দার্জিলিংয়ের গোর্খাল্যাণ্ড আন্দোলনের পেছনে চীনের হাত আছে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

দার্জিলিঙে বিদেশী গোর্র্খদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ও সেই আন্দোলনকে সামনে রেখে দার্জিলিং বনধ্ এর ফলে ২০শে জুন পর্যন্ত  প্রতক্ষভাবে ও পরোক্ষভাবে ক্ষয়-ক্ষতির  পরিণাম  ১৫০ কোটি টাকা৷ ৮ই মার্চ মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে মন্ত্রিসভা ডাকার দিন থেকেই গোর্র্খল্যান্ড মুক্তি মোর্র্চ সুপ্রিমো বিমল গুরুং গোর্র্খল্যান্ড রাজ্যের দাবীতে অনির্দিষ্টকাল বনধ্ ঘোষণা করে৷ মোর্র্চর ডাকা বনধের জন্য পর্যটন শিল্প মার খাচ্ছে৷ ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে৷  তাছাড়া পুলিশের গাড়ীতে  ও অন্যান্য সরকারী  বাসে আগুন লাগানো,  বিভিন্ন  সরকারী দফতরে আগুন লাগানো---এসব মিলিয়ে ২০শে জুন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ কোটি টাকার মতো সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসনের  দফতর থেকে  রাজ্য সরকারের কাছে এই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে৷

তাছাড়া পাহাড়ে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের পেছনে বিদেশী মদতের প্রমাণ আছে  বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে৷  এরসঙ্গে কিছু জঙ্গী সংস্থাও জড়িত৷ গত বছরই নাগাল্যান্ডের জঙ্গী এন.এস.সি.এন (খাপলং) এর মদতের প্রমাণ মিলেছিল৷   অসমের চিরাং-এ দার্জিলিংয়ের নম্বর প্লেটের গাড়ী থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল৷ অস্ত্র পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গোর্খাল্যাণ্ড পার্সোনাল (জিএলপি)-এর সদস্যকে ও এন.সি.সি.এন-এর গণেশ ছেত্রীকে৷

বিশেষ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, চীন ও নেপালের মাওবাদী গোষ্ঠী বিমল গুরুংদের মদত দিচ্ছে৷ তাই ভালভাবেই বোঝা যাচ্ছে দার্জিলিংএর এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ভাবতবর্ষের প্রতিরক্ষার ব্যাপারে অশনি সংকেত৷ মমতা বন্দোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেই বিমল গুরুং- এর হাতে গোর্র্খল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এসোসিয়েশন (জি.টি.এ) তুলে দিয়ে তিনি পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, এখন বোঝা যাচ্ছে, বিমল গুরুং এত সহজে ভুলবার নয়, তাই আর তোষণ নয়, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, জি.টি.এ-র অর্থ আত্মসাতের  অভিযোগ, পুনরায় পাহাড়ে আগুন লাগানো ও মদন তামাং হত্যার অভিযোগ  অবিলম্বে  বিমল গুরুং ও তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করতে হবে৷ কঠোর হস্তে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে একযোগে এই আন্দোলন চিরতরে বন্ধ করতে হবে৷