প্রাউট–প্রবক্তা প্রভাতরঞ্জনের সাহিত্য চেতনা

লেখক
ডঃ গোবিন্দ সরকার,  প্রাক্তন অধ্যাপক, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক মহাবিদ্যালয়

‘এ গান থামিবে নাক এ দাবী দমিবে না

পথ বেঁধে দিল আলোকোজ্জ্বল প্রাউটের প্রেষণা’৷

গানটি শুনেই প্রথম প্রশ্ণ জাগে ‘প্রাউট’ কী? মানব দরদী প্রভাতরঞ্জন ‘প্রাউট’ বলতে বুঝিয়েছেন–‘প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব’৷ Progressive Utilisation Theory üÑËŽÂËÂó PROUT. এই জীবনবাদ তত্ত্বে একদিকে যেমন ব্যষ্টি জীবনের চাহিদার সঙ্গে সামূহিক জীবনের প্রয়োজনের  এক মধুর সমন্বয় সাধন করেছে, অন্যদিকে বস্তু জগতের সঙ্গে অধ্যাত্ম–জগতের দ্বন্দ্বের সমাধান করেছে৷

আমাদের দেশের চিন্তা, ভাবনা, কর্ম, সমাজের সঙ্গে –সমাজ বিজ্ঞানের সঙ্গে বিজ্ঞান, ধর্মের সঙ্গে ধর্ম যে পরমতীর্থে এক সাগর সঙ্গমে স্নান করতে পারে সেই রহস্যেরই সন্ধান করে চলেছে’–রবীন্দ্রনাথ কথিত সেই পরম তীর্থ বা সাগর সঙ্গম হল এই ‘প্রাউট’ ভাবনা৷ প্রাউটের মতে মানুষের অস্তিত্ব মূলত তিন স্তরে বিন্যস্ত৷ যথা ভৌতিক (ফিজিক্যাল), মানসিক (সাইকিক) ও আধ্যাত্মিক (স্পিরিচুয়াল)৷ এছাড়া এই অস্তিত্বকে ভৌত–মানসিক (ফিজিও–সাইকিক) ও মানসাধ্যাত্মিক (সাইকো–স্পিরিচুয়াল) প্রভৃতি আন্তঃস্তরেও বিভক্ত করে দেখানো যেতে পারে৷

এই তিন স্তরীয় অস্তিত্বের বল্গাহীন চাওয়া ও অপরিমেয় সামর্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাবের জন্যে মানুষের ক্রমবিকাশের পথ বিঘ্ণিত ও বিপর্যস্ত৷ মানুষের এই ত্রি–স্তরীয় অস্তিত্বের অন্তর্নিহিত সামর্থ্যেরপূর্ণ বিকাশের মধ্য দিয়ে মানবত্বের পূর্ণ অভিস্ফূরণ ঘটানো ও ব্যষ্টি জীবনের চাওয়া পাওয়ার সঙ্গে সামূহিক জীবনের প্রয়োজনের সুসম সমন্বয় ঘটিয়ে মানুষকে তার চিরন্তন ক্রমাভিব্যক্তির পথে এগিয়ে দেওয়াই প্রাউট ভাবনার সার্থকতা৷

মানব অস্তিত্বের বিভিন্ন স্তর পর্যালোচনা এক দুরূহ ও সময় সাপেক্ষ কাজ৷ মানবত্ব বিকাশের পথও সুদূর প্রসারী হবে তা বলার অপেক্ষা থাকে না৷ সুতরাং প্রাউট মানব জীবনে ‘এক আলোকোজ্জ্বল পথ নির্দেশিকা বিশেষ৷ ক্ষুদ্র পরিশরে তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়৷ বর্তমান আলোচনায় সাহিত্য–সংসৃক্তি, শিল্পকলা প্রভৃতি মানব সম্পদের মধ্যে প্রাউটের আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখতে হ’ল৷ আর সভ্যতার অন্যতম উপাদান সাহিত্য শাখার ওপর বিশেষ আলোকপাত এ নিবন্ধের উপজীব্য৷

‘সাহিত্য’ শব্দের প্রকৃতি প্রত্যয় করলে দাঁড়ায় সহিতূয (ভা.) বি. সঙ্গ, সংসর্গ, সাহচর্য বা মিলন৷ এই মিলন কার সঙ্গে? লেখকের সঙ্গে পাঠকের, একটা কালের সঙ্গে অন্য কালের, একটা যুগের সঙ্গে অন্য একটা যুগের মিলন ঘটায়৷ কালিদাস রচিত ‘মেঘদূতম’ কাব্যের বিরহানলে দগ্ধ যক্ষের যে অভিব্যক্তি তা শুধু কালিদাস বা সেই যুগের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না৷ হাজার বছর পরেও কালিদাস সৃষ্ট যক্ষের প্রিয়াবিরহের অন্তর্বেদনা ও হূদয়ার্তি আজও মনকে আন্দোলিত করে, সেই মর্মপীড়ার সঙ্গে মন একাত্ম হয়ে পড়ে–

