ভারতীয় রেল ১০৯টি রুটে প্যাসেঞ্জার ট্রেন বেসরকারী করণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২রা জুলাই এই সিদ্ধান্ত রেলমন্ত্রক নিয়েছে৷ রেলের সার্বিক উন্নয়নে৷ গতি বৃদ্ধি হবে ও প্রায় ১৪০ মাইল বেগে রেলগাড়ি চলবে৷ এর উন্নয়নে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা  বিনিয়োগ করা হবে৷ এতে বিরোধী দলগুলি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ লোকসভা বন্ধ , সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ এখন প্রশ্ণ বেসরকারী করণে নিশ্চয় ধনী গোষ্ঠী এর মালিক হবে৷ তা হলে গরীব দেশের জনগণের উপর আর্থিক কোটা নিশ্চয়ই বেশি পড়বে৷ টিকিটের দাম অবশ্যই  আকাশ ছোঁয়া হবে৷ যেটি তাঁদের নাগালের বাহিরে যাবে৷

ভারতের গণতন্ত্রকে সার্থক করতে হলে সমবায় পদ্ধতিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে৷ তাছাড়া বেসরকারী করণে যে হাল সেটাকে তো দেখা যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই৷ বিদ্যুৎ ব্যাপারে ইউনিটের দাম আকাশ ছোঁয়া৷ সরকার কি সবকিছুর দায়িত্ব এড়িয়ে চলতে চাইছে?

তাছাড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে প্রতিটি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে রাখলে কি ভালো হয় না? সেখানেও জনসেবায় জনগণ উৎসাহিত হবে৷ কারণ সেবামূলক বিষয়গুলিতে সমবায়কে উৎসাহিত করাটাই গণতন্ত্রের পক্ষে কল্যাণকর৷ সমতলের নরম মাটিতে ১৪০ কিমি ঘন্টায় ট্রেনের গতিবেগটা ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়াবে৷

ভারতের মতো গরীব জনবহুল দেশে সরকার যাই করুন সেটা যেন কল্যাণকর হয়৷ দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রের সরকার যাতে হাত দিচ্ছে সেটাই যেন চরম সংকটের কারণ হয়েই দাঁড়াচ্ছে৷ এই সরকার নতুন কিছু করতে  মনে হয় যেন খুব আগ্রহী  কারণ এঁদের রাজত্ব হলো আসল স্বর্ণযুগ! এদিকে অর্থ ভাণ্ডার তো ভাঁড়ে মা ভবানী৷ টাকা আসবে কোথা থেকে? বেসরকারী করণে প্যাসেঞ্জার ট্রেন এ কেমন পরিকল্পনা! এ কেমন জন দরদী সরকার!