June 2023

জাতিভেদ ও নারীর মর্যাদা হ্রাস

(মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর শব্দ চয়নিকা–২৬ খণ্ড গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে ‘নারীর মর্যাদা’ বিষয়ক অনেক কিছুই বলেছেন৷ ওই গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ সংকলিত করে প্রকাশ করা হচ্ছে৷

–সম্পাদক)

ভক্ষ্য–অভক্ষ্য

রসোন (রসুন)–Allium sativumঃ

তোমরা রসুনের নাম শুনেছ নিশ্চয়৷ শব্দটি রসুন নয়–রসোন৷ রস  উন  ঞ্চ রসোন৷ তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল, মধুর–এই ছয় রকমের খাদ্য রস আছে৷ রসোন তামসিক খাদ্য হলেও তাতে ছ’টি রসের মধ্যে পাঁচটি রস রয়েছে–নেই কেবল অম্ল রস৷ তাই অম্লরসের সঙ্গে রসোন মিশ্রিত হলে তাতে একাধারে ছ’টা রসই এসে যায় উন মানে কম, যাতে একটা রস কম তা রসোন৷ উত্তর ভারতে রসোনকে ‘লহসূন’ বলা হয়৷

নাম নিতে নাই

ভূতকে ভয় পেয়ে সন্ধের পরে কেউ কেউ বলেন–উনি......তিনি.......তাঁরা হাওয়ায় ভর দিয়ে চলেন–সেই যে নাম নিতে নেই......দেখে এখনই গা ছমছম করছে......ওই শ্যাওড়া গাছটির দিকে একদম তাকিও না৷

যাঁরা এমন বলেন তাঁরা ভূত–প্রেতকে উপদেবতা বলেন৷ দেখনি, সাপের ভয়েতে রাত্রিতে লোকে সাপকে ‘লতা’ বলে৷ দিনের আলোয় সাপকে সহজেই দেখা যায়৷ তাই কিছুটা সতর্ক থাকাও যায়৷ রাতে ভাল করে দেখা যায় না তো, তাই রাতে ভূতের ভয়ের মত সাপের ভয়ও ৰেশী৷ তাই দিনের বেলায় যাঁরা ভূতকে ভূত বলেন, রাত্রে তাঁরা বলেন, উনি......তিনি......ইত্যাদি৷ আবার রাত্রে তাঁরা সাপকে বলেন ‘লতা’৷ বসন্ত হলে বলেন, ‘মায়ের দয়া হয়েছে’৷

তোমার পথের যাত্রী

কৌশিক খাটুয়া

তোমারে পাওয়ার অদম্য আশায়

বার বার যাওয়া আসা,

কত না জীবন করে অতিক্রম

মুক্তির উচ্চাশা!

খুঁজেছি তোমারে বাহিরে ভিতরে

অনুরাগে ভালবাসা৷

কত জীব, তরুলতা নিয়ে

ভরে আছে এই রসা৷

জেনে বা না জেনে

চলি তব পানে

বৃহতের আকর্ষণে,

পূরিল বাসনা মনের এষণা

অপূরণীয় যা ছিল মনে৷

সৃষ্টি ধারায় নর দেহ পায়

তোমার লীলার ছন্দে,

অসীমের মাঝে তোমার সত্ত্বা

নাচিছে নবীনানন্দে!

তব পূজা নয় সীমার গণ্ডিতে

বেদি পরে রাখা মূরতি,

নর-নারায়ণের মাঝে দেখেছি

তোমার আনন্দ মূরতি৷

বৈশাখী পূর্ণিমা স্মরণে

সুকুমার রায়

বৈশাখী পূর্ণিমা এই পূর্ণ দিনে

স্মরণ করি গো মোরা মনে প্রাণে৷

এসেছিলে প্রভু তুমি সকলের তরে

জীব উদ্ধারের লাগি নবরূপ ধরে৷

জন্ম জন্মান্তরের কোন পূণ্যফলে

পরম ভাগ্যবতী জননীর কোলে৷

শুভদিনে শুভক্ষণে ১৩২৮ সনে

তন্দ্রাহারা সবাই যবে নন্দিত ভুবনে

এসেছিল বৈশাখ রঞ্জিত সাজে

আকাশ বাতাস যেন নবীন রাগে৷

নিরন্তর চেয়েছিল ধারাবাসী মনে

বরণ করিতে তোমায় বিশ্বজনে৷

 

সেদিন বৈশাখের শুভদিনে

সেজেছিল ধারা আপন মনে৷

অরুণের উদয় নবীন বেশে

রঞ্জিত সে প্রভা মুক্তকেশে৷

আকাশ বাতাস নন্দিত ভরে

ঘরের মাঠে কলকাতা লিগ খেলবে ইষ্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহামেডান

   এবছর কলকাতা লিগ খেলবে তিনটি ফুটবল দল৷ ইতিমধ্যেই পঞ্চম ডিভিশনের  খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ আগামী ২৫জুন থেকে প্রিমিয়ার ‘এ’ ডিভিশনের খেলা শুরু হওয়ার কথা৷

ইংল্যাণ্ডে শুরু হয়ে গেল ভারতীয় দলের অনুশীলন

বিশ্ব টেষ্ট ফাইনালের অনুশীলনের জন্য দেরি না করে ফাইনাল খেলতে কোহলি পৌঁছেছেন ইংল্যাণ্ডে৷ গত রবিবার তিনি ইংল্যাণ্ডে পৌঁছে অনুশীলন শুরু করে দেন৷ গত সোমবার তিনি অনুশীলনও করেন৷ কোহলির সঙ্গে অনুশীলনে ছিলেন চেতেশ্বর পুজারা ও জয়দেব উনাদকাট৷

গত রবিবার ভারতীয় দলের অনুশীলনের ছবিও পোষ্ট করা হয়েছিল৷ উমেশ যাদব ও মহম্মদ সিরাজও অনুশীলনে ছিলেন৷ ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘‘বিশ্ব টেষ্ট ফাইনালের প্রস্তুতির লক্ষ্যে আরুন্ডেল ক্যাসল ক্রিকেট ক্লাবে প্রস্তুতিতে নামল ভারতীয় দলের সদস্যরা৷’’

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘আমরা চাই এ বিশ্বে যুক্তির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হোক৷ মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য তবে আপাতঃদৃষ্টিতে সেখানে বৈচিত্র থাকতে পারে কিন্তু বস্তুতঃ সেখানে রয়েছে ফল্গুধারার মত এক সামরস্য৷ যেমন মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমান, ইহুদী, খ্রীষ্টান, শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ সবই রয়েছে কিন্তু তারা মূলতঃ একই মহান মানবজাতির গৌরবান্বিত সদস্য---একই মহিমান্বিত বিশ্বপিতার সন্তান৷ আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক দর্শন এই তত্ত্বে বিশ্বাসী৷ একমাত্র ভাবজড়তার প্রভাবেই মানুষ বৈষম্যমূলক চিন্তাকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকে৷ পৃথিবীতে একটিমাত্র আদর্শ রয়েছে যা সর্বাত্মক ও সর্বানুসূ্যত আর তা হচ্ছে এই আনন্দমার্গ৷

স্মরণিকা

 

দীনেশ মজুমদার

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ দীনেশ মজুমদার

জন্ম-১৯শে মে ১৯০৭, মৃত্যু - ফাঁসীর মঞ্চে ১৯৩৪ সালে ৯ই জুন

 

জীব জগতের সার্বিক কল্যাণের জন্যে প্রাউট তত্ত্ব বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে

প্রবীন প্রাউট তাত্ত্বিক শ্রী প্রভাত খাঁ হুগলী শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন বর্তমান সামাজিক বিপর্যয় রুখতে প্রাউটতত্ত্বের সর্বাত্মক ও সর্বানুসূ্যত পরিকল্পনা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে৷ শ্রী খাঁ বলেন তথাকথিত জড়বাদ ও ভাবজড়তা আশ্রিত তত্ত্বের প্রভাবে মানুষ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবে পরিণত হয়েছে৷ মানুষের মানস-আধ্যাত্মিক বিকাশ স্তব্ধ হয়ে গেছে৷ নগ্ণচিত্র ও অশ্লীল সাহিত্য মানুষকে নৈতিক অধোগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