‘সন্তপ্তানাং ত্বমসি শরণং তৎ পয়োদ

প্রিয়ায়াঃ সন্দেশং মে হর ধনপতি ক্রোধ বিশ্লেষিতস্য

গন্তব্যা তে বসতিরলকা নাম যক্ষেশ্বরানাং

বাহ্যোদ্যান স্থিত হরশিরশ্চন্দ্রিকাধৌত্৷৷’’

বঙ্গানুবাদ– মেঘ তোমার প্রধান গুণ যারাই তাপিত, তুমি তাদের তাপ দূর কর৷ তাদের ঠাণ্ডা বা শান্ত করে দাও৷ আমি প্রিয়ার বিরহানলে পুড়ছি৷ আমার বিরহে সেও দগ্ধ হচ্ছে৷ ধনপতির অভিশাপে আমাদের এই দুর্দশা৷ এর প্রতিবিধানের কোনো উপায় নেই, মিলনের কোনো সম্ভাবনাও নেই৷ তুমি দয়াকরে আমার প্রিয়ার কাছে যদি একটা খবর নিয়ে যাও তবে সে বাঁচে, আমিও বাঁচি৷.....

যক্ষের এই হূদয়ার্তির সঙ্গে এ যুগের বিরহতাপিত প্রাণের তফাৎ কোথায়? না কোনো তফাৎ নেই৷ কালিদাস এই বিরহযন্ত্রণার যে ছবি এঁকেছেন তা সর্বকালের সর্ব যুগের অভিব্যক্তি, এক চিরন্তন মাত্রা পেয়েছে৷ কালিদাসের কাব্যে যে সত্য উদঘাটিত হয়েছে তা অতীতের শুধু নয়, আজও তা সত্য, ভবিষ্যতেও তার মূল্য কমবে না৷ মহান সাহিত্যিক ত্রিকালজ্ঞ হন৷ তাঁর কথা ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান কালে সমান গুরুত্ব পায়৷ তিনি তিন যুগের পাঠক পাঠিকার মিলন সাধন করেন৷

প্রভাতরঞ্জন সরকার সাহিত্যকে মিলনের মধ্যে আবদ্ধ রাখলেন না৷ তিনি এর এক মৌলিক ব্যাখ্যা দিলেন–‘‘স  হিত’–হিতেন সহ অর্থাৎ হিতের সঙ্গে যার অস্তিত্ব৷ যেখানে হিতের ভাবনা নেই সেখানে ‘সাহিত্য’ শব্দটাও ব্যবহার করতে পারিনে৷....হিত শব্দের যে ভাবটি পারমার্থিক সত্যের পাশটিতে মানুষকে নিয়ে পৌঁছিয়ে দেয় তা’ সকলের কাছে সর্বদেশে ও সর্বকালে একই’৷ প্রভাতরঞ্জন ওরফে আনন্দমূর্তিজী ধর্মগুরু হলেও বাস্তব জগতের মানুষ৷ ‘আনন্দ’ বহির্ভূত জগতের বাইরে তিনি বিচরণ করতে চাননি৷ তাঁর মত ও পথ মানুষ কেন্দ্রিক, কল্যাণ কেন্দ্রিক৷ তাই তাঁর মতে কল্পনা বিলাস নয়, অলৌকিকতা বা অস্বাভাবিকতা নয়, উদ্ভটতা বর্জিত বাস্তব পৃথিবী ও মর্ত্যমানবের চিন্তা চেতনা ও কর্মধারা সাহিত্যের উপজীব্য হবে বলে অভিমত পোষণ করেন৷ আরো বলেন সাহিত্য সমাজের কল্যাণ করবে–‘সহিত্য তারই নাম যা সমাজের সঙ্গে চলে, যা সেবার প্রেরণা যুগিয়ে প্রকৃত কল্যাণের পথে, সিদ্ধি–ঋদ্ধিরপথে নিয়ে যায়৷’’

