আচার্য অসীমানন্দজী স্মরণে ছটকা গ্রামে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগর ২রা এপ্রিল  ঃ গত ১লা ও ২রা এপ্রিল ছটকা গ্রামে এখানকার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী দুর্গা মণ্ডলের গৃহপ্রাঙ্গণে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তনে প্রায় পাঁচ শতাধিক আনন্দমার্গী যোগ দিয়েছিলেন৷ ১লা এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে ২রা এপ্রিল ১১টা পর্যন্ত কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের পর স্বাধ্যায় হিসাবে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পুস্তক থেকে তাঁর প্রবচন পাঠ করেন আচার্য দেবপ্রেমানন্দ অবধূত৷

এখানে উল্লেখ্য ১৯৯০ সালে আনন্দমার্গের একজন সন্ন্যাসী আচার্য অসীমানন্দ অবধূত, যিনি একজন কৃষিবিজ্ঞানীও  ছিলেন ও এই রাঢ় এলাকার শুষ্ক টাঁড় জমিতে আঙুর, চা প্রভৃতি বিভিন্ন অর্থকরী ফসল ফলিয়ে এই এলাকায় কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন৷ কিন্তু সিপিএমের হার্মাদরা তাঁকে ও তাঁর সঙ্গে যাঁরা কাজ করতেন---রাজু গড়াঞ, দীনেশ সিং, অর্জুন সিং, দারা সিং---সবাইকে ১৯৯০ সালের ২রা এপ্রিল এই ছটকা গ্রামে নৃশংসভাবে খুন করে৷ সেই ঘটনার স্মরণে এখানে ২৪ ঘণ্টা কীর্ত্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ কীর্ত্তনের পর আচার্য করুণাত্মানন্দ অবধূত, আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত ও গোপাল নায়েক ওই ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন ও আচার্য অসীমানন্দজী ও তাঁর সঙ্গীদের অমর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়৷ বলা বাহুল্য, সিপিএম আমলে তাদের হার্মাদ বাহিনী আনন্দনগরে প্রায় ৫০ জন আনন্দমার্গের সন্ন্যাসী ও ত্যাগব্রতী কর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে৷ বক্তারাও উপস্থিত আনন্দীরা আনন্দমার্গের এই সমস্ত ত্যাগী ‘দধিচী’দের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন৷ স্মৃতিচারণের পর সকলের মধ্যে সমবেত গ্রামবাসী সহ সমস্ত ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷ এরপর গ্রামে কীর্ত্তন পরিক্রমা করা হয়৷ সমস্ত গ্রামবাসী এই কীর্ত্তন পরিক্রমায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন৷