সহায়  কমিশনের রিপোর্ট ঃ  গুমনামী বাবাই নেতাজী

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ফৈজাবাদের  গুমনামী বাবা কি নেতাজী সুভাষচন্দ্র  বসু ?  এই প্রশ্ণের উত্তর খঁুজতে ২০১৬ সালের  জুন মাসের  উত্তর-প্রদেশের তৎকালীন সপা সরকারের পক্ষ থেকে এক তদন্ত কমিশন  বসানো  হয়েছিল৷ এই কমিশনের প্রধান ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিষ্ণু সহায়৷ সম্প্রতি  এই  সহায় কমিশন উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়কের  হাতে তাঁর রিপোর্ট তুলে  দিয়েছেন৷ ৩৪৭ পাতার ওই রিপোর্টে  বলা হয়েছে , এই তদন্ত   কমিশনে যাঁরা সাক্ষী দিতে এসেছিলেন, তাঁদের  অধিকাংশের মতেই গুমনামী বাবাই নেতাজী৷ তাইহকু বিমান দুর্ঘটনায় যে নেতাজীর মৃত্যু হয়নি, তা  স্পষ্ট ভাষায়  জানিয়ে দিয়েছে মুখার্জী কমিশন৷ তদন্ত করে মুখার্জী কমিশন জানতে পেরেছে, ওই সময় তাইহকুতে  কোনও বিমান দুর্ঘটনাই হয়নি৷ আর এটা ছিল শত্রুপক্ষকে বিভ্রান্ত  করার এক  পরিকল্পনা৷ অর্র্থৎ তথাকথিত তাইহকু বিমান দুর্ঘটনায় পরে নেতাজী জীবিত ছিলেন, কিন্তু তার পরে কী হয়েছিল তা স্পষ্ট করে বলতে  পারেনি মুখার্জী কমিশন৷

পরবর্তীকালে নেতাজী সাধুবেশে কখনও হিমালয় কখনও বা অন্য কোথাও আশ্রম গড়ে  বিভিন্ন স্থানে  অবস্থান করেছেন৷ সর্বশেষে উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে গুমনামী বাবার  চেহারা, আচার-আচারণ বা এমন অনেক কিছু আছে যা দেখে বহু মানুষের  দৃঢ় বিশ্বাস ছিল  উনি নেতাজী৷  ১৯৮৫ সালে গুমনামী বাবার মৃত্যু হয়৷  শোণা যায় তাঁর গোপন ট্র্যাঙ্কে এমন কিছু ছবি ও টেলিগ্রাম ছিল তা দেখে তাঁকে নেতাজী বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ ছিল৷

গুমনামী বাবা সত্য সত্যই নেতাজী কি না--- তা তদন্ত করে দেখার জন্যে ২০১৬ সালে যে সহায় কমিশন তৈরী করা হয়েছিল, ওই কমিশন সমস্ত  সাক্ষী প্রমাণ পরীৰা করে গুমনামী বাবাকেই নেতাজী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনার ওপর সিলমোহর দিয়েছে৷