ভারতের সাধারণতন্ত্রের ৬৮-তম বর্ষ পূর্ত্তিতে দেশের ৭৩%সম্পদ ১% ধনকুবেরের কুক্ষিগত

সংবাদদাতা
পি. এন. এ.
সময়

 ভারতবর্ষ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের শাসন থেকে মুক্ত হ’ল ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট৷ এরপর ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী নিজস্ব সংবিধান আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকরী করে ভারতে প্রজাতন্ত্র বা সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করা হ’ল বলে ঘোষণা করা হয়৷ প্রজাতন্ত্র বা সাধারণতন্ত্র মানে জনসাধারণের শাসন ব্যবস্থা৷ তা অবশ্য জনসাধারণের স্বার্থে হবে৷ গণতন্ত্রেরও মূল ভাবখানা হ‘ল জনগণের স্বার্থসিদ্ধির জন্যে যে শাসন ব্যবস্থা৷ কিন্তু স্বাধীনতার ৭১ বছর পরে ও সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৬৮ বছর পরে সমীক্ষায় আজ যা উঠে আসছে তাতে চোখে চারিদিকে সর্ষে ফুল দেখার মত অবস্থা!

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘অক্সফ্যাম’-এর একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে৷ তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৭ সালে ভারতের মোট সম্পদের ৭৩ শতাংশ কুক্ষিগত রয়েছে দেশের ১ শতাংশ ধনকুবেরের হাতে৷ ভারতের ১ শতাংশ বিত্তবান মানুষের সম্পদ গত এক বছরে ২০.৯ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে যা ২০১৭-২০১৮  সালের অর্থবর্ষের মোট বাজেটের প্রায় সমান৷

বছর বছর পুঁজিপতিদের সম্পদ বৃদ্ধির হার লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে৷ ২০১৬ সালে ভারতের বিত্তবান ১ শতাংশের হাতে ছিল ভারতের ৫৮ শতাংশ সম্পদ৷

২০১৭তে এই ১ শতাংশ বিত্তবানের হাতে এসে গেলে ভারতের ৭৩ শতাংশ সম্পদ৷

আরও একটি সমীক্ষায় বলা হচ্ছে ২০১৭ সালে কোটিপতিদের সংখ্যা প্রতি দুই দিন একজন করে বাড়ছে৷ আরও জানা যাচ্ছে ২০১০ সালে প্রতি বছর কোটিপতিদের সম্পদ ১৩ শতাংশ করে বেড়েছে যা একজন সাধারণ শ্রমিকের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির হারের ৬ গুণ বেশী৷ এর থেকে এটাই প্রমাণিত হয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আর্থিক নীতি মূলত ধনকুবেরদের সম্পদবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে, জনসাধারণের দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে নয়৷