প্রবন্ধ

বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও আধ্যাত্মিক অনুশীলন---দুইয়ের সমন্বয়ই একমাত্র পথ

প্রভাত খাঁ

ভারত যুক্তরাষ্ট্র এক বিশাল দেশ৷ এর প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৫২১টির অধিক পঞ্চায়েত আছে৷ আর প্রায় ১১ লাখ ৬৫ হাজার ২১০টিরও অধিক গ্রাম আছে৷ সেই অনুপাতে বিভিন্ন স্থানের ভৌগোলিক পরিবেশ এক নয়, মরুভূমি, পার্বত্য এলাকা, অসমানতা, সমতলভূমি, বনাঞ্চল, উর্বর, অনুর্বর ভূমি আছে৷ বিভিন্ন এলাকার নানা প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক কারণে নানা ধরণের বনজ, কৃষিজ, খনিজ সম্পদ আছে৷ নানা ভাষাভাষীর ভাইবোনেরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে কালাতিপাত করেন৷ প্রতিটি পঞ্চায়েত ও গ্রামকে আর্থিক দিক থেকে স্বয়ংভর করে’ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কংগ্রেসী আমলে ব্লক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়৷ আঞ্চলিক ভিত্তিতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত পরিকল্পনাকে যদি বাস্তবায়িত

স্মরণিকা

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘যাহার হৃদয়ে যত সৌন্দর্য বিরাজ করিতেছে সে তত সৌন্দর্য উপভোগ করিতে পারে৷ সৌন্দর্যের সহিত তাহার নিজের ঐক্য যতই সে  বুঝিতে পারে ততই সে আনন্দ লাভ করে আমি যে এত ফুল ভালোবাসি তাহার কারণ আর কিছু নয়, ফুলের সহিত আমার হৃদয়ের গূঢ় একটি ঐক্য আছে---আমার মনে হয়ও একই কথা, যে সৌন্দর্য ফুল হইয়া ফুটিয়াছে, সেই সৌন্দর্যই অবস্থা ভেদে আমার হৃদয় হইয়া বিকশিত হইয়াছে৷’’

               ---রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘তন্ত্রশাস্ত্রে আছে---

‘‘সর্বে চ পশবঃ সন্তি তলবৎ ভূতলে নরাঃ৷

তেষাং জ্ঞানপ্রকাশনায় বীরভাবঃ প্রকাশিত৷

বীরভাবং সদা প্রাপ্য ক্রমেণ দেবতা ভবেৎ৷৷’’

আঞ্চলিক শ্রীবৃদ্ধির পথ ধরে গড়ে উঠবে বিশ্বায়ণ

প্রভাত খাঁ

মানুষই পারে স্রষ্টার সৃষ্টিকে সার্থক করতে  কিন্তু সেই কাজটি করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে ও অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে৷ এই মহান কর্মের বাস্তবায়নের বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিপূর্ণ পথ নির্দ্দেশনা দিয়েছেন প্রাউট  দর্শনের  প্রবক্তা  শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকার৷

আঞ্চলিকতার  পথ ধরে  বিশ্বায়নের পথে এগুতে  হবে ঐক্যবদ্ধভাবে মানবসমাজকে৷

প্রথমেই বলতে বাধ্য হচ্ছি এই যে বিশ্বায়ন এটা হলো এক মহান প্রচেষ্টা যেখানে  সকলে এক হয়ে চলার প্রয়াসে রত থাকবে৷

একটি ঐতিহাসিক তথ্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

(এক সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া পরম শ্রদ্ধেয় শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকারের ব্যতিক্রমী একমাত্র সাক্ষাৎকার৷ মাধব বসাক কর্তৃক সংগৃহীত ও ইংরেজী থেকে বাংলায় অনূদিত৷)

স্বদেশী শোষকের হাত থেকে বাঙলাকে রক্ষা করতে হবে

মনোজ দেব

‘‘একই ভৌগোলিক পরিবেশে, একই ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক আবেষ্টনীর মধ্যে যাদের জন্ম ও লালন-পালন, সেই জনগোষ্ঠী অপর জনগোষ্ঠী থেকে ভিন্নতর গোষ্ঠীগত বৈশিষ্ট্য অর্জন করে৷ পরবর্তীকালের এই গোষ্ঠীগত বৈশিষ্টগুলোর সমগ্র জনগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ ভাবধারার সঙ্গে এমনভাবে মিশে যায় যে এতে করে একটা জাতীয় স্বভাব তৈরী হয়৷ তা দিয়েই একটা গোটা জাতির মানস-প্রবণতা, বাহ্যিক আচরণ, জীবন ও সমাজের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি---এককথায় একটি বিশেষ জাতীয় দৃষ্টিকোণ গড়ে ওঠে---যা সেই জাতিকে অন্য জাতি থেকে এক পৃথক বৈশিষ্ট্য দান করে৷

স্মরণিকা

পত্রিকা প্রতিনিধি

Q‘‘যাদের হৃদয় শুদ্ধ তারা সকলকেই শুদ্ধ দেখেন৷ কিন্তু যাদের হৃদয় অশুদ্ধ এবং আত্মবিশ্বাসী তাদের কাছে পৃথিবীর কিছুই বিশুদ্ধ নয় কারণ তাদের মন এবং বিবেক, দুটোই নোংরা৷’’

Qযিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী, তিনি সুখী৷

Qঅন্তরে প্রকৃত অর্থেই আনন্দিত হও৷ তোমার জন্য বিস্ময়কর অপার আনন্দ অপেক্ষা করে আছে৷

Qবিবেকবান মানুষদের মুক্তি হলেন স্বয়ং প্রভু তাদের বিপদে তিনিই শক্তি জোগান৷

Qলক্ষ রাখ, প্রার্থনা করো যাতে তুমি প্রলোভনে পা না বাড়াও৷ আত্মা শক্তিমান, কিন্তু দেব দুর্বল৷

                                                   ---বাইবেল

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘তথাকথিত ‘‘রিলিজন’’ এর জন্যে ‘ধর্ম’ শব্দটা প্রায়ই আলগাভাবে ব্যবহার হয়ে’ থাকে৷ তার কারণ প্রায় প্রতিটি রিলিজনের প্রবর্তকেরা নিজেদের মতবাদকে ‘ঈশ্বরের বাণী’ আখ্যা দিয়ে জনসাধারণের কাছে পরিবেশন করে গেছেন৷ তাঁরা কেউই যুক্তিতর্কের পথ মাড়ান নি৷ এর পেছনে তাঁদের উদ্দেশ্য যাই থাকুক না কেন মানুষ তার পরম সম্পদ বিচারশীলতাকে খুইয়ে বসেছিল৷  ‘‘আমি ঈশ্বরের দূত---আমি যা বলছি তা ঈশ্বরেরই ঘোষণা৷’’---এই কথা বলে মধ্যযুগের অনগ্রসর মানুষের মনে ভয়-তরাস সৃষ্টি করে দিয়ে তাদের ঘাড়ে নিজেদের মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার পরিণাম কি মানুষ বা জীবসমাজের কাছে কল্যাণকর হয়েছিল?

রাষ্ট্রভাষার যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয়তা

খগেনচন্দ্র দাস

বিশ্বজোড়া মানুষের ব্যবহৃত ভাসার সংখ্যা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে৷ সঠিক সংখ্যা নিয়ে প্রচুর মতভেদ রয়েছে৷ তবে একথা সর্বজন স্বীকৃত যে প্রতিদিন কিছু ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ও গড়ে চল্লিশ শতাংশ ভাষাই ধবংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে৷ বিশেষ করে সেইসব ভাষা যেগুলোতে কথা বলা মানুষের সংখ্যা হাজারেরও কম৷ এই যে একেকটি ভাষা হয়ে যাচ্ছে তার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে৷ তবে একথা  অনস্বীকার্য যে একটা  ভাষার স্বাভাবিকভাবেও বিলুপ্তি ঘটতে পারে আবার অস্বাভাবিক মৃত্যু ও হতে পারে৷ কতকটা মানুষ ও অন্যান্য জীবের মতো৷ অস্বাভাবিক মৃত্যু মানুষ বা ভাষা যারই হোক না কেন সেই মৃত্যুর জন্য কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে দায়ী৷ সে দায় কেউ