মোদী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজের ভাবমূর্ত্তি গড়তেই সর্বাধিক আগ্রহী, জনগণের সেবায় নয়

লেখক
প্রভাত খাঁ

বর্তমানে ১২৫ কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমোদীর অধিকাংশ সময় কেটে যাচ্ছে বিদেশ ভ্রমণে৷ মনে হয় দিল্লির বিজেপি নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী যে বিরাট সংখ্যক দলীয় এমপিদের সমর্থনে গুরুত্বপূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর আসনে উপবিষ্ট হয়েছেন সেই আসনটির গুরুত্ব আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যেই তিনি মনোনিবেশ করেছেন৷ গত তিন বছরের শাসনে তিনি ভারতের মতো বিরাট গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জনগণের কতটা সেবা  করতে পেরেছেন  তার সঠিক সমীক্ষা করার দিনে সামান্যতম সময় দিয়েছেন বলে মনে হয় না৷ ডিমনিটাইজেশন  করে ও পরে জিএসটি করে  দরিদ্র জনগণের জীবনে  অদ্যাবধি  যে দারুণ ক্ষতের  সৃষ্টি করে দিয়েছেন তার দ্বারা দেশের জনগণ কতটা উপকৃত হলো সেটা বিশেষভাবে পর্যালোচনা করা দরকার৷

সম্প্রতি জন্মু-কাশ্মীরে, দার্জিলিংয়ে, ভারত ও চীন বরাবর সীমান্তে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেটার জন্যে দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে  শ্রীমোদী  ও  বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের উপস্থিত হয়ে আলোচনা করতে দেখা গেল না! এদিকে লোকসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে৷ সেখানে মনে হয় অন্যবারের মতই হই চই,হট্টোগোলের মধ্যে সভার অধিবেশন পণ্ড হবে৷ কাজের কাজ তেমন হবে বলে মনে হচ্ছেনা৷ এদিকে কথা ছিল  ভারতের সব দল একত্রে বসে সর্বসম্মতিক্রমে ভারতের রাষ্ট্রপতি  মনোনীত করবে৷ কিন্তু তা হল না৷ সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলো৷ শেষ পর্যন্ত গত ১৭ই জুলাই বিজেপি  সমর্থিত প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্র্বচিত হলেন৷

এখন ভারতে  রাজনৈতিক  পরিস্থিতি মোটেই  স্থিতিশীল নয়৷ ক্ষুদ্র স্বার্থ এখানে এত বেশী প্রবল যার জন্য জনগণকে রাজনৈতিক যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে কষ্ট ভোগ করতেই হচ্ছে ও হবে৷ শ্রীমোদি আন্তর্জাতিক স্তরে তাঁর ইমেজ বৃদ্ধিতে বেশী ব্যস্ত, বিরাট গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের দিকে তাঁর সরকার তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন  না বলে  দরিদ্র জনগণ মনে করছেন৷ সরকারের গো-নীতিটা  সরকারকে এক দারুণ প্রশ্ণের মুখে ফেলেছে৷ তাই তো মনে  হয় শ্রী মোদী মানতে বাধ্য হয়েছেন, গো রক্ষার নামে গুন্ডামী বরদাস্ত করা হবে না৷ এই প্রচেষ্টাতে হিতে বিপরীত হচ্ছে , সেটা অবশ্যই তিনি  উপলব্ধি করেছেন৷