প্রচলিত ধারণা সাহিত্য ‘ট্টব্জব্ধ ন্দ্রপ্সব্জ ট্টব্জব্ধ ত্র্ত্রন্সন্দ্ব’ বা সাহিত্যের জন্য সাহিত্য রচিত হয়৷ শিল্প সাহিত্য সৃষ্টির কোনো উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য থাকবে না৷ উদ্দেশ্যবাদ থাকলে সৃষ্টি ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ রাজা রামমোহন রায় ও বিদ্যাসাগর যথাক্রমে সতীদাহ প্রথা ও বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য সাহিত্য চর্চায় আত্মনিয়োগ করেন৷ মসীকে তাঁরা অসি করে তর্কযুদ্ধে অবতীর্ণ হন৷ রচিত হয় ‘সহমরণ বিষয়ক প্রবর্তক–নিবর্তক সম্বাদ’, ‘গোস্বামীর সহিত বিচার’, ‘বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক বিচার’ ‘অতি অল্প হইল’ প্রভৃতি গ্রন্থ৷ গ্রন্থগুলোর সাহিত্য মূল্য বিচারে বিতর্কে না গিয়ে বলা যায় সতীদাহ প্রথা ও বহু বিবাহ প্রথা রদ করাতে গ্রন্থগুলোর একটা বিরাট ভূমিকা ছিল৷ হিন্দুদের বাহুবল প্রতিবাদন করা ছিল বঙ্কিমচন্দ্রের লক্ষ্য৷ সেই লক্ষ্য চরিতার্থ করতে লিখলেন–‘আনন্দমঠ’, ‘রাজসিংহ’, ‘চন্দ্রশেখর’, ‘সীতারাম’ প্রভৃতি গ্রন্থ৷ প্রতিভাধর সাহিত্যিকের সৃষ্ট উপন্যাসগুলোতে উদ্দেশ্যবাদ থাকলেও সাহিত্য বিচারে সার্থকতা লাভ করেছে৷ বঙ্কিমচন্দ্রর এই সব গ্রন্থ আজও শ্রেষ্ঠত্বের দাবী রাখে৷ আর উদ্দ্যেশ্যবাদ? সন্ন্যাসী বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে লেখা ‘আনন্দমঠ’ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে আলোড়ন তোলে৷ এর বন্দেমাতরম্ গান ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বীজমন্ত্র৷ দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নীলকরদের অত্যাচারের দর্পণ তুলে ধরতে রচিত হয়৷ নাটক বিচারে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলেও এই নাটকটি তৎকালীন সমাজে এক আলোড়ন তোলে৷ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের গোড়ায় কুঠারাঘাত হানে৷ সমাজ সচেতনতায় প্রতিবাদী মননের জাগরণে এর গুরুত্ব অপরিসীম৷ প্রতিভাধর সাহিত্যিকের হাতে উদ্দেশ্য ঢাকা পড়ে, সাহিত্য বিচারেও উত্তীর্ণ হয়ে যায়৷ আর প্রতিভার অভাবে সাহিত্যের জন্য সাহিত্য রচিত হলেও তা ব্যর্থ হয়ে যায়৷

আনন্দমূর্তিজী চলমান পথের পথিক৷ তাঁর মতে সাহিত্য সমাজের সঙ্গে চলে৷ তিনি জনকল্যাণকামী, দরদী মনীষী, তাই তিনি কল্পনা বিলাস, উদ্ভট চিন্তা বা  মেকি ভাবনার তীব্র বিরোধী৷ তাঁর মতে ‘ট্টব্জব্ধ ন্দ্রপ্সব্জ ত্রন্দ্বব্জ্লন্ন্তুন্দ্ব স্তু ত্ব্প্তন্দ্বব্দব্দন্দ্বস্.’ সাহিত্য সাধনায় সেবা ও মানসিক প্রশান্তির ভাব বহন করবে৷ সে সাহিত্য হবে সুখদায়ক ও আনন্দ বর্ধক৷ সাহিত্য সমাজ সেবা ও কল্যাণের পথে ধাবিত হবে৷ এই প্রসঙ্গে তাঁর সুচিন্তিত মতটি স্মরণ করা যেতে পারে–‘‘সাহিত্যিক যখন সাহিত্য সেবায় বা সাহিত্য সাধনায় নাবেন তখন তাঁর সর্জনী প্রতিভাকে এই স্রোতোধারাতেই বইয়ে দিতে হয়৷ ব্যষ্টিগত জীবনের যা কিছু পঙ্কিলতা, যা কিছু অশিব তাকে ‘বিশ্বজনীন’ মানসিকতার পূতবারিতে শুচিশুভ্র করে বিশ্বমানবের মর্মে মধুরভাবে পৌঁছিয়ে দিতে হয়৷’’

