আনন্দনগরে শারদোৎসব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

শারদোৎসবের দিনগুলিতে চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেন আনন্দনগরের সমস্ত স্তরের মানুষ৷

৪ঠা অক্টোবর ষষ্ঠীর দিন ঝালদা ব্লকের দার্দা গ্রামে প্রবীণ আনন্দমার্গী শ্রীনিরঞ্জন মাহাতর বাসভবনে ছয় ঘণ্টা অখণ্ড কীর্ত্তন, ইশ্বর প্রণিধান ও নারায়ণ সেবার আয়োজন হয়েছিল৷

সপ্তমীতে সাধারণ দিবসেও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকলে দিনটি অতিবাহিত করে৷ অষ্টমীর দিন কলাদিবসে গুরুকুলের পক্ষ থেকে চিতমু গ্রামের কলাভবনে অঙ্কন প্রতিযোগিতা, সঙ্গীত পরিবেশন প্রভৃতি নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ নবমীতে সঙ্গীত দিবসে শিশুসদনের ছেলেরা সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে৷ সফল প্রতিযোগিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়৷ শিশুসদনের সমস্ত ছেলেরা ও মার্গী ভাই ও দাদারা দুপুরে মিলিত আহারের পর নবমীর অনুষ্ঠান শেষ হয়৷ ৮ই অক্টোবর বিজয় উৎসব পালিত হয় পূর্ব আনন্দনগরে বাবার বাসভবন মধুমলয়ে৷

৮ই অক্টোবর ছিল কীর্ত্তন দিবস ১৯৭০ সালের ৮ই অক্টোবর ঝাড়খণ্ডের আমঝরিয়াতে বাবা অষ্টাক্ষরী মহানাম মন্ত্র ‘বাবানাম কেবলম্’ কীর্ত্তন প্রবর্ত্তন করেন৷ এই উপলক্ষ্যে মধুমলয়ে তিন ঘণ্টা অখণ্ড কীর্ত্তনও অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে আচার্য প্রণবাত্মাকানন্দ অবধূত কীর্ত্তন প্রবর্তনের ঐতিহাসিক পটভূমি ব্যাখ্যা করেন৷