February 2022

বেকারত্বের জ্বালায় তিনবছরে আত্মঘাতী ৯১৪১ জন - বছরে দু-একটি চাকরীর আশ্বাসে হতাশ যুব সমাজ

২০১৮ থেকে ২০২০ এই তিন বছরে দেশে বেকারত্বের জ্বালায় আত্মঘাতী হয়েছে ৯১৪০ জন৷ বছরে দু-কোটি চাকরীর আশ্বাস দিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ গত তিন বছরে নানা অর্থনৈতিক কারণে দেশে আত্মঘাতী হয়েছে ২৫ হাজারের বেশী মানুষ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সংসদে এই তথ্য দিয়েছে৷ ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর প্রতিবেদন থেকে নেওয়া  এই তথ্য সংসদে তুলে ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ এই তথ্য থেকে প্রকাশ ২০১৮ সালে বেকারত্বের জ্বালায় দেশে আত্মঘাতী হয় ২৭৪১ জন, ২০১৯ সালে ২৮৫১ জন ও ২০২০ সালে তিন হাজারের ঘর পার করে আত্মঘাতী হয় ৩৫৪৮ জন৷ দেনা দেউলিয়ায় ওই সময় আত্মহত্যা করে ৪৯৭০জন, ৫৯০৮ জন ও ৫২১৩ জন৷ সরকার ও শাসকদল

পুঁজিবাদী শোষণ ফ্যাসিষ্টরূপ ধারণ করেছে প্রাউটের পথেই আর্থিক মুক্তি সম্ভব

প্রবীণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন কয়েক দিন আগেই আর্থিক বৈষম্যের নিদারুণ চিত্রটি তুলে ধরেছে দুটি আর্থিক সংস্থা৷ কোভিড পরিস্থিতিতে দেশে ৮৪ শতাংশ মানুষের আয় যখন কমেছে পঞ্চাশ শতাংশের বেশী, তখন উপর তলার ১৬ শতাংশ মানুষের আয় বেড়েছে পঞ্চাশ শতাংশের কাছাকাছি৷ এই বৈসম্যই আর্থিক দুর্দশার করুণ চিত্রটি তুলে ধরেছে৷ মোদি জমানায় দেশের আর্থিক হাল কোথায় পৌঁচেছে সেই তথ্যটিও মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সংসদে প্রকাশ করেছে৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ থেকে ২০২০ এই তিন বছরে আর্থিক বিপর্যয়ে পড়ে ২৫ হাজারেরও বেশী মানুষ আত্মহত্যা করেছে৷ এর মধ্যে ৯ হাজারের বেশী মানুষ বেকারত্বের জ্বালায় আত্মহত্যা করেছে৷ উত্তরপ্

আনন্দমার্গের সর্বানুসূ্যত দর্শনের আলোকে সেমিনার

মহান দার্শনিক ও ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে তাঁর সর্বানুসূ্যত জীবনদর্শনের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের জন্য প্রতি ডায়োসিসে সেমিনারের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে৷ গত ৪,৫,৬ই ফেব্রুয়ারী কলিকাতা সার্কেলের বিভিন্ন ডায়োসিসে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷

ভাঁওতাবাজদের  এই বাজেট ধনী তোষণের হাতিয়ার

একর্ষি

মহান দার্শনিক শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকার বাজেটের বাংলা করেন আয় ও ব্যয়মাত্রিকা৷ তাহলে দেখা যাচ্ছে যে বছরের আয় বুঝে ব্যয় করার একটা খসড়া৷ সেটা গৃহস্থ যাঁরা যাঁদের যেমন আয় তাঁরা তেমনই ব্যয়ের হিসাবে হিসাব করেন৷ ঠিক তেমনই দেশের সরকার তাঁর যেমন আয়  তেমনই ব্যয়ের মাত্রা কষেন৷ যদি আয় বেশী হয় তাহলে সেই আয় ও ব্যয়মাত্রিকা হয় উদ্বৃত্ত আয় ব্যয়মাত্রিকা৷ আর যদি আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী হয় সেটাকে বলা হয় ঘাটতি বাজেট৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে দু’তিন বছর ধরে দেশের যে আর্থিক হাল তাতে করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশ একেবারে চরম আর্থিক সংকটে ছন্নছাড়া৷ জনগণের আর্থিক অবস্থা শোচণীয়!

বৈষয়িক ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য স্থাপনের মধ্য দিয়ে পরাগতির দিকে এগিয়ে চলা

আমি অবশ্যই বর্তমান কালকে অস্বীকার বা অবহেলা করতে পারি না৷ এর অর্থ আমাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আমি কোথায় আছি আর ঠিক বর্তমানে আমাকে কী করতে হবে৷ কিন্তু বর্তমান কাকে বলব?

আমরা জানি বর্তমান, অতীত আর ভবিষ্যতকে নিয়ে কাল তিনটি৷ এই তিন ধরনের কাল আসলে কী? বস্তুতঃ বর্তমান কাল বলে ঠিক কোন কিছু নেই৷ আমি যখন কিছু বলি, তুমি ততক্ষণাৎ তা শুণতে পাও না৷ কিছুটা বিরতির পরে তুমি সেটা শুণতে পাও৷ তাহলে সেই বিরতিটা কী? শব্দ বায়ুর দ্বারা বাহিত হয়ে কাণে পৌঁছতে যে সময় লাগে সেটাই বিরতি৷ আর যখন তা তুমি শোণ সেটা আমার কাছে কিন্তু অতীত, আর তোমার কাছে তা ভবিষ্যৎ কেননা অল্পক্ষণ পরে তুমি তা শুণতে পাচ্ছ৷

সামাজিক–অর্থনৈতিক গোষ্ঠীবদ্ধতা

বর্তমানে ছোট ছোট রাষ্ট্র অস্তিত্ব রক্ষার জন্যে সংগ্রাম করে’ চলেছে৷ মানুষ ছোট ছোট রাষ্ট্র অপেক্ষা বড় বড় সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে’ তুলে সকলের কল্যাণ নিশ্চিত করতে আগ্রহী৷ সংকীর্ণ সেণ্টিমেণ্ট ধীরে ধীরে সরে’ যাচ্ছে৷ মানুষের মনে বিশ্বৈকতাবাদী ভাবধারার উদয় হচ্ছে৷ যে সমস্ত অন্ধ বিশ্বাস ও ভাবজড়তা এতদিন সমাজের অনেকের শ্বাসরুদ্ধ করে’ রেখেছিল আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার বিকাশ তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে৷ যুক্তি–বিচার ও ‘সর্বজনহিতায়’ ভাবনাকে মানবতা এখন গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে৷ তাই প্রাউট বর্তমান পৃথিবীর সামাজিক–অর্থনৈতিক প্রবণতা অনুসারে সর্বত্র স্বয়ং–সম্পূর্ণ অঞ্চল (unit) গড়ে’ তোলার নীতিতে বিশ্বাসী৷ এই

চিরন্তন প্রেরণার উৎস

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১২ই ফেব্রুয়ারী ‘নীলকণ্ঠ’ দিবস৷ আনন্দমার্গের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন৷ আজ থেকে ৪৬ বছর আগে ১৯৭৩ সালের ঘটনা৷ পটনার বাঁকিপুর সেন্ড্রাল জেলে মিথ্যা অভিযোগে বন্দী মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূত্তিজীক্ হত্যার উদ্দেশ্যে ওষুধের নামে প্রাণঘাতী মারাত্মক বিষ প্রয়োগ করা হয়৷ কিন্তু মার্গগুরুদেব সেই বিষকে আত্মস্থ করে তাঁর প্রতিক্রিয়া নষ্ট করে দেন৷

মার্গগুরুদেব এই বিষ প্রয়োগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করেন৷ সরকার তাঁর দাবীতে কর্ণপাত করেনি৷ এরপর ১লা এপ্রিল (১৯৭৩) তিনি এই দাবীতে অমরণ অনশন শুরু করেন৷ এই ঐতিহাসিক অনশন চলেছিল পাঁচ বছর চার মাস দুই দিন৷

পেগাসাস মানবতা বিরোধী গণতন্ত্রের শত্রু স্বেচ্ছাচারিদের হাতিয়ার

পবিত্র সরকার

আজ দেশ ৭৫ বছরের স্বাধীনতা প্রাপ্ত একটি বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ বলেই এই পৃথিবীতে পরিচিত৷ এই দেশে প্রায় ১৩৫কোটি মানুষ বাস করেন৷ তাঁরা নানা ভাষাভাষীর  ও নানা ধর্মমতের৷ ভারতের সংবিধান হলো পৃথিবীতে বৃহত্তম সংবিধান৷ ভারতকে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসাবেই  প্রণেতারা ঘোষণা করেছেন৷ নির্বাচনে বিজয়ীগণ এই দেশের শাসন ভার বহন করেন দেশ সেবক হিসাবেই৷ তাঁরা সংবিধানের নামে শপথ নেন এই বলে যে দেশের জনগণের  কল্যাণে শাসকগণ শাসন ভারবহন করবেন দেশ সেবক হিসাবে৷ বর্ত্তমানে যাঁরা কেন্দ্রের শাসনে আছেন তাঁরা হলেন বিজেপি দলের সমর্থকগণ৷ সেই দলের প্রধানমন্ত্রী হলেন মাননীয় নরেন্দ্রমোদি৷ পেগাসাস কিনেছেন মোদিই৷ নিউইয়র্ক টাই

বাঙলা ও মনিপুরের আত্মিক সম্পর্ক

হরিগোপাল দেবনাথ

বিশ্বৈকতাবাদের অন্যতম পুরোধা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ন্যায় প্রবাদপুরুষের লেখনী নিঃসৃত কাব্যপংক্তি দ্বয় দিয়েই এই নিবন্ধের সূচনা করছি৷ কবিগুরু বলেছেন তাঁর ‘‘ভারত-তীর্থ’’ কবিতায়ঃ---

‘হেথা আর্য হেথা অনার্য হেথায় দ্রাবিড়-চীন

শক, হুনদল, পাঠান-মোগল এক দেহে হল লীন৷’’

যোগীর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বাঙলা

উত্তর প্রদেশে হারের আতঙ্কে মুখ্যমন্ত্রী  অজয় সিং বিস্ত ওরফে যোগী আদিত্যনাথ প্রলাপ বকছে৷  ১০ই ফেব্রুয়ারী এক টুইটারে বিডিও বার্র্তয় যোগী বলেন---উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় না এলে উত্তরপ্রদেশ পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ও কশ্মীরের মত হয়ে যাবে৷ যোগীর এই বার্র্তয় দেশের বিরোধী মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বাদে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, আমরা বাঙালী সহ সব বিরোধী নেতারা যোগীর এই মন্ত্যব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে৷