August 2022

সমাজ সেবা

নারায়ণ চন্দ্র সরকার

সাহস করে এগিয়ে গিয়ে

করতে হবে কাজ

মনোবল অটুট রেখে চললে

সমাজ সেবায় নাহি লাজ৷

ভাল কাজে ভালই লাগবে

থাকবে না ভয় ভীতি,

সবার পাবে ভালবাসা শ্রদ্ধা

যদি গড়তে পার কীর্তি৷

লক্ষ্যে অবিচল ধৈর্য্য নিয়ে

করলে সব কাজ৷

পাবে আনন্দ সমাজ সেবায়

পড়বে না খারাপ দাগ৷

ভালবাসায় সমাদ সেবায়

তুমি সবার হবে প্রিয়

কাজের মাধ্যমে উত্তীর্ণ হলে

সবার হবে শ্রেয়৷

সমাজের কাজে ব্যস্ত থাকবে

এই কামনা করি,

সব কাজেই যত্নবান হয়ে কাজ কর

সারাটা জীবন ধরি৷

শ্রাবণী পূর্ণিমা

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

শ্রাবণের বর্ষণস্নাত নির্জন গঙ্গাতীর

মৃদুমন্দ বহে সুশীতল স্নিগ্দ সমীর

নীল নভে খণ্ড খণ্ড মেঘমালা

পূর্ণচন্দ্র সাথে অবিরাম লুকোচুরি খেলা

জ্যোৎস্না ধৌত বটবৃক্ষতলে উপবিষ্ট

শুভ্রবেশ, সৌম্যকান্তি জ্যোতির্ময় পুরুষশ্রেষ্ঠ৷

সহসা আগুয়ান, নৃশংস দস্যু, নাম কালীচরণ

‘পতিতপাবন’ হরির সর্বস্ব করিতে হরণ৷

মহাসম্ভূতি তারকব্রহ্ম রূপে যিনি আবির্ভূত

তাঁরই অহৈতুকী কৃপায় পাতকী হ’ল সর্বপাপ মুক্ত

সিদ্ধ মন্ত্রপাতে চিত্তে উদ্ভাসিল দিব্যানুভূতি

শ্রাবণী পূর্ণিমার পুণ্যলগ্ণে পূর্ণ প্রকাশিত

আনন্দঘন বিশ্বমাঝে তুমি আনন্দমূরতি৷

বীর

সুপর্ণা মজুমদার

সেই যে এক দামাল,  কামাল করেছিল,

বছর আঠারোয় ফাঁসির মঞ্চে অবাক করেছিল৷

সেইতো এক দামাল ছেলে

বয়সটা তখন নিতান্তই চৌদ্দ,

জীবনখানা বাজি রেখে

ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতার যুদ্ধ৷

তখন শরীর তাগড়া ছিল রক্ত গরম একটা কিশোর,

চোখ বুঝলেই স্বপ্ণ দেখে স্বাধীনতার নূতন ভোর৷

হলেও বা শীর্ণদেহী নিজের কাছেই রাখতো বাজি,

মনের মাঝে অদম্য সাহস স্বভাবে ছিল সিংহ তেজী৷

পরাধীনতার চাপা কষ্ট বুকের মধ্যে পাহাড় সমান,

মাতৃভূমির ধূলো মেখে সঁপেছিল মনপ্রাণ৷

বিলেতি শাসক মারতে গিয়ে লক্ষ্য ভ্রষ্ট যেই না হলো,

রবীন্দ্রনাথের সবর্বশেষ কবিতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 গত ৩০ জুলাই ,১৯৪১ সালের অস্ত্রোপচারের

 পর সন্ধ্যার সময় রবীন্দ্রনাথ নিম্নলিখিত কবিতাটি

 মুখে মুখে বলিয়া যান ও সঙ্গে সঙ্গে উহা

লিপিবদ্ধ করা হয়---

দুঃখের আঁধার রাত্রি বারে বারে

এসেছে আমার দ্বারে

একমাত্র অস্ত্র তার দেখেছিনু,

কষ্টের বিকৃত ভাল, ত্রাসের বিকট ভঙ্গী যত

অন্ধকারে ছলনার ভূমিকার তাহার৷৷

 

যতবার ভয়ের মুখোস তার করেছি বিশ্বাস

ততবার হয়েছে অনর্থ পরাজয়৷

এই হারজিত খেলা, জীবনের মিথ্যা এ কুহক

শিশুকাল হতে বিজড়িত পদে পদে এই বিভীষিকা,

দুঃখের পরিহাসে ভরা৷

হিঙের কচুরির খাতিরে

গঙ্গা  জল ঞ্চ গঙ্গাজল৷ ‘জল’ শব্দের অর্থ যা টলটল করে৷ নীরং, তোয়ং, জলং, উদকং, পানীয়ম্ ইত্যাদি শব্দের মধ্যে ‘জল’ও একটি ‘জনপ্রিয়’ শব্দ৷ ‘জল’ মানে যা প্রবহমান...টলটলায়মান৷ পানীয়, অ–পানীয়, সুস্বাদু, কর্দমাক্ত যেমনই হোক না কেন তা জল৷ যে জল পান করার মত তা পানীয়...পীনেকা পানী, আর ‘পানী’ শব্দটি আসছে ‘পানীয়ম্’ থেকে যার মানে যা পান করার যোগ্য৷ ড্রেনের জল, বর্ষার ঘোলা নদীর জল, মাঠের কাদা–মেশানো জল–এরা পানীয় নয় কিন্তু জল৷ জলের স্বভাব ধর্ম হল টলমল করা–সে পদ্মপাতায় থাকুক আর নাই থাকুক ঃ

‘‘নলিনীদলগতজলম তদ্বজ্জীবনমতিশয়৷

ক্ষণমিহ সজ্জনসঙ্গতিরেকো ভবতি ভবাব্ধিতরণে নৌকা৷’’

৬১টি পদক জয় করে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে ভারত

২০১৮ সালের গোল্ড কোস্ট গেমসে শ্যুটিং থেকে ১৬টি পদক জিতেছিল ভারত৷ এ বার শ্যুটিং ছিল না৷ তাও মোট পদক প্রাপ্তির সংখ্যা প্রায় ধরে রাখল ভারত৷ শেষ হল বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস৷ পদক তালিকায় চতুর্থ৷ ২০১৮-র গোল্ড কোস্ট গেমসে পদক তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল ভারত৷ ক্রীড়াবিশ্বে কৌলিন্যের বিচারে কমনওয়েলথ গেমসের স্থান অলিম্পিক্স এবং এশিয়ান গেমসের পর৷ আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানির মতো ক্রীড়াবিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি কমনওয়েলথ গেমসে  অংশ নেয় না৷ বিশ্বের প্রথম সারির অনেক ক্রীড়াবিদও অংশগ্রহন করেন না৷ তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ কমনওয়েলথ গেমসে৷ তবু চার বছর অন্তর কমনওয়েলথ গোষ্ঠীর দেশগুলিকে নিয়ে আয়োজি