন, মাপ করেন৷ এক্কেরে কতা দিত্যাসি, এ্যামনডা আর অইবো না৷

কথা বেচে

প্রকাণ্ড ৰড় মিউজিয়াম (প্রত্নশালা)৷ কিউরেটর (তত্ত্বাবধায়ক) নিযুক্ত হয়েছেন একজন অতিজল্পক মানুষ৷ বিতর্কেই তিনি বেঁচে আছেন.......বিতর্কেই তিনি চাকরি বজায় রেখেছেন......... বিতর্কেই তিনি পদোন্নতির আশা পোষণ করেন৷ দর্শনার্থীদের সম্বোধন করে তিনি একটি ছোট্ট করোটি (মাথার খুলি) দেখিয়ে বললেন–আপনারা জেনে হয়তো অবাক হবেন.........সত্যিই তো, অবাক হবারই কথা.........এই করোটিটি হচ্ছে ইতিহাসধন্য পুরুষ রাণা প্রতাপের৷ উপস্থিত দর্শনার্থীদের মধ্যে ছিলেন একজন ইতিহাসের অধ্যাপক৷ তিনি বললেন, কিন্তু স্যর, রাণা প্রতাপ তো ছিলেন তাগড়া আকারের দশাসই চেহারার মানুষ৷ তাঁর করোটি এত ছোট হবে কেন?

ৰামুনদিদির বিপত্তি

আমার ছোটবেলায় শ্যামবাজারে আমার মামার বাড়িতে এক রাঁধুনী ছিলেন৷ রান্নায় তাঁর হাত ছিল ৰেশ পাকা–যেন একেবারে সৈরিন্ধ্রী৷ আমরা তাঁকে ৰামুনদিদি বলে ডাকতুম৷ নুন–ঝাল–মশলার হিসেব ছিল তাঁর চমৎকার৷ একবার বাড়িতে কিছু লোককে নেমন্তন্ন করা হয়েছিল৷ খাবার পর অতিথিরা মুক্তকণ্ঠে ৰামুন–দিদির  প্রশংসা করতে লাগলেন৷ সবাই বললেন–যা রেঁধেছ ৰামুন–দিদি, অমৃত, অমৃত ত্রিভুবনে এর তুলনা মেলা ভার

নিজের প্রশংসা শুনে আহ্লাদে আটখানা হয়ে ৰামুনদিদি উচ্ছ্বসিত  ভাষায় বলে উঠলেন– আমি বালো পাক করুম না তো করৰো ক্যাডা?

নীলকন্ঠ

‘‘আজ অর্থনীতি বস্তাপচা তত্ত্ব কথার কচকচানি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ একে অধিকতর বাস্তবমুখী করতে হবে৷’’---অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগ ভৌমিক বিজ্ঞান, আর একে সর্বজীবের তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত করতে হবে৷