‘বাবা নাম কেবলম্’ গেয়ে গেল রে উঠে পড়

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

পুরুলিয়ার এক প্রত্যন্ত গ্রাম আরষা৷ সেই গ্রামের মেয়ে-পুরুষেরা যারা জঙ্গলে গিয়ে কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করে, তাদের ভোরে ওঠার ঘড়ি হ’ল ওই ‘বাবানাম কেবলম্’৷ ১৯৯৩ সালের আনন্দপূর্ণিমা থেকে গত ২৬ বছর ধরে নিয়মিত ভোর রাতের ওই ‘বাবা নাম কেবলম্’ প্রভাতী সংকীর্ত্তন আরষা গ্রামে বাজার বা আশেপাশের অঞ্চলে ১ ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট সময় প্রতিদিন ওই প্রভাতফেরী হয়ে থাকে৷ তা করে আসছে একজন সাধারণ ভক্ত মানুষ৷ বয়স তার এখন ষাটের কোঠায়৷ কখনও বা একটি দু’টি সাথী মিলে যায়৷ কৃষ্ণকুমার বা বাগেশ্বর কুমার৷ নয়তো সে কারো আশা রাখে না৷ গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত মানে না৷ বছরের ৩৬৫ দিন ওই অন্ধকার ভোরে তার পরিক্রমা শুরু ঘরের গেট থেকে৷ শেষ হয় আবার ঘরে ফিরে৷ রাস্তায় বাজারের কুকুরেরা ওর কীর্ত্তনের সময় ওর পায়ের কাছে গড়াগড়ি খায়, এ এক আশ্চর্য ঘটনা৷ ওকে জিজ্ঞেস করি---কি পাও প্রতিদিন এত কষ্ট করে? ওর উত্তর৷ অতি দরিদ্র অবস্থা থেকে ম্যাজিক পরিবর্তন হয়েছে দাদা আমাদের সংসারে---যা কোন মানুষ বিশ্বাস করবে না৷ অবিশাস্য অথচ সত্যি৷ ভক্তের নাম শ্রীমন্ত মুখার্জী৷