ব্যবসায়িক দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে গ্রন্থের কাটতি ও সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য কেউ কেউ দেহ লালসা, জৈবিক ক্ষুধা, নারী দেহ উন্মোচন প্রভৃতি রুচিহীন মননকে বড়ো করে দেখাতে চান৷ মানব মনের গোপন কামনা, বাসনা, মিলন ভাবনা তাদের হাতে প্রকটরূপে প্রতিভাত হয়৷ সামাজিক লজ্জা শরমের তারা ধার ধারে না৷ সমরেশ বসুর ‘বিবর’, ‘প্রজাপতি’, তসলিমা নাসরিণের  ‘নির্বাচিত কলাম’ প্রভৃতি গ্রন্থের নাম করতে হয়৷ লেখক–লেখিকা এখানে সমাজের নষ্ট ভ্রষ্ট কালিমার দিকটি তুলে ধরে বাহবা কুড়াতে প্রয়াসী হয়েছেন৷ তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য নিম্নগামী মানসিকতাকে উন্মোচন করা, কলঙ্কিত দিকটির প্রতি আলোকপাত করা৷ আনন্দমূর্তিজী এই কদর্য্য ও কালিমালিপ্ত জীবন চর্চা, পতনধর্মী মানসিকতা ও নিম্নগামীতার পথে হাঁটার ঘোর বিরোধী৷ তাঁর মতে কলা সৃষ্টির উদ্দেশ্য আনন্দ দেওয়া’৷ জনসাধারণের মধ্যে আনন্দ বিতরণ করা৷ তার মতে ‘তারা (মানুষ) অন্ধকারের আবর্ত থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়, তারা প্রতি মুহূর্তে নবতর আলোকে নিজেদের প্রাণমন উদ্ভাসিত করে নিতে চায়৷’ স্রষ্টা স্থবীরের মতো বসে থাকবে না, আলোর পথে এগিয়ে যাবেন৷ যাদের জন্য লিখছেন তা তারা কেমন ভাবে নিচ্ছেন তাতে তাদের প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে হবে৷ ‘যাদের জন্যে গান গাইলুম তাদের মর্মে গিয়ে পৌঁছোচ্ছে তো’ বিচার করতে হবে৷

আনন্দমূর্তিজীর সাহিত্য ভাবনায় সাহিত্যিক হবেন ত্রিকালজ্ঞ৷ তিনি বর্তমানের যুগজীবনের ছবি শুধু আঁকবেন না, অতীতের সঙ্গে তার সঙ্গতি আছে কিনা বিচার করবেন, বিচার করবেন ভবিষ্যতে সম্ভাবনার কথা৷ তাঁর মতে  /বর্তমানের নিখঁুত আলেখ্যকে স্থান তো দেবেই, তার সঙ্গে সঙ্গে হিতের ভাবনা ভবিষ্যতের সম্ভাবনাও দেখিয়ে বুঝিয়ে যাবে৷* লেখায় প্রাণের স্পর্শ না থাকলে পাঠকের মনের কথা না থাকলে সে সাহিত্য গ্রহণযোগ্য হয় না৷

আনন্দমূর্তিজী সাহিত্যকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে দেখিয়েছেন৷ চলার পথে সঙ্গে সঙ্গে না পেলেও কাছে কাছে, পাওয়া সাহিত্যকে তিনি ‘তটস্থ সাহিত্য’ বলেছেন৷ আর ‘যুগ সাহিত্য’ স্পষ্টভাষায় যুগের দাবী প্রকাশ করে থাকে৷ তিনি বলেন যুগের চেয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে না৷ আবার পেছনে পডলে চলবে না৷ যুগের সাথে পা মিলিয়ে চলতে হবে, /যুগের  প্রয়োজনে সৎসাহিত্য সৃষ্টি করতে গেলে সাথে সাথে চলতে হবে, গতির ওপরে নিয়ন্ত্রণ রাখতেই হবে৷...সাহিত্যিক পথ প্রদর্শক, কিন্তু বেশী এগিয়ে যাওয়া চলবে না, পেছিয়ে যাওয়া তো চলবেই না৷ তাঁর  উপজীব্য হবে চলমান জীবনের কথা৷ তাঁর একটা দায়িত্ববোধ থাকবে ‘প্রতিটি মনকে নিজের মনে মিলিয়ে  ফেলার সাধনা৷’ সাহিত্য গতিশীল মানুষের মানসিক অভিব্যক্তি৷ যুগে যুগে মানুষের মানসিকতা পরিবর্তিত হয়েছে৷ উন্নীত হয়েছে৷ সেই মানব মনের গতিপ্রকৃতিকে চিনতে হবে ও সেই মনন চেতনার উপযোগী  খোরাক বা রসদ যোগাতে হবে৷ হাজার বছর আগেকার দীর্ঘায়তন মহাকাব্য মঙ্গল কাব্য আজ কেউ পডে না, সেই সময় আর নেই৷ স্বল্পায়তন ছোটোগল্প, কাব্য কবিতায় সাহিত্য রস আস্বাদন করে মানুষ তৃপ্তি পেতে চান৷    (ক্রমশঃ)