কলকাতায় আনন্দমার্গের সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৭,৮ ৯ ফেব্রুয়ারী কলকাতায় আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় আশ্রমের জাগৃতি ভবনে আনন্দমার্গের সেমিার অনুষ্ঠিত হয়৷ এটি হ’ল প্রথম ডায়োসিস স্তরীয় সেমিনার৷ এই সেমিনারে আলোচ্য বিষয় ছিল সাধনা ও মধুবিদ্যা, জাগ্রত বিবেক, ভক্তি ও কৃপা ও প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্র৷ এই সেমিনারে মুখ্য প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত, আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ অভিষা আচার্যা প্রমুখ৷

কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ থেকে আনন্দমার্গীরা এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন৷

সাধনা ও মধুবিদ্যা বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত বলেন, প্রতিটি মানুষ পরমব্রহ্মের সন্তান৷ তাই ব্রহ্মের বিকাশ হিসেবে মানুষের তথা জগতের সেবা করা প্রতিটি মানুষেরই কর্তব্য৷ আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত ‘জাগ্রত বিবেক’ বিষয়ে আলোকপাত করে বলেন---‘ জিও সেণ্টিমেণ্ট’, ‘সোসিও সেন্টিমেন্ট,

হিউম্যান সেইন্টমেণ্ট’ কোন ধরণের সেণ্টিমেন্টের (ভাব জড়তা) মধ্যে আবদ্ধ থাকলে চলবে না৷ সমস্ত মানুষ পশু-পাখী, তরুলতা, সবাইকে ভালবাসতে হবে৷ একেই বলে নব্যমানবতাবাদ৷ নব্যমানবতাবাদ আজকের যুগের সমস্ত সমস্যার সমাধান৷ নিপীড়িত মানবতার একমাত্র আশ্রয়৷

আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত বলেন, শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নতুন আধ্যাত্মিক দর্শন ও যোগ-তন্ত্র ভিত্তিক আধ্যাত্মিক সাধনা ও শিক্ষা, ত্রাণ ও বহুমুখী জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি মানুষের জীবন ধারণের নূ্যনতম গ্যারাণ্টি ও ক্রয়ক্ষমতার ক্রমবৃদ্ধির জন্যে প্রাউট দর্শনের প্রবর্তন করেছেন৷ এই প্রাউট দর্শনে সমাজের সমস্ত অর্থনৈতিক সম্পদ সহ সমস্ত প্রকার সম্পদেরই সর্বাধিক উপযোগ, জনসাধারণের মধ্যে এ সব কিছুর যুক্তিসঙ্গত বণ্টনের যথাযথ পথ দেখিয়েছেন৷

তিন দিন ব্যাপী এই সেমিনারে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী দর্শনের বিভিন্ন দিকের ওপর আলোচনার সঙ্গে সঙ্গে অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, প্রতিদিন স্থানীয় এলাকায় প্রভাতফেরী প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হয়৷

এই সেমিনারটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন আচার্য সুদীপানন্দ অবধূত, আচার্য সর্বজ্ঞানানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ প্রেমদীপ্তা আচার্যা, কলকাতার ভুক্তিপ্রধান শ্রীমতী সুনন্দা সাহা প্রমুখ৷