বিজেপির দার্জিলিংয়ের স্কুলগুলিতে বাংলা শিক্ষার বিরোধিতা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৬ই মে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবাঙলার সমস্ত স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করার কথা ঘোষণা করেছেন৷ দার্জিলিংয়ে বিমল গুরুংরা এর বিরোধিতা করেছে৷ এর প্রতিবাদে পাহাড়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে৷ নেপাল থেকে জীবিকার সন্ধানে গোর্খারা বা নেপালীরা পশ্চিমবঙ্গে এসে বসতি স্থাপন করেছে৷ ১৯৫০-এর ভারত-নেপাল চুক্তিতেও বলা হয়েছে নেপালীরা জীবিকার জন্যে ভারতে বসবাস করতে পারবে, কিন্তু তারা এদেশের নাগরিকত্ব পাবে না৷ অর্থাৎ তারা বিদেশী বলেও পরিচিত থাকবে৷ সেই বিদেশী নেপালীরা পশ্চিমবাঙলায় থাকবে, এখানকার সব সুবিধা ভোগ করবে অথচ এখানকার ভাষা-সংস্কৃতির প্রতি আদৌ শ্রদ্ধা থাকবে না৷ আবার উল্টো দিকে পশ্চিমবাঙলাকে দ্বিখণ্ডিত করে গোর্খাল্যাণ্ড দাবী করবে এতো চলতে পারে না!

মুখ্যমন্ত্রী মমতা দেবী যথার্থই বলেছেন, কোনও মানুষ যে রাজ্যে বাসিন্দা, সেই রাজ্যটির ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক৷ মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকে স্কুলগুলিতে যথাক্রমে মারাঠি, তামিল ও কন্নর পড়া বাধ্যতামূলক৷ এই নিয়ম আগে থেকেই লাগু করা উচিত ছিল৷ কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এতদিন গোর্খা তথা নেপালীদের তোষণ করে ভোটের রাজনীতি করে এসেছেন৷ তাই এখন ওরা মাথায় চরে বসেছে৷ আরও লক্ষণীয় দার্জিলিংয়ে বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া পাহাড়ের লে যাতে বাংলা পড়তে না হয় তার জন্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন করেছেন৷ পশ্চিম বাঙলার সাংসদ হয়েও তিনি বাংলা পড়ানো আটকাতে চান৷ এইভাবে বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম প্রভৃতি দার্জিলিং গোর্খাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবকে মদত দিয়েছে৷ তৃণমূল ও গোর্খাল্যাণ্ড অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন (জিটিএ) দিয়ে বিমল গুরুংদের মদত দিয়েছেন৷ এখন বুঝছেন বাঙলার ঐক্য বাঙলার ভাষা-সংস্কৃতির পক্ষে এরা কতটা বিপজ্জনক৷ এখন কোনও অবস্থায় গুরুংদের দাবীর কাছে মাথা নোয়ানো চলবে না৷