আনন্দমার্গের তত্ত্বসভা ও অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

টালা পার্ক, কলকাতা ঃ গত ২৫শে জুন উত্তর কলকাতার টালা পার্ক এলাকার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীমনোজ কুমার সরকার ও শ্রীমতী অঞ্জু সরকারের বাসভবনে সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানব মুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবানাম কেবলম্’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তন ও প্রভাত সঙ্গীত পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা, শ্রী হরলাল হাজারি, শ্রী শুভদীপ হাজারি, শ্রী স্বপন মণ্ডল প্রমুখ৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনার পর স্বাধ্যায়ে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রবচন পড়ে শোনান আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷ এরপর আনন্দমার্গের দর্শন ও আদর্শের বিভিন্ন দিক ও কীর্ত্তন মাহাত্ম্যের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য হরাত্মানন্দ অবধূত ও আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত৷

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত বলেন, মানুষকে সমস্ত ডগমা তথা অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে উঠে তার শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্যে যত্নশীল হতে হবে৷ এজন্যে আনন্দমার্গ দিয়েছে অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনা৷ এই অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনার দ্বারা মানুষ শারীরিক সুস্থতা যেমন অর্জন করতে পারবে তেমনি মনকে শুদ্ধ, পবিত্র করে পরমাত্মায় সমাহিত করে মানুষ পরমানন্দ লাভ করতে পারবে৷ আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত বলেন, মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আদর্শের মূল কথা হ’ল ‘আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ’৷ আত্মার মুক্তির জন্যে মানুষ যোগ সাধনা করবে৷ আর জগতের কল্যাণের জন্যেও তাকে কাজ করতে হবে৷ আচার্য হরাত্মানন্দ অবধূত বলেন, নিয়মিত যোগ সাধনার দ্বারা মানুষ মনকে সমস্ত চাপ থেকে মুক্ত রাখতে পারবে ও অণুকে ভূমার সঙ্গে মিলিয়ে পরম শান্তি অর্জন করতে পারবে৷ এই অনুষ্ঠানে আনন্দমার্গীরা ছাড়াও প্রতিবেশীরা যোগদান করেছিলেন৷ অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে প্রীতিভোজে আপ্যায়িত করা হয়৷