এদেশে গণতন্ত্রের নামে চলছে দলতান্ত্রিক শোষণ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন---দেশে এখন গণতন্ত্রের নামে চলছে দলতান্ত্রিক শোষণ৷ স্বাধীনতার পর থেকে রাজনৈতিক দলের ‘ব’-কলমে দেশের শাসনভার পরিচালনা করছে মুষ্টিমেয় কয়েকজন পুঁজিপতি গোষ্ঠী৷ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করাই পবিত্র কর্তব্য৷ কিন্তু ভারতবর্ষের আজও ৮০ শতাংশের বেশী মানুষ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সচতেন নয়৷ তাই নির্বাচনের আগে নেতাদের গালভরা আশ্বাসের প্রলভনে ৭৭ বছরে কোন শাসকই জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন নয়৷ তাই নির্বাচনের আগে নেতাদের গালভরা আশ্বাসের প্রলোভনে পড়ে জনগণ শাসক নির্বাচন করে নিজেদের ভালোমন্দ না বুঝেই ৭৭ বছরে কোন শাসক জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করার কোন চেষ্টাই করেনি, কোন সরকারের কোন কর্মসূচীও নেই৷ কারণ জনগণের অচেতনতাই রাজনৈতিক দলগুলোর মূলধন৷ শ্রী খাঁ বলেন--- নির্বাচন ঘোষণার মাত্র তিনদিন আগে পরিবেশ দপ্তরের আপত্তি উপেক্ষা  করে মধ্য প্রদেশের মারা-২ মাহান কয়লা ব্লক আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ এখানে মজুত কয়লার পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার ৯৫০ লক্ষ টন৷ শ্রী খাঁ বলেন এই বিপুল পরিমাণ কয়লা জলের দরে ধনকুবেরদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আয়ের মাত্র ৬ শতাংশ সরকার পাবে৷  পুঁজিবাদের অর্থেপুষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো পুঁজিপতিদেরই সেবা দাসে পরিণত হয়েছে৷ দেশের সম্পদ এইভাবে লুঠ হচ্ছে৷ এখন নির্বাচন সামনে আসতেই নেতারা জনদরদী হয়ে গেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর কোচবিহারে জনসভায় নারী শক্তি উত্থানের স্বপ্ণ দেখাচ্ছেন৷

আচার্য প্রসুনানন্দ বলেন প্রাউটে (প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব) স্পষ্টই বলা হয়েছে সফল গণতন্ত্রের প্রধান শর্তই হলো জনগণের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চেতনা৷ কিন্তু জনগণকে অন্ধকারে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো পুঁজিবাদের  সেবা করে চলেছে, জনগণের পকেট কেটে পুঁজিপতিদের ভাণ্ডার ভরে দিচ্ছে৷ এইভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে দলগুলি৷ ভারতীয় গণতন্ত্রের ছিদ্রপথে পুঁজিপতি ও রাজনৈতিক দলের যৌথ শোষণে জনগণ জেরবার হচ্ছে